আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে না থেকেও যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায়, তার বড় প্রমাণ কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। দর্শকদের মনে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগেনি তার। পঞ্চাশ দশক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার দর্শকদের। বেঁচে না থেকেও যেন আজও সবার কাছে জীবন্ত। একের পর এক সিনেমা দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন দর্শকদের। সিনেমাপ্রেমীরাও উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে বার বার প্রেমে পড়েছেন তার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত এই মহানায়কের জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন উত্তম কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৮ বছরে পা রাখতেন তিনি।

প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তিনি একাধারে অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। অভিনয় জগতে মহানায়ক আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। উত্তম কুমার ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাণিজ‍্যিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার। তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। তার বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তারা তিন ভাই এক বোন ছিলেন। উত্তম কুমারের ছোটো ভাই তরুণ কুমারও বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের একজন সাধারণ কর্মচারী।

পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরিতে জয়েন করে সংসারের হাল ধরেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল এই নায়কের মাথায়। আর তাই তো নিজের স্বপ্ন পূরণে অনড় ছিলেন তিনি।

রুপালি পর্দায় উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয় মায়াডোর নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরে ১৯৪৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হিসেবে দৃষ্টিদান চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও আলোচনায় আসেনি সেটি। পরবর্তীতে বসু পরিবার সিনেমা দিয়ে খানিকটা পরিচিতি পান উত্তম কুমার। ১৯৫৩ সালে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। শুরু হয় উত্তম যুগ।

পঞ্চাশ থেকে ষাট দশকে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা আর সাগরিকা-এর মতো কালজয়ী সব সিনেমার পরিচিত ও কাঙ্ক্ষিত মুখ হয়ে ওঠেন উত্তম। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। একাধিক সিনেমার জন্য এ জুটি কালজয়ী হয়ে আছে। এই জুটির ৩০টি সিনেমার মধ্যে ২৯টিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট।

বাংলা সিনেমা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উত্তম কুমার। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিচিড়িয়াখানা সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেওয়ার পরেও আজও মহানায়ক হয়েই রয়ে গেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বাংলা চলচ্চিত্র যতো দিন আছে, ততোদিন উত্তম কুমার নামটিও অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ করবে 'পরিস্থিতি': স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিস্থিতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

রোববার সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিস করতে এসে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা হাসান আরিফ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের এক হাজারের বেশি মামলা রয়েছে হাইকোর্টে। মনে হয় সপ্তাহ খানেক আগেও একটা মামলা হয়েছে। প্রাকটিক্যালি যে কাজকর্মগুলা হচ্ছে কী কারণে এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে হচ্ছে। যে ভুলগুলো হচ্ছে, যাতে মানুষ হয়রানি হয়ে কোর্টে আসতে হয়, সেটা যতটা মিনিমাইজ করা যায়।

নিজের মন্ত্রণালয়ে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন- জানতে চাইলে বলেন, কাজের ধরন কী সেটা বুঝতে হবে। এখনই বলা যাবে না, কোন কাজটা অগ্রাধিকার পাবে, কোনটা পাবে না। আগে বুঝি তারপর অগ্রাধিকার দেবো। পুরো সরকারটাই একটা চ্যালেঞ্জ। দেশের চলমান অবস্থাই চ্যালেঞ্জের।

তিনি বলেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার গঠন হয়েছে। এটা তো রুটিন ক্যাটাগরির সরকার না। যে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলো, আবার স্বাভাবিকভাবে নতুন সরকার এলো। এটা তো একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে গঠিত হলো।


আরও খবর



যমুনা নদীতে রেলসেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে, চালু হতে পারে ডিসেম্বরে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যমুনা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর কাজ ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করে উদ্বোধনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নির্মাণাধীন এই সেতুতে সব কটি স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে। সেতুটির টাঙ্গাইলের অংশের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে এবং সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তেও কাজ শেষের দিকে।

ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসহ এ রেলসেতুর সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে যমুনার দুই প্রান্তে দুটি ভাগে কাজ হচ্ছে। টাঙ্গাইল প্রান্তে ২৭ পিলার এবং সিরাজগঞ্জ প্রান্তে ২৩ পিলারসহ ৫০ পিলারের নির্মাণকাজ দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চলছে।

সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রেলসেতুটি হবে ডাবল লাইনের। এ সেতু দিয়ে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে রেলসেতুর কাজ প্রায় ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে সেতুর পশ্চিমপাড়ের স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সেতুর ওপরে পশ্চিমপাড়ের অংশে কিছু লেভেলিং অ্যালাইমিং ও ট্র্যাক বসানোর কাজ রয়েছে। কাজগুলো শেষ হলে টেস্টিং করার পর কমিশনিংসহ ট্রেন চালু করার কিছু নিয়ম শেষ করে ডিসেম্বরের দিকে উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যমুনা রেলসেতু নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরে এর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়। পরে ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দাঁড়ায়। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এদিকে, রেলসেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে একদিকে যেমন গোটা দেশ রেল যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ খাতে সড়কপথের পাশাপাশি রেল যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই রেলসেতু চালু হলে বাড়বে যাত্রীসংখ্যাও। পণ্য পরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।


আরও খবর



এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে গাজী টায়ার কারখানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

১৪ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ার কারখানার আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা এখনও দাউদাউ করে জ্বলছে। থেমে থেমে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠছে আশপাশের এলাকা।

স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে ১১টি ইউনিট।

ভবনটির ভেতরে থাকা স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে কারখানা এলাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকাও পড়েছেন।

দমকল কর্মকর্তারা জানান, ১১টি ইউনিট একযোগে কাজ করেও আগুন ১৪ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে।

আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



রাজশাহীতে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বিএনপি নামধারী কতিপয় নেতা যারা এতোদিন দলের কোন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি দিবসগুলো পর্যন্ত পালন করেনি। তারাই নিজেদের অপরাধ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম ধামাচাপা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে  সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যারা এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে  সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মামা মরহুম ইমরান আলী মোল্লা তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বংশীয়ভাবেই শহীদ জিয়ার আদর্শের সাথেই আমরা সরাসরি জড়িত। আমি বার বার ঢাকা-রাজশাহীতে পুলিশ ও আওয়ামী বাকশালী কর্তৃক মামলায় প্রেপ্তার হয়েছি এবং কারাবরণ করেছি। তানোর পৌরনির্বাচনে বার বার আমাকে প্রতক্ষ্যভাবে ফলাফল কেড়ে নিয়ে পরাজিত করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এমন কোন বিএনপির প্রোগ্রাম নাই যেখানে আমার উপস্থিতি ছিল না। প্রত্যেকটা জায়গায় আমার নেতৃত্বে তানোর উপজেলা ও তানোর পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। অথচ আমিসহ আমার কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের কিছু নামধারী নেতা কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠিয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে সংবাদগ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কখনোই কোন সময় আমাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ উপস্থাপন হয়নি। আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কতিপয় কুচুক্রি মহল ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জয়প্রিয়তাকে নষ্ট করতেই সাজানো মিথ্যা-বানোয়াট  ও উদ্দেশ্যণোদিত অভিযোগ কেন্দ্রে উপস্থান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা দঢ় কণ্ঠে বলতে পারি শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত কখনোই হইনি এবং আগামীতেও হবো না।  বরং যারা অভিযোগ করেছে তারাই বিভিন্ন নৈরাজ্য, হাট-ঘাট দখল, বালু মহাল দখল, পুকুর দখল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও দখল দারিত্বের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্ম ঢাকতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম বাবু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



শেখ হাসিনাসহ সাকিব-সুমন-ফেরদৌসের নামে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়। আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা মামলা

আরও খবর