আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

মন্দার শঙ্কা, প্রস্তুতি কতটুকু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দীর্ঘায়িত হতে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাবেই এই মন্দার আশঙ্কা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সম্ভাব্য এই মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন সংস্থা।

এ নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশ নিচ্ছে আগাম প্রস্তুতি। বাংলাদেশও বসে নেই। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য মন্দার প্রভাবে আগামী বছর দেশের অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন প্রস্তুতির কথাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের মানুষকে তিনি প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে করে উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষ সঞ্চয় করতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না হয়। অপচয় বন্ধ করতে সরকারি সংস্থাগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন হবে, তা নিয়ে এখনই চিন্তাভাবনা করার কথা জানিয়েছেন।

সরকার কতটা প্রস্তুত এ বিষয়ে খোঁজ নিলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দা দেখা দিলে বাংলাদেশও তার বাইরে থাকবে না। তবে বাংলাদেশ কতটা চাপে পড়বে, তা নির্ভর করছে মন্দার ব্যাপকতার ওপর। সঠিক পদক্ষেপ নিলে সংকট এড়ানো সম্ভব। তবে আগামী কিছুদিন যে বিশ্ব অর্থনীতি ভালো যাবে না, তা বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস থেকে নিশ্চিত। এজন্য সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ঠিক রাখা। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন, যাতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সেবা ও ভোগ চাহিদা ধরে রাখা। কর্মসংস্থান ও সঞ্চয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও সরকারের লক্ষ্য। মন্দার আশঙ্কা যেহেতু আগামী বছর, তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে কৌশলগত উদ্যোগ ও বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাবে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের আমদানি পণ্যের দামে অস্থিরতা আরও বাড়বে। ডলারে সংকট আরও প্রকট হবে। এটি ধাক্কা দেবে রিজার্ভের ওপর। কমবে রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। বাড়বে মূল্যস্ফীতি। এসব মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে সচল রাখাই হবে সরকারের কার্যকর প্রস্তুতি। তবে এই প্রস্তুতির জন্য দরকার সরকারের ব্যয় বাড়ানো। কিন্তু রাজস্ব আয় কমছে। সম্ভাব্য মন্দায় এটা আরও কমবে। আবার যেহেতু বিশ্বমন্দা। দাতাদের কাছে প্রায় সব দেশই ঋণ চাইবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ওই অস্থির পরিস্থিতিতে কতটা ব্যয় বাড়াতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় তো থাকছেই।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৭-০৮ সালেও সফলভাবে বিশ্বমন্দা মোকাবিলা করেছে। করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে। সম্ভাব্য মন্দাও সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তবে সরকার যদি সতর্কভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে অর্থনীতি আবারও পিছিয়ে যাবে।

এদিকে বর্তমানে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তার হালনাগাদ পরিস্থিতি জানতে আগামী নভেম্বরে বসছে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে আর্থিক বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক। ওই বৈঠকেই চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যয়সংকোচনের বাজেট মূল্যায়নের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেরও রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মন্দা দেখা দিলে সরকার তার প্রভাব মোকাবিলায় একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় সরকার ২৮টি প্যাকেজ নিয়েছে। আগামীতে প্রয়োজন হলে একই ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার হার বাড়াতে পারে। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। চলতি বছরের বাজেটে এই নতুন চ্যালেঞ্জ ও করোনার প্রভাব মোকাবিলার উদ্যোগ অব্যাহত আছে। এখন আসন্ন মন্দার শঙ্কায় আগামী বাজেটেও অনুৎপাদনশীল প্রায় সব খাতে অপ্রত্যাশিত ব্যয় কমিয়ে তা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।

বিশ্বমন্দায় দেশে দেশে যা ঘটতে পারে : বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে জ্বালানির বর্তমান সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বাড়তে পারে দামও। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কমবে চাহিদা। এতে করে কমে যাবে রপ্তানি আয়ের ধারাবাহিকতা। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়বে বিশ্বের বিভিন্ন খাতের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। ফলে কমতে পারে রেমিট্যান্স। বৈশ্বিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান সঞ্চিত রিজার্ভ আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে কমে যায়। শিল্পোৎপাদন হ্রাস পায় এবং ব্যাংকে ব্যাংকে নতুন খেলাপি উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়। এসবের প্রভাবে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনও (জিডিপি) কমে যেতে পারে দেশে দেশে।

প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা : মন্দার কারণে বাড়বে আমদানি পণ্যের দাম। আমদানি খরচ কমাতে সরকার সব খাতেই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে কৃষি ও উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে বাড়তি ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা বাবদ মোট বরাদ্দের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেজন্য উন্নয়ন ব্যয় ছোট করা হতে পারে।  চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেটের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। আগামী বাজেটে তা সাড়ে ৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের পরিবর্তে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতেও উৎসাহ দেওয়া হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, আগামীতে তার সুবিধাভোগী বাড়ানো হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: রাশিয়া-ইউক্রেন

আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



ঈদের রেসিপি: মজাদার দুধ সেমাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের সকালে কয়েক ধরনের সেমাই থাকে টেবিলে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ সেমাই।

ঈদের খাদ্যতালিকায় যে রেসিপিটি না থাকলেই নয়, সেটি দুধ সেমাই। কীভাবে পারফেক্ট স্বাদের দুধ সেমাই রান্না করবেন? জেনে নিন সেটা।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, চিনি এক কাপ, সেমাই এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, বাদামকুচি এক টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, এলাচ দুইটি ও দারুচিনি দুই টুকরা।

প্রণালি: একটি পাত্রে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সেমাই হালকা ভেজে নিন। তারপর আরেকটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। দুধে চিনি মেশান। তারপর সেমাই দিন। এবার একে একে এলাচ, দারুচিনি, বাদামকুচি ও কিশমিশ দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ঢেলে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।


আরও খবর



চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর