রাজধানীর মিরপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে
পরিবহণ শ্রমিকদের ধর্মঘট। গণপরিবহণের জন্য
সকাল থেকে শত শত যাত্রী বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা নেই। অনেকক্ষণ পর
পর দু’একটি বাস এলে
তাতে উঠতে যাত্রীদের ঠেলাঠেলি করতে দেখা গেছে। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস না পেয়ে ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন যাত্রীসাধারণ।
সরেজমিন বুধবার সকালে মিরপুর ১০, ১১, ১২,
কালশী, পূরবী, সিরামিক রোড ঘুরে দেখা যায়, অফিস ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী যাত্রীরা বাসের জন্য অনেকক্ষণ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
অনেকে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন; কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না।
মিরপুর ১২ নম্বর থেকে হাতেগোনা দুয়েকটি
বাস ছাড়লেও ওইসব বাস যাত্রীতে ঠাসা। মূল সড়কে
কয়েশ বাস পার্কিং করে রাখা রয়েছে। ওই সব বাসের শ্রমিকরা সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয়ে ধর্মঘট করছেন।
সকাল ৮টায় মিরপুর ১২ নম্বর পূরবী সিনেমা
হলের সামনে ৩০-৪০ শ্রমিক জড়ো হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে আসা কয়েকটি বাস থামিয়ে ওই বাসের
যাত্রীদের নামিয়ে দেন। এতে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহণ শ্রমিকদের কয়েক দফা বাদানুবাদ হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ এসে ওই স্থান থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। পরে শ্রমিকরা সড়কের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান নেন।
এ সময় কথা হয় নাজমা আক্তার নামে এক গৃহিণীর
সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি মিরপুর ১২ নম্বরে যাব। সকাল ৮টায় পূরবী সিনেমা হলের সামনে শ্রমিকরা
আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। আরও অনেক যাত্রী ছিল যারা উত্তরা, গুলশানে কর্মস্থলে যেতেন।
বাস না থাকায় অনেকে হেঁটে রওনা দেন।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নকিব খান বলেন,
মতিঝিলে অফিসের কাজে যাওয়ার কথা। সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই পূরবীর সামনে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে
রয়েছি। ১২ নম্বর থেকে দুয়েকটি বাস এলেও অনেক যাত্রী। বাসে ওঠা যায় না। আবার শ্রমিকরা
বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন। সিএনজি অটোরিকশাও নেই। রিকশায় করে মতিঝিল যাব কিনা
ভাবছি।
মিরপুর ১২ নম্বরের ট্রাফিক পরিদর্শক সোহেল
রানা বলেন, শ্রমিকরা বাস না চালিয়ে আন্দোলন করছেন। সকাল থেকে কিছু বাস চললেও তা পরিমাণে খুবই কম। পূরবীর
সামনে সকাল ৮টায় শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দিলেও পুলিশ শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এ নিয়ে কোনো
অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।