মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
জেলা পরিষদের দেওয়া বরাদ্দ সাতপোতা গোরস্থান উন্নয়নের ৫০ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সাতপোতা গ্রামে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সাতপোতা কবরস্থান উন্নয়নে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করে জেলা পরিষদ। কিন্তু সেই টাকার কোন কাজ না করেই গোরস্থান কমিটির সভাপতি প্যালেন চেয়ারম্যান ও ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম এবং তার ছেলে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন দু-জনে মিলে বরাদ্ধের টাকা আত্মসাত করে। পিতা-পুত্র কমিটির কর্তা হওয়ায় কাউকে কোন জবাবও দিতে হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সাতপোতা কবরস্থানটি সাবেক ইউপি চেয়াম্যান মশিয়ার রহমান পরিবারের। কবরস্থানটি দুই ভাগে বিভক্ত এক পাশে চেয়ারম্যান পরিবারের লোকদের কবর দেওয়া হয় অন্যপশে গ্রামের লোকদের। তারা আরও বলেন গোরস্থানে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়নি এমনকি ঝোপ-ঝাড়ও পরিস্কার করা হয়নি। পিতা-পুত্র কমিটির কর্তা ব্যক্তি, কাজ করলেই কি আর না করলেই কি? কারো কাছে কোন জবার দেওয়া লাগেনি।
গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, গোরস্থান নিয়ে মামলা চলমান থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে টাকা সোনালী ব্যাংকে গোরস্থান কমিটির নামে একাউন্টে রাখা আছে।
গোরস্থান কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম বলেন, কিছু ঝামেলার কারণে কাজ করা হয়নি। টাকা তুলে একাউন্টে রাখা হয়েছে। ঝামেলা মিটে গেলে কাজ শুরু করা হবে।
বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, সাতপোতা কবরস্থানের নামে কমিটি করে জেলা পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কবরস্থান উন্নয়নে কোন কাজ হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।