আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মজুত থেকে দেড় কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মজুত থেকে বাজারে দেড় কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে বুধবার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এসপিআর ডেলিভারি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই তেল ছাড়ার ঘোষণা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রাম ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর আগে ১৮ কোটি ব্যারেল তেল মজুত থেকে বিক্রি করার কথা জানিয়েছিল দেশটি। সেই পরিকল্পনার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও দেড় কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হবে এবার।  আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে জ্বালানির সংকট দূর তথা দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের অন্যতম জোগানদাতা দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পর তেলের বাজারে সম্ভাব্য অস্থিরতা কমাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম চড়া হওয়ার পাশাপাশি নতুন সংকট সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমানো। সম্প্রতি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন দিনে ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবকে পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



আ.লীগ কোনো ষড়যন্ত্র-পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) কোনো ষড়যন্ত্র ও পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিকেএমইএ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে তার অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দিবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল। সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপড়ে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে। 

আরও পড়ুন>> অভিযানের খবরে দাম কমল ডিম-পেঁয়াজ-আলুর

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমানের এমপির সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে স্ত্রীর কবরের পাশে হবে সোহানের দাফন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

স্ত্রী প্রিয়ার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই চলে গেলেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। মঙ্গলবার স্ত্রীর মৃত্যুর পর বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শেষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোহান।

নির্মাতার পারিবারিক সূত্রের বরাতে এমন তথ্যই জানালেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত। এদিন সন্ধ্যার পর সোহানের মৃত্যুর খবর শুনে তার উত্তরার বাসায় যান কাজী হায়াৎ, শাহীন সুমন সহ পরিচালকদের একটি টিম।

সোহানকে দেখার পর তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও এসময় কথা বলেন তারা। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কাজী হায়াৎ ও শাহীন সুমন। এসময় সোহানের জানাজা ও দাফন নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, শেষবারের মতো সোহানকে এফডিসিতে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও তার পরিবার সেটা চাইছেনা।

শাহীন সুমন বলেন, সোহান ভাই অনেক বড় নির্মাতা। তার বহু শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। আমরা শেষবারের মতো এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। কিন্তু এর পুরোটাই নির্ভর করছে তার পারিবারিক সিদ্ধান্তের উপর। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

এসময় তিনি বলেন, সোহান ভাইয়ের ইচ্ছে স্ত্রীর কবরের পাশে শায়িত হবেন। এমনটাই তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন। সেক্ষেত্রে তাকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পরিচালক সোহানের পরিবার তাড়াতাড়ি মরদেহ দাফন করতে চান। তাই রাতেই মরদেহ টাঙ্গাইলে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোরে জানাজা শেষে ফজরের পরপরই মরদেহ দাফন করা হবে।


আরও খবর
যেখানে সবার শীর্ষে ক্যাটরিনা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জানাজা ও জুমার নামাজ থেকে মোবাইল চুরি করত চক্রটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ও আশপাশের জেলায় জুমার নামাজ ও জানাজায় অংশ নিতো সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা। তাদের টার্গেট থাকতো মুসল্লিদের পকেটের দিকে। সময় বুঝে পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে চম্পট দিতো চক্রটি। এমনই একটি চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) সদস্যরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তারা হলেন- মো. বাহাউদ্দিন হোসেন মিজি ওরফে বাহার, রমজান আলী, মো. হামিম আহমেদ ওরফে হামিম, মো. আতিকুল ইসলাম, মো. পারভেজ হাসান, মো. মাসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ফয়সাল আহমেদ রনি ও মো. মিল্লাত হোসেন। চক্রটি পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে জুমার নামাজ ও জানাজা থেকে মোবাইল ফোন চুরি করতো।

গত বুধবার রাতে রাজধানীর চাঁনখারপুল, জুরাইনের বিক্রমপুর প্লাজা ও বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্কসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৩টি ল্যাপটপ, একটি মনিটর, ৭টি মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী এবং মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ১৬টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রটি পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে জানাজা ও জুমার নামাজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করতো। গতকাল রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, ওয়াজ মাহফিল এবং জানাজাসহ জনসমাগমস্থল থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে। এরপর চোরাই মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে কেনাবেচা করে। চক্রটির সদস্যরা অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশে কোনো জানাজা আছে কিনা তা খুঁজতে থাকে। কোনো জানাজার সন্ধান পাওয়ার পর তারা খোঁজ-খবর নিতে থাকে সেখানে কেমন মানুষের সমাগম হতে পারে। এ কাজের সাংকেতিক নাম দেয় বডিকাজবডিকাজ বলতে তারা বুঝায় লাশের কাজ, মানে জানাজার কাজ। জানাজার স্থান নির্ধারণ হওয়ার পর তারা সেখানে পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে যায়। সেখানে গিয়ে তারা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়।

প্রতিটি গ্রুপে তিনজন করে সদস্য থাকে। এই গ্রুপের সদস্যরা জানাজার ভিড়ের মধ্যে কৌশলে একজনের পকেটে থেকে মোবাইল চুরি করে গ্রুপের দ্বিতীয় সদস্যকে দেয়। দ্বিতীয় সদস্য মোবাইলটি আবার তৃতীয় আরেকজনকে দেয়। মোবাইল হাতে পাওয়ার পর তৃতীয় ব্যক্তি জানাজার স্থান ছেড়ে চলে যায়। পকেট থেকে মোবাইলটি যে চুরি করে তাকে বলা হয় মহাজন। জানাজা ছাড়াও চক্রটির টার্গেটে থাকত শুক্রবারের জুমার নামাজ। শুক্রবার যেসব মসজিদে বেশি মানুষ জুমার নামাজ আদায় করতে আসেন, সেসব মসজিদে চক্রটির সদস্যরা তিনজনের গ্রুপ করে অবস্থান নিত। জুমার নামাজের কাতারে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে একই কায়দায় মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় তারা। মসজিদের এই চুরিকে তারা মসজিদ কাম বলে থাকে। জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে চক্রটির সব থেকে বেশি গ্রুপ সক্রিয় থাকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে।

এটিইউ কর্মকর্তা ছানোয়ার আরও বলেন, চোরাই মোবাইল গ্রুপগুলোতে থেকে সংগ্রহ করত চক্রের সদস্য বাহার। তার একজন মোটরসাইকেল চালক আছে। যে বাহারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রুপগুলো থেকে মোবাইল সংগ্রহ করে। বাহার পরে মোবাইলগুলো গ্রেফতার মাসুদের কাছে পাঠিয়ে দিত। গ্রেফতার মাসুদের কাজ হচ্ছে চোরাই মোবাইলগুলো নির্দিষ্ট দোকানে পৌঁছে দেওয়া। তদন্তে এমন তিনটি দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দোকানগুলো হলো, জুরাইনের বিক্রমপুর প্লাজার এসআই টেলিকম যার মালিক গ্রেফতার সাইফুল, জুরাইনের সেতু মার্কেটের ফয়সাল টেলিকম যার মালিক গ্রেফতার ফয়সাল ও যমুনা ফিউচার পার্কের চতুর্থ তলার একটি দোকান যার মালিক গ্রেফতার মিল্লাত। এ দোকানগুলোতে চলত টেকনিক্যাল ও মোবাইল বিক্রির কাজ। প্রথমে মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা হতো। তারপর মোবাইলগুলোর প্যাটার্ন লক খোলা হতো। সর্বশেষ মোবাইল থেকে ল্যাপটপের মাধ্যমে ফ্লাশ দিয়ে বিক্রি করা হতো।


আরও খবর



আফগানদের উড়িয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপে হার দিয়ে শুরুর পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাক ফুট থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দৃঢ়তা দেখিয়ে রেকর্ড রান তুলেছে। বল হাতে দাপট দেখিয়ে তুলে নিয়েছে ৮৯ রানের বড় জয়। এই জয়ে বাংলাদেশের নেট রানরেট দাঁড়িয়েছে (+০.৩৭৩)। তাতে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গেছে টাইগারদের।

একাদশে তিন পরিবর্তন এনে লাহোরে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন মেকশিফট ওপেনার মেহেদী মিরাজ। তিনিই বুমেরাং হয়েছেন দলের জন্য। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন মিরাজ। তার সঙ্গে রেকর্ড জুটি দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল শান্তও। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে তোলে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৪ রান।

জবাব দিতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কিন্তু তিনে নামা রহমত শাহকে নিয়ে ওই ধাক্কা সামলে নেন ইব্রাহিম জাদরান। তারা ৭৮ রান যোগ করেন। রহমত ফিরে যান ৩৩ রান করে। এরপর অধিনায়ক হাসমতউল্লাহর সঙ্গে জুটি হয় ইব্রাহিমের। তারা যোগ করেন ৫২ রান।

ওপেনার ইব্রাহিম ফিরে যান ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে। মুশফিক দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন। ওই ধাক্কা সামলাতে একপ্রান্ত দিয়ে লড়াই করে যান আফগান অধিনায়ক শাহেদি। তিনি ৫১ রান করে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফিরতেই ধসে যায় আফগানিস্তান। ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে অলআউট হয় তারা।


আরও খবর



রুয়েটের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ছাত্রদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সকাল ১০টায় রুয়েটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দরালী বের হয়। যার নেতৃত্ব দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও রাজশাহী ঢাকা-মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে পোস্টার প্রেজেন্টেশন এন্ড ইনোভেশন প্রজেক্ট আইডিয়া কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম আইডিয়া কনটেস্ট পরিদর্শন করেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির সম্পদ। তাদের দেশের মানুষের কল্যাণে সাশ্রয়ী ও সহজে ব্যবহারযোগ্য নিত্য নতুন টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৩ উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আওয়ালের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন, গবেষণা ও সম্প্রাসরণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন।

এছাড়াও মেডিকেল সেন্টারের রুয়েটের শিক্ষার্থীদের মনোচিকিৎসা ও কাউন্সিলিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে রুয়েটের অগ্রযাত্রা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন, বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক, অনুষদের ডীন, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


আরও খবর