ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ। কোথাও তিনটি, কোথাও দুটি। এভাবেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে মোট ৯টি মরদেহ। ভারতের মহরাষ্ট্রের সাংলি জেলার একটি পরিবারের ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
মহরাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায়
৩৫০ কিলোমিটার দূরে সাংলির মহিসালের ওই ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে
পুলিশ।
সাংলির এসপি দিক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন,
বাড়িতে মোট ৯টি মরদেহ পাওয়া গেছে। একটি জায়গায় পাওয়া গেছে তিনটি মরদেহ। অপর ছয়টি
মরদেহ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের
রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মৃতদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে,
নিহতেরা হলেন- পোপাট ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৫২), সঙ্গীতা পোপাট ভানমোর (৪৮), অর্চনা
পোপাট ভানমোর (৩০), সুভম পোপাট ভানমোর (২৮), মানিক ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৪৯), রেখা
মানিক ভানমোর (৪৫), আদিত্য মানিক ভানমোর (১৫), অনিতা মানিক ভানমোর (২৮) ও আক্কাটাই
মানিক ভানমোর (৭২)।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মরদেহগুলোতে
কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁরা আত্মহত্যা
করে থাকতে পারেন।
মিরাজ ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ সুপার অশোক
ভিরকার বলেছেন, ‘আমরা যেটি খুঁজে পেয়েছি তা একটি সুইসাইড
নোট বলে মনে হচ্ছে। নিহত নয়জন দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক সূত্র ইঙ্গিত
করে যে, এটি আত্মহত্যা। যদিও বর্তমানে কারণ অনুসন্ধান চলছে, আমরা সন্দেহ করছি, পরিবারটি
আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।’
পুলিশের স্পেশাল ইনস্পেক্টর জেনারেল (কোলহাপুর
রেঞ্জ) মনোজ কুমার লোহিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে
দেখা যাচ্ছে যে, কারও শরীরে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই। তাঁদের সবার মৃত্যুর পেছনে কোনো
না কোনো বিষক্রিয়া দায়ী বলে মনে হচ্ছে।’