আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মিস ইউনিভার্সে প্রথম প্লাস সাইজ মডেল জেন দীপিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিস ইউনিভার্স কথাটা ভাবতে গেলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে রোগা পাতলা অল্পবয়সী সুন্দরী কোনো মেয়ে। কিন্তু সেই ভাবনাকে এবার ভেঙে দিতে যাচ্ছেন মিস নেপাল জেন দীপিকা গ্যারেট। তিনি প্রথম প্লাস সাইজ মডেল যিনি মিস ইউনিভার্সের এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন। গর্বের সঙ্গে বিউটি পেজেন্টে লেখালেন তার নামও।

মিস ইউনিভার্সের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো প্লাস সাইজ মডেল অংশ নিলেন। সুইমস্যুট রাউন্ডে তিনি সবার নজর কেড়ে নেন। তার কনফিডেন্স, তার সৌন্দর্য সবার মন কেড়ে নেয়। মেটালিক গ্রিন সুইমস্যুট পরে তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাঁটতে দেখা যায়। সঙ্গে পরেছিলেন স্ট্র্যাপ হিল এবং বড় কানের দুল। সাজ সম্পন্ন করতে খুলে রেখেছিলেন চুল।

সেরা ২০ প্রতিযোগীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তিনি নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এই সুখবর জানিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আমি আমার ফ্যান এবং যারা আমায় সমর্থন করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, আর সেটাই দিন শেষে ম্যাটার করে। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রিয়েল সাইজ বিউটির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। এই বিউটি পেজেন্টে দাঁড়িয়ে স্টিরিওটাইপ ভাবনা ভাঙতে পেরে গর্বিত।

প্রসঙ্গত, জেন দীপিকা গ্যারেট পেশায় একজন নার্স এবং ব্যবসায়ী। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য এবং বডি পজিটিভিটি ছড়ানো নিয়েও কাজ করে থাকেন।


আরও খবর



১৯ নভেম্বর : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ রোববার ১৯ নভেম্বর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৮১৬ - পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬৩ - মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গেটিসবার্গে তার বিখ্যাত স্বাধীনতার ভাষণ দেন।

১৯৪২ - সোভিয়েত ইউনিয়ন স্তালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।

১৯৭৭ - মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাস সফর করেন।

১৯৮২ - দিল্লিতে নবম এশিয়ান গেমস শুরু।

১৯৯০ - ওয়ারশ ও ন্যাটো জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতারা প্যারিসে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পূর্ব ও প্রাচ্যের দুই ব্লকের মধ্যকার শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটান।

১৯৯৯ - চীন প্রথমবারের মতো শেন ঝু স্পেসক্রাফট মহাকাশে প্রেরণ করে।

জন্ম:

১৭১১ - মিখাইল লোমনোসভ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, জ্যোতির্বিদ ও ভূগোলবিদ।

১৮০৫ - সুয়েজ খালের নকশাকার ফরাসি প্রযুক্তিবিদ ভিকঁৎ ফ্যের্দিনা মারি দ্যা ল্যেসেপস ।

১৮৩১ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিংশতিতম রাষ্ট্রপতি জেমস গারফিল্ড।

১৮৩৫ - ঝাঁসির রাণী ও ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পথিকৃৎ লক্ষ্মী বাঈ।

১৮৩৮ - ব্রাহ্ম সমাজের নেতা ও সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেন।

১৮৪৩ - রিচার্ড আভেনারিউস, জার্মান বংশোদ্ভূত সুইস দার্শনিক ও অধ্যাপক।

১৮৭৭ - কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮৮৭ - জেমস ব্যাচেলার সামনার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৮৯৩ - চীনের কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম।

১৯১২ - জর্জ এমিল পালাডে, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রোমানীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।

১৯১৫ - আর্ল উইলবার সাদারল্যান্ড জুনিয়র, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ফার্মাকোলজিস্ট ও প্রাণরসায়নবিদ।

১৯১৭ - ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জওহের লাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ।

১৯১৮ - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, তিনি ছিলেনভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক।

১৯২৩ - গীতিকার সলিল চৌধুরী ।

১৯৩৬ - ইউয়ান টি. লি, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তাইওয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৫১ - ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী জিনাত আমান ।

১৯৫৪ - আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, তিনি মিশরের ফিল্ড মার্শাল, রাজনীতিবিদ ও মিশরের ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।

১৯৬১ - মেগ রায়ান, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

১৯৮৫ - ক্রিস্টোফার ঈগলস, তিনি ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৭ - সিলভিয়া সোলার এস্পিনসা, তিনি স্প্যানিশ টেনিস খেলোয়াড়।

মৃত্যু:

১৬৬৫ - নিকোলাস পউসিন, তিনি ছিলেন ফরাসি বংশোদ্ভূত ইতালীয় চিত্রশিল্পী।

১৮২৮ - অষ্ট্রিয়ার খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ ফ্রান্তেয সোবের্ট।

১৮৩১ - ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী সৈয়দ মীর নিসার আলী ( তিতুমীর )।

১৯৪২ - ব্রুনো সচুলয, তিনি ছিলেন পোলিশ চিত্রশিল্পী ও সমালোচক।

১৮৫০ - রিচার্ড মেন্টর জনসন, তিনি ছিলেন আমেরিকান কর্নেল, আইনজীবী ও রাজনীতিক।

১৯৮৮ - জাতীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রূপকার ও চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান।

১৯৮৯ - বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সামরিক কর্মকর্তা এম এ জলিল ।

২০০৪ - জন রবার্ট ভেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও অধ্যাপক।

২০০৭ - সাংবাদিক, সঙ্গীত শিল্পী, প্রথা বিরোধী মানুষ, দলছুট ব্র্যান্ডের গায়ক সঞ্জীব চৌধুরী।

২০১১ - ব্যাসিল ডিঅলিভেইরা, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।

২০১৩ - ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী ও অধ্যাপক।

দিবস:

বিশ্ব টয়লেট দিবস ৷

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।


আরও খবর
৮ ডিসেম্বর : ইতিহাসে এই দিনে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

৬ ডিসেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

পিরোজপুর শত্রু মুক্ত হয় আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে পিরোজপুর পাকিস্তানী হানাদার, রাজাকার, আলসামস ও আলবদর মুক্ত হয়। এ দিনে ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। পিরোজপুরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের কমান্ডের আওতায়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার ১৮ ঘন্টার মধ্যে পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রাগার ভেঙ্গে অস্ত্র গুলি নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নেয়।

১৯৭১ সালের ৩ মে পিরোজপুরে প্রথম পশ্চিম পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী প্রবেশ করে। বরিশাল থেকে গানবোর্টে চড়ে ৩২ পাঞ্জাব ও ২২ বালুচের ২ প্লাটুন বর্বর সৈন্য শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌ-বন্দর থেকে শহরে প্রবেশের পথে প্রথমেই তারা মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে নারকীয় গণহত্যা।

এ দিনেই তারা শতাধিক নিরাপরাধ নারী-পুরুষ শিশুকে হত্যা করে। জ্বালিয়ে দেয় শহরের ও শহরতলীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শতশত বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খাদ্যগুদাম। ৮ মাস স্থানীয় শান্তিকমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজনদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মূল মন্ত্র বুকে ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার অপরাধে ৫ মে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদের বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তখনকার মহাকুমা প্রশাসক মো: আব্দুর রাজ্জাক, ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল বারী মো: মিজানুর রহমান, হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের পিতা মহাকুমা পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহমেদসহ সরকারি কর্মকর্তাদের।

এভাবে ৮ ডিসেম্বর পালিয়ে যাওয়ার দিন পর্যন্ত রক্ত পিপাষু বর্বর হায়নারা তদানিন্তন পিরোজপুর মহাকুমার ৯টি থানার মুক্তিকামী নারী-পুরুষ শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করে।

পিরোজপুর মহাকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ও শহরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী ছাত্রনেতা ওমর ফারুক, ফজলুল হক খোকন, বিধান মন্টু, সেলিম, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১ম স্থান অধিকারকারী গণপতি হালদার, জিয়াউজ্জামান, গৃহবধু ভাগিরথী সাহাসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে পৈশাচিকভাবে বলেশ্বর খেয়াঘাটের বধ্যভূমিসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হয়।

পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ৭ ডিসেম্বর রাতে সামছুল হক খানের নেতৃত্বে পাড়েরহাটের দিক থেকে এবং হাবিবুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে আরেকটি শক্তিশালী দল নাজিরপুরের পথ ধরে শহরের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসার খরব পেয়ে দখলদার বাহিনী পিরোজপুর ছেড়ে গানবোর্টে চড়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়।

এর আগে স্বরূপকাঠী পেয়ারা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের গড়ে তোলা দুর্গে পাকবাহিনী আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কয়েকজন পাকিস্তানী সেনা হতাহত হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে পাকিস্তানী বাহিনী পর্যুদস্ত হতে থাকে। অবশেষে ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর ছেড়ে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

যাবার দিন তারা ন্যাশনাল ব্যাংক লুট করে সেখানে গচ্ছিত টাকা এবং স্বর্ণ নিয়ে যায়। হত্যা করে বহু মুক্তিকামী জনতাকে।

পিরোজপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সকাল ৯টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন এবং সেখান থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত একটি র‌্যালীর আয়োজনের পাশাপাশি সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এ দিনটি যথাযোগ্য আনন্দ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী দু'দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আপাতত রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মৌসুমি স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ও এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী দু'দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবারও আবহাওয়া একই রকম থাকতে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা তুলে ধরে শাহিনুল ইসলাম জানান, এই সময়ে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মিগজাউম’ শক্তি হারাচ্ছে, জেঁকে বসবে শীত

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এখন একটা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ছে, সেখানে আপনাদেরও একটু নজর দিতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করবেন যেন আমাদের অর্থনীতি কোনোমতেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডারে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান গ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন শীত-মৌসুমে শীতার্ত মানুষের সহায়তায় কম্বল ও শীতবস্ত্র প্রদানের জন্য এই অনুদান নেওয়া হয়। দেশের শীতার্ত মানুষের জন্য অনুদান প্রদান করায় ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের দেশে টাকা-পয়সা থাকলে সেটা দেশের জন্যও লাভ, আর নিজেদেরও একটা নিশ্চয়তা থাকে। সেই জিনিসটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। নিজের দেশটার দিকে আগে তাকাতে হবে। আমি অনুরোধ করব, সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস-অবরোধে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় ইদানিং আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস আর অবরোধের নামে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমি জানি না এতে কার কতটুকু লাভ হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি (হচ্ছে)।

তিনি বলেন, একজন মানুষ হয়তো কষ্ট করে সারাজীবনে একটা বাস (কেনেন), সেটা পোড়াল। বাসের ভেতর হেলপার ঘুমিয়ে আছেন, সেই ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটাচ্ছে আমি জানি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেই ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩ সিট (আসন) পেয়েছিল। বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টা সিট। আর বাকিগুলো পায় অন্যরা। আমরা সরকারে এসেছি, এরপর ২০১৪, ২০১৮ সালের নির্বাচন। তখনো অগ্নিসন্ত্রাস এবং নানান ঘটনা। সেগুলো অতিক্রম করে প্রায় ১৫ বছর আমরা সরকারে।

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ছিল, সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আগামীতে সেইটুকুও থাকবে না। দেশে হতদরিদ্র থাকবে না। একেবারে হতদরিদ্রদের বিনা পয়সায় খাবার, ওষুধ, চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।


আরও খবর
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




এক মাসে ২৭৪ জনের প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

তিন মাস বাদে দেশে ডেঙ্গুতে প্রাণহানির সংখ্যা তিনশর ঘরে নামল; নভেম্বরে মশাবাহিত রোগটি ২৭৪ জনের প্রাণ কেড়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪০ হাজার ৭১৬ জন রোগী।

সবমিলিয়ে এ বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬২২ জনে, আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর আগে ডেঙ্গুতে এতো মৃত্যু ও রোগী দেখেনি বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে মারা যায় ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন ও জুনে ৩৪ জন মারা যায়। এরপরই মৃতের সংখ্যায় উল্লম্ফন ঘটে; জুলাইতেই মারা যান ২০৪ জন।

তারপর টানা তিন মাস আক্রান্তের সংখ্যা চারশর ঘরে থাকে। অগাস্টে এ সংখ্যা ৩৪২, সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ ও অক্টোবরে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের এসে সেই সংখ্যা তিনশর ঘরে ফিরেছে। এর আগের তিন মাসে কেবল মৃত্যুই বেশি দেখা যায়নি, আক্রান্তও অনেক বেশি ছিল।

অগাস্টে আক্রান্ত হয় ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং অক্টোবরে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।

এর আগে জানুয়ারিতে রোগটি হাসপাতালে ভর্তি হয় ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৭৬ জন আক্রান্ত হয়। 

আরও পড়ুন>> ৮২ শতাংশ কার্যকারিতা হারিয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নভেম্বরের শেষ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৭৭ জন রোগী।

নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৩৩ জন। আর ঢাকায় এ সংখ্যা ১৪৪।

এ বছর যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তাদের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন। ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ৩ হাজার ৪৭৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৯০৮ জন ঢাকায় এবং দুই হাজার ৫৭১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।


আরও খবর