আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করা সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আজ রবিবার দেশের উদ্দেশে রওনা হবে।

এর আগে গতকাল শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষ করে জাহাজটি।

আজ রবিবার দুপুরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজ মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রবিবার দিনের বেলায় জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জলদস্যূ মুক্ত হয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


আরও খবর



৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০১ মে) সকালে ই-মেইলে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্কুলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েকটি স্কুল চত্বর খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী। পুরো ঘটনায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালের দিকে দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি স্কুলেই একই উড়ো ই-মেইল আসে।

স্কুলগুলোকে তল্লাশি চালাতে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। পরে দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

পুলিশের মতে, হুমকিমূলক ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কে এবং কোথায় থেকে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আযহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তফসিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর