ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৭ ফেনীর সদস্যরা। এ সময় তাদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
আজ শনিবার দুপুর ১টায় র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং কালে সাংবাদিকদের উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ডাকাত দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে, এক পর্যায়ে র্যাব জানতে পারে- ডাকাত দল একটি পিকআপ যোগে শনিবার ভোরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের দিক থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি অস্থায়ী চেক পোস্ট স্থাপন করে। ভোর ৫টার দিকে একটি সন্দেহভাজন পিকআপকে থামার সংকেত দিলে সেটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
র্যাব সদ্যসরা পিকআপটিকে ধাওয়া করে জোরারগঞ্জ থানার খিলমুরারী গ্রামের বাসিন্দা হক সাব ওরফে মাদক সম্রাট (২৩), একই থানার হিংগুলী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (২৪) নারায়নগঞ্জের চরপাড়ার বাসিন্দা চাঁন মিয়া (২৮) এবং সুনামগঞ্জের আকতা পাড়ার বাসিন্দা সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগকে (৩০) আটক এবং তাদের দেখানো ও তথ্য মতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্টুজ, ৩৪ টা অটোরিকশার ব্যাটারি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। শেষে পিকআপটি জব্দ ও উপরোক্ত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলটি মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা মহাসড়কে ডাকাতি করে মালামাল ঢাকায় বিক্রি করে থাকে। মহাসড়কে চলাচলকারী পথচারীকে আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ছিনতাই ও ডাকাতি করে বলে তারা স্বীকার করেন।
গ্রেফতার ৪ ডাকাতের মধ্যে হক সাব প্রকাশ মাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ ও সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনসহ ২০টি মামলা এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে রনির বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চুরি, হত্যার চেষ্টাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে সংশিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।