ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অর্ধশত বছরের পুরাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বারোয়ারি কাঁলি মন্দিরের জমি দখল করে প্রবেশ পথে দোকান নির্মাণ ও মাঠ দখল করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ায় উপসনা করতে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে ভক্তদের। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে একাধিক বার অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধশত বছর আগে উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছিটকী বাজারে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে জমি দখল করে প্রবেশ পথে দোকানঘর ও মাঠ দখল করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখছে সেনাবাহিনীর সদস্য শাওন দর্জি ও ঐ এলাকার বাসিন্দা আজাদ ফকির সহ স্থানীয় কয়েকজন কতিপয় প্রভাশালী।
ফলে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাৎসরিক মনসা পূজা দিতে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে কয়েক হাজার ভক্তদের। পথ না থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে মন্দিরের পাশে স্কুলের বাউন্ডারি দেয়াল টপকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে ভক্তদের। অপরদিকে মাঠ না থাকায় ভক্তদের আহারের রান্না ও খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে স্কুলের বারান্দায়।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষরা ৫০ বছর যাবত এখানে পূজা পালন করে আসছি। প্রতি বছর এখানে কাঁলি, শিতলা, রক্ষাচন্ডী, মনষা, শিব, হরি, শনি ও বিঞ্ষু দেবতার পূজা উদ্যাপিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়াও এখানে প্রতিদিন স্থানীয়রা এই মন্দিরে তৃর সন্ধ্যা দেয়া হয়। কয়েক মাস আগে আমাদের মন্দির দখল করায় আমরা পূজা দিতে পারছি না।
মন্দির কমিটির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে রাতের আধাঁরে মন্দিরের প্রবেশ পথের গেইট ভেঙ্গে একটি দোকান ও মাঠের একাংশ দখল করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় শাওন দর্জি ও তার সহযোগী আজাদ ফকির, শাহিন দর্জি, জাহিদুল ইসলাম সহ তাদের পক্ষের লোকজন।
এদের মধ্যে শাওন দর্জি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে নিযুক্ত রয়েছে। এদিকে মন্দির দখলের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
অভিযুক্তদের দাবি, মন্দিরের সামনে ও পথের জমি তাদের নিজস্ব ক্রয়কৃত সম্পত্তি। প্রকৃত ওয়ারিশের কাছ থেকে এটি তারা ক্রয় করছে বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মিঠু সিকদার বলেন, আাম বিষটি শুনেছি। পূজা শেষ হলে এটি সমাধান করা হবে।