আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় পর পর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, সকাল ৮টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা লক্ষ্য করে পর পর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। অপরটি সম্পূর্ণ অবিস্ফোরিত থাকে। এসময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

দিদার জানান, ককটেল বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তাকর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি চলে যায়। এসময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ইউনিফর্ম পরা ৬-৮জন পুলিশকে বহন করা ৩-৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন। মোটরসাইকেল আরোহী এবং ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো সদুত্তর না দেয়নি।

প্রসঙ্গত, মির্জা আব্বাস বেশকিছুদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে বিদেশিরা সন্তুষ্ট : ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশিদের কাছ থেকে কোনোরকম চাপ নেই। বিদেশিরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখে তারা ইতোমধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটকক্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যাবে। তবে সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থান করতে পারবেন না। তারা চাইলে কেন্দ্রের প্রাঙ্গণ থেকে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও তারা উপস্থিত থাকতে পারবেন। যানবাহন হিসেবে তারা বৈধ মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন করে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি এখন আইনগত বাধা হতে পারে। আইন পর্যালোচনা ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



হবিগঞ্জের সকল বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ঘোষণা, রোগীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে ডা. এসকে ঘোষকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসহ প্রাইভেট প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার বিকেলে জেলায় দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকদের এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন রায়।

জানা যায়, সম্প্রতি ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডা. এসকে ঘোষকে কারাগারে পাঠায় হাইকোর্ট। একই সাথে প্রাইভেট ক্লিনিক দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের মালিকসহ আরো তিনজনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। জেলা শহর ও দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন।

অপরদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা না পেয়ে ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভির করছেন রোগীরা। সেখানেও রোগীর চাপ বাড়ায় চিকিৎসা নিতে পড়ছেন ভোগান্তিতে।

হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকবে। আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি পালন করা হরে।

উল্লেখ্য, রহিমা খাতুন নামে এক নারী জরায়ুর টিউমার অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে যান। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ওই নারীর অপারেশন করেন গাইনি ডাক্তার এসকে ঘোষ। আর ১২ তারিখই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়ি গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরবর্তী সময়ে আবারও এই হাসপাতালে আসেন ওই নারী। এ সময় তাঁর অবস্থা বেগতিক দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয় তাঁকে।

এদিকে ওসমানী হাসপাতালে যাওয়ার পর দেখা যায় ওই নারীর বাম পাশের কিডনি ও জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় ২৪ অক্টোবর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। যাতে ওই নারীর ভুল চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে দালালের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ আনা হয় হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।

এদিকে এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগের খবর মিলেছে বিভিন্ন সময়। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি নানা অভিযোগে এতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় অ্যানেসথেসিয়া ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া স্টাফ নার্স ও আয়া দিয়ে সিজার অপারেশন করানোসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলামকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু ও সন্তান বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি। এ ছাড়া সিজারের সময় গত ১ অক্টোবর পেটের ভেতরে থাকা নবজাতকের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।


আরও খবর



পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নির্বাচনে সবসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, এবং থাকে, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হয়। তবে আমাদের দলের যারা পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদেরকে অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে। সারাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে, এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। ৪৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ৭ই জানুয়ারি যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা যেটি তৈরী হয়েছে, এতে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালি আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে কয়েকজন দলীয় নেতাকে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, এতে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ও অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এব্যাপারে দলের নির্দেশনা কি ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ আজকে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এই ডামাঢোলের মধ্যে বিএনপি-জামাতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমূখী হয়ে গেছে।

বিএনপি গতকাল বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে, এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি এখন দৈব-দূর্বিপাকের উপর নির্ভর করছে। দেশে তারা এধরণের ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে হাস্যস্কর করে তুলেছে। সরকারের পতন নিয়ে তো বহুদিন ধরে বিএনপি দিনক্ষণ ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, বিএনপি বলে, অমুক দিন সরকারের পতন হবে। গতবছর ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এবছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এভাবে ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এমন যে তারা কোন দৈব-দূর্বিপাকের উপর নির্ভর করে বলে, অমুকদিন কিছু একটা হবে। যেমনটা, অমুকদিন বৃষ্টি হবে, অমুকদিন বজ্রপাত হবে, অমুক সময়ে সাইক্লোন হবে। বিএনপির ঘোষণাও ঠিক সেইরকম।

বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশী থাবার যে কথা বলা হচ্ছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও বিদেশী থাবা ছিল, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সময়েও বিদেশী থাবা আছে। এখন যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনও বিভিন্ন দেশি-বিদেশী চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে, আমাদের সাথে সবার সম্পর্ক চমৎকার।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারো সাথেই বৈরিতা নয়, সবার সাথে মিত্রতা। সেই নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। আমাদের সাথে সমস্ত দেশের ভালো সম্পর্ক। আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগীতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই।

এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আবদুল মোনাফ সিকদার, এমরুল করিম রাশেদ, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, মুজিবুল ইসলাম সরফি, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এখন যেসব কাজ করতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা তাদের পদে থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারলেও মেনে চলতে হবে কিছু বিধিনিষেধ।

জাতীয় নির্বাচনের সময় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না, তার উল্লেখ আছে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায়।

আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না। তারা নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না এবং এ উদ্দেশ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

আচরণবিধি অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব করতে পারবেন না বা এসংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে পারবেন না। এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে বা তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি পর্ষদে থাকলে নির্বাচনপূর্ব সময়ে তিনি বা তার মনোনীত ব্যক্তি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশ নিতে পারবেন না অথবা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হতে পারবেন না।

আচরণবিধিতে আরও আছে, নিজে প্রার্থী বা অন্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট না হলে ভোট দেওয়া ছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বা ভোট গণনার সময় গণনাকক্ষে প্রবেশ বা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।

নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। তবে দূষণ মাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ৪১৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু দুর্যোগপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৮০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ২১১। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১৮৮ অর্থাৎ এখানকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ দিনদিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত চারটি দেশ এবং দূষণের শীর্ষে থাকা ১০ শহরের মধ্যে নয়টির অবস্থানই এ অঞ্চলে।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মিগজাউম’ শক্তি হারাচ্ছে, জেঁকে বসবে শীত

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩