আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মনোনয়ন পাইয়ে দিতে ৩০০ কোটি টাকা দাবি করতেন তুষার : র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্য সংগ্রহ করেন আবু হানিফ তুষার ওরফে হানিফ মিয়া (৩৯)। এর মধ্যে যাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম, তাদেরকে টার্গেট করা হতো। পরে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তাদের কাছে ৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতেন। কোনো প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন হলে ফাইভ স্টার হোটেলে ডাকতেন। এ সময় দামী গাড়িতে করে সেখানে যেতেন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেতে ১০-১১ জন তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে হানিফ মিয়া নামের এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, অ্যামুনেশন, গাড়ি ও বিভিন্ন ভিডিও এবং এডিট করা ছবি উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায়।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব জানায়, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নসহ পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি কর্মকর্তার কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করতেন ওই ব্যক্তি। এর পাশাপাশি সরকারি চাকরি, রাজনৈতিক দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় হিসেবে মিথ্যা পরিচয় ও সুসম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করছিলেন। এ ছাড়াও আবু হানিফ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপস থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য সেজে পদে পদায়ন ও পদোন্নতি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়া সংক্রান্ত ও বিভিন্ন অংকের অর্থ দাবি সংক্রান্ত বার্তা নিজেরাই নিজ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসাতেন এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করে তা টার্গেট করা ব্যক্তিকে পাঠাতেন। সে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে তার টার্গেট করা ব্যক্তিকে দেখাতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ এইচএসসি পাশ হলেও তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০৮ সালে মটরপার্টস এর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়। পরিবহন সেক্টরে দেশের বিভিন্ন রুটে তুষার এন্টারপ্রাইজ পরিবহন নামে তার বেশ কয়েকটি বাস ও নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার রয়েছে। তিনি ঢাকার নাখালপাড়া এবং ধানমন্ডি এলাকায় দলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা চালাতেন।

র‌্যাব জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার শুরু করেন হানিফ মিয়া। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌশলে রাজনৈতিবিদ, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরিচিত হয়। পরে সুসম্পর্ক তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অফিস বা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ছবি তোলে এবং প্রতারণার কাজে এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক একাউন্ট খোলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে, অনুষ্ঠান, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সময় ভ্রমণ করে ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোডের মাধ্যমে তার ফেইসবুক একাউন্ট এর পরিচিতি ও দেশে-বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্পন্সর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্যে আসা, প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জমি ও সম্পত্তির মালিক হওয়া, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক মামলা রয়েছে এবং ওই মামলায় একাধিকবার কারাভোগও করেছেন এই প্রতারক। 

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের জন্য প্রস্তুত দুই হাজার মার্কিন সেনা

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা জানতে পেরেছি ১০-১২ জনকে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হানিফ। প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ের কথা বলে মিথ্যা অপপ্রচার করতেন তিনি। ২০১৫ সালে হানিফ যে ব্যক্তির পিএস হিসেবে কাজ করতেন তাকেও মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি এভাবে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় চলাফেরা ও তাদের সঙ্গে ছবি রয়েছে এ বিষয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে যে ছবিগুলো রয়েছে সেগুলো এডিট করা হয়েছে বলে হানিফ স্বীকার করেছেন। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করতে এগুলো তৈরি করেছেন। এই এডিট ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি অনেকের সন্নিকটে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই ছবিগুলো দেখিয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়র কথা বলে কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে পরিচিত হন। কোনো কোনো টিভি চ্যানেলেও তিনি গিয়েছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে প্রতারণার করেছেন। আরও যারা এ ধরনের প্রতারণা করছেন তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।


আরও খবর
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বেড়াতে গিয়ে অটোভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ইন্দ্রাবাইদ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আদনান সোহাগ (১৮) এবং একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে সবুজ (২০)। সোহাগ সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালের দিকে সোহাগ ও সবুজ দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা কামালপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা দুজনই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকেও মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অপরজন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



ভোলায় আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

গেলো কয়েক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'। ভোলা উপকূলে 'মিধিলির' তেমন প্রভাব না পড়লেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কৃষকের আধাপাকা ধান নুইয়ে পড়ার কারণে পাকা ধানের কিছু অংশ পঁচে গেছে।

কৃষকরা জানান, বিলের পর বিল পাকা ধানে ভরা। কিছু কিছু ধান কেটে ঘরে তুলেছেন অনেকে। তবে বেশির ভাগই এখনও মাঠেই রয়েছে। অনেকে কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকটে সে চেষ্টাও সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আবার ঝড়- বৃষ্টি হলে এসব ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে।

ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আমনের ফলন ভালো হলেও ঘূর্ণিঝড় কৃষকদের মানে শঙ্কা তৈরি করেছে। সবাই চেষ্টা করছেন দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার।

স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ৪০ একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানেক মাঠে থাকলে ধান পুরো পুষ্ট হতো। ঝাড় বৃষ্টি হওয়ার আগেভাগেই ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছি।

কৃষক মফিজ বলেন, বিলে আট বিঘা জমিতে আমন মৌসুমের বিআর ১০৩৮৭ ধান চাষ করেছি। 'মিধিলির' কারণে প্রায় দুই বিঘা জমির ধান ক্ষেতে নুইয়ে পড়ে। বিঘাতে ২০-২২ মণ ধান পেতাম। কিন্তু মিধিলির কারণে এ বছর কমপক্ষে ১০ মণ ধান কম পাব। আরও কিছু ধান চিটা হবে।

সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্ভব হতে পারে। এরপরও অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ জমিন ধান গোলায় তোলা সম্ভব হবে না। কিছু কিছু জায়গায় ধান এখনো অপরিপক্ক রয়েছে। আধা পাকা এই ধান পাকতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে।

ভোলা জেলা কৃষি উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, জেলার ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে, এখন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২৬ হেক্টর। তবে ঝড় বৃষ্টির কারণে ৫% ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবারও মোটামুটি ভালো ফলন হওয়ার আশাকরি।

নিউজ ট্যাগ: ভোলা

আরও খবর



লেবাননে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানোর দাবি করেছে।

এর আগে, উত্তর ইসরায়েলের দোভিভ শহরে হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত সাত ইসরায়েলি আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দোভিভে ৭ জন বেসামরিক আহত হয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি সীমান্তের কাছের দোভিভের উত্তরে কয়েকটি বেসামরিক যানবাহনে আঘাত করেছে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলেছে, উত্তর লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আহত বেসামরিকদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও তিন থেকে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে স্থানীয় চ্যানেল-১২ টেলিভিশনকে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন মুখপাত্র।

চ্যানেল-১২ বলছে, আহতদের উদ্ধার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণে কামানের গোলা ছুড়েছে বলে জানিয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলের মেনারা এবং ইরন শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় লেবানন থেকে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলার জবাবে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর এই হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানায়নি আইডিএফ।

টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, পৃথক এক ঘটনায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের একটি সামরিক চৌকিতে মর্টারের গোলাবর্ষণ করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সৈন্যরা লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর অবস্থানে পাল্টা গোলা ছুড়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে। হিজবুল্লাহর চালানো হামলার বেশিরভাগেরই লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের সামরিক চৌকি। যদিও শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহ সীমান্ত হামলা বন্ধ না করলে গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের পরিণতি ভোগ করতে পারে বৈরুত।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স।


আরও খবর
আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে যে প্রতিশ্রুতি দিল ২২ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কোনোভাবেই কার্বন নিঃসরণ কমানো যাচ্ছে না। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার নতুন এক প্রতিশ্রুতি দিল বিশ্বের ২২ দেশ। তারা বললেন, আগামী দশকগুলোতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে আরও বেশি ঝুঁকতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৮। সম্মেলনের তৃতীয় দিন আমেরিকাসহ বিশ্বের ২২ দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের কার্যক্রম বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ করা হবে।

আমেরিকায় ১৮ শতাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা একে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং বায়ু ও সৌরশক্তির নির্ভরযোগ্য পরিপূরক বলে জানান। তবে এর জন্য তহবিল গঠন ও অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বুলগেরিয়া, কানাডা, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, ঘানা, হাঙ্গেরি, জাপান, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা জন কেরি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার পাওয়া যাবে। বিজ্ঞান বলছে, এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করতে পারলে কার্বনের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। আগামী ২০৫০ সালেই যা সম্ভব।

প্রতিবারের মতো কপ-২৮ সম্মেলনেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানো। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলের ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী যোগ দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে শুরু হওয়ার পর কপের আর কোনো সম্মেলনে এত বেশি মানুষ অংশ নেয়নি। সম্মেলন আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।


আরও খবর
আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় কামাল আহমেদ (৫২) নামের বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাত ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় হেলমেট ও মাস্ক পরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি নওগাঁ ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির সাবেক সভাপতি।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে কামাল আহমেদ সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকা থেকে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন অটোরিকশার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। কামাল আহমেদকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হেলমেট ও মাস্ক পরা ছয়-সাতজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কামাল আহমেদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের পিঠে ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর