আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মিরপুরে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ জানুয়ারী 20২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের ৪ নম্বর এভিনিউ এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আর এ অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ আর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে বিহারি দখলদার, স্থানীয় বাঙালি ও প্রশাসনের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে মিরপুর ১১নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে লালমাটি পলাশ নগরমি সড়কের উভয় পাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এর পূর্বে সকাল ১০ টারও আগে থেকে পার্শ্ববর্তী নান্নু মার্কেট এলাকায় বুলডোজার, হ্যামারের মতো ভারী সরঞ্জাম এনে রাখা হয়। মূলত তখন থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে শুরু করে। জড়ো হতে থাকেন বিহারি দখলদাররা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

পরবর্তীতে মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এলে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর চেষ্টা করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু বিহারিদের বাঁধায় বেশ কয়েক দফা পিছু হটতে হয় উচ্ছেদ অভিযানের দলকে। এসময় বিহারি, স্থানীয় বাঙালি এবং পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের মধ্যে বহুমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। বিহারিদের ছত্রভঙ্গ করতে একশন যেতে হয় পুলিশকে।

অভিযানের এক পর্যায়ে ৪ নম্বর এভিনিউয়ের নান্নু মার্কেট মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ মোড়েই থাকা তিনটি দোকান এবং একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অভিযান। 


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




যুবকের চড় খেয়ে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন তরুণী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চড় খেয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক তরুণী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল নৌবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। নৌপুলিশ ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন ওই তরুণীকে নদী থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানান, এক যুবক আর এক তরুণী লঞ্চের নিচতলার সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তারা দুজনে ঝগড়াও করেছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তরুণ ওই তরুণীকে একটা চড় দেয়। এর পরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গে সঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী আমাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল না। তা ছাড়া ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তা আমরা জানি না।

তবে সেখানে উপস্থিত মারুফ নামে একজন বলেন, প্রথমে দুজনের উচ্চবাচ্য কথা শুনি। এর পর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দিলে নৌপুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে পড়া তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই তরুণী কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বলেনি।


আরও খবর



কোরবানির আগে ব্রা‌জিল থেকে আনা হবে জীবন্ত গরু: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদে ব্রা‌জিল থেকে জীবন্ত গরু আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবছে সরকার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার স‌ঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বৈঠক শে‌ষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম টিটু ব‌লেন, আমরা আগামী কোরবানি সামনে রেখে তাদের (ব্রাজিলকে) ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তা হয় তাহলে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই ক‌রে দেখ‌তে পা‌রি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটি প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশকে দিতে চায়। গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল।

এদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করছে মুন্সিগঞ্জের ডাচ ডেইরি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ব্রাজিল থেকে ৫০০ গরু আমদানি করছে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক, তবুও নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি থাকলেও প্রশাসন কোনো অভিযানে নামেনি। এ ছাড়া আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আনেনি। এর পরও পেঁয়াজের কেজি অর্ধেকে নেমে এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। তবুও ক্রেতা নেই।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে গতকাল এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি।

ঢাকার পাইকারি কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

হঠাৎ করে দাম কমার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রোজার আগে থেকে অনেক আড়তদার পণ্যটি মজুদ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাই। এখন আমদানির খবর পেয়ে তারাই অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে কম দামে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা দাবি করেছেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুদ করা সম্ভব নয়। এখন দেশি পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় দাম কমছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। রাতারাতি খাতুনগঞ্জেই কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ২০০ টাকায়। পুরোনো এলসির প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আসায় গত ২২ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা।

এরপর ভারত থেকে বৈধ পথে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এখন আড়তগুলোতে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে সবটাই চোরাইপথে আসা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এরপর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে ১০০ টাকার নিচে চলে আসে পেঁয়াজের কেজি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ক্রমাগত এক-দুই টাকা করে কমতে থাকে দাম। সর্বোচ্চ গত সোমবার দাম নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়ত দেশি পেঁয়াজে ভর্তি। কিছু ভারতীয় পেঁয়াজও আছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার কবির হোসেন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গত সোমবার হঠাৎ দাম অর্ধেক হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) আবার বেড়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। এখন পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দামও অর্ধেক কমেছে। তবে ক্রেতা নেই।

এদিকে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলো ৫০ টাকা আর আকারে বড়গুলো ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

দাম কমে আসার কারণ হিসেবে খাতুনগঞ্জের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেক আড়তদার আছেন; যারা কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা যখন দেখতেছেন এপ্রিলেই দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসবে, তখন অতিরিক্ত লোকসান হবে। সেই ভয়ে সংগ্রহে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। ফলে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বাজারে থাকায় দাম কমছে।

তবে মজুদ করার বিষয়টি মানতে নারাজ খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ক্ষেত থেকে টন টন পেঁয়াজ আসছে আড়তে। আড়তগুলোতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বেশি। তাই দাম কমছে। এটি পচনশীল পণ্য। আড়তদারদের মজুদ করার সুযোগ নেই।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ছাত্রলীগের বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া এ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশও করবে সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ করবে তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধায়, সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জঙ্গি আস্তানায় গোপন মিটিং, শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল মেইলে জঙ্গিবাদের প্রচারণা, ক্যাম্পাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডল এ শ্রেণিকক্ষে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বুয়েটকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত করছে।

এতে বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ-৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ-৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ-৩৬ (চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ-৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ-৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্‌-স্বাধীনতা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসঙ্গে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলছে, এ কারণে শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনকে মূল্যবান বিবেচনা করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ জীবনযাপন ও শিক্ষা নিশ্চিত করাকে নিজেদের সাংগঠনিক মূলমন্ত্র গণ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিতাড়িত হয়েছে, সেশনজট দূর হয়েছে, শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির সোপানে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানাচ্ছে, একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে আপনারা ধারাবাহিক অসংখ্য অন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হবেন না। যে মহান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না, রীতি-পদ্ধতি-সামাজিকতা প্রচলন করবেন না যেটি এদেশের সংবিধানকে অমান্য করে, একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে, শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করে, স্বাভাবিক ও পারিবারিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। আপনাদের এরূপ কর্ম-সিদ্ধান্ত এদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এদেশের সাধারণ মানুষ যাদের শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তারা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

ছাত্রলীগ বলছে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথী, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখানো রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক যে উন্নতি সাধন করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পথনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েট নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বুয়েট সঙ্কোচের বিহ্বলতায়’ দেশ গঠনে নিজেদের অবদান ম্লান হতে দিবে না, সংকটের কল্পনাতে’ হবে না ম্রিয়মান। এদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েটের প্রতি আহ্বান জানায়, আপনা-মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়’।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




তামিম-মিরাজের সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে যা বললেন পাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বেশ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের এক ফোনালাপ। দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ ছিল সেটি। তামিম-মিরাজের এমন বিজ্ঞাপনী প্রচারণা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এবার সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন জানান, এখনও সমালোচিত সেই বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তিনি।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। ওরা যদি বিসিবির কোন নিয়ম ভেঙে থাকে তাহলে বোর্ড তার সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিত না যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে পরিণত করে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিসিবি প্রধান বলেন, এরা কেউ বাচ্চা ছেলে না যে, হঠাৎ করে আজকে ওদেরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসটা বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকে জানে। এই কারণে আমাদের মনটা খারাপ হয়েছে এবং সেটা নিয়েই কথা বলব। সেজন্য আজকে সবার সঙ্গে বসার জন্য এখানে আসছি।


আরও খবর