আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মোবাইলে কত রিচার্জ করলেন জানাতে হবে এনবিআরকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেটের খরচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানাতে হবে। এ জন্য বছরজুড়ে মোবাইল রিচার্জ বাবদ যে টাকা খরচ হয়, তা লিখে রাখতে হবে।

যাদের বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ তাদেরই কেবল সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাবনিকাশ জমার সাথে মোবাইল ও ইন্টানেট বাবদ খরচের তথ্য দিতে হবে।

নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় আইটি ১১গ (২০২৩) ফরমে খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। নতুন বিধিমালার আইটি-১০ বিবি ধারা মোতাবেক এ বিবরণী দিতে হবে।

পুরাতন আয়কর আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের খরচ উল্লেখ ছিল। বছর শেষে ফোনের মোট বিল আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হোত। নতুন আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের খরচ যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিবার যে মোবাইল ও ইন্টারনেট বাবদ খরচ হবে, তা লিখে রাখতে হবে এবং বছর শেষে আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে আয়কর রিটার্নে।

নতুন ব্যবস্থার ফলে আয়কর রিটার্নে নতুন করে ভীতি বাড়লো বলে মনে করেন আয়কর আইনজীবী মাহমুদ হোসেন খান। তিনি বলেন, নতুন আয়কর আইন সহজ করতে গিয়ে আরও জটিল করা হয়েছে। একজন আয়কর দাতা এখন আরও বেশি ভয় পাবেন। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় রাজস্ব অফিসগুলোকে আয়কর দাতাকে এক ধরনের ফাঁদে ফেলার সুযোগ হলো। পকেট থেকে টাকা খসাতে হবে। একজন করদাতার পক্ষে সারা বছরের মোবাইল ফোনে কত টাকা রিচার্জ করেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। নতুন আইন অনুযায়ী আয় রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে; বলেন এই আয়কর আইনজীবী।

নতুন আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলোব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসনসংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশসংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য। আগে ১১ ধরনের তথ্য দিতে হতো।


আরও খবর



বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যা জানাল ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন জানাবে তার দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পররাষ্ট্র-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এসেছে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গও।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, বাংলাদেশের বিষয়ে তার সরকারের অবস্থান স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছেন তারা।

শুক্রবার দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

ওই বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিনয় কোয়াত্রার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে উদ্বেগ, সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না।

উত্তরে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের বিষয়ে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছে রাজনৈতিক সংঘাত, সহিংসতা, যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।

সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি দিচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ঢাকায় সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক মিশন। বিভিন্ন মহল থেকে সংলাপের আহ্বান জানানো হচ্ছে, কিন্তু বিবদমান কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি।

বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সরকারগুলোকে প্রতিবারই সরব হতে দেখা যায়। এবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি কার্যকর করেছে, যার আওতায় সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারতেরও আগ্রহ থাকে। সে কারণে বাংলাদেশের বিষয়ে এর আগেও কথা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে। তবে সেসব বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত বলেন না।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা আমাদের জায়গা নয়। আমি মনে করি, যখন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয় আসে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের লক্ষ্যকে ভারত সমর্থন জানাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিনয় কোয়াত্রা বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি গড়ার যে রূপকল্প তারা ঠিক করেছে, সেক্ষেত্রে ভারত সমর্থন অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমরা খুব স্পষ্ট ছিলাম।


আরও খবর
ফের শ ম রেজাউল করিমকে চায় ভোটাররা

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে আজও ভারতের কলকাতা শহর। অন্যদিকে, দূষণ মাত্রার দিক থেকে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা কলকাতার দূষণ স্কোর ২৪৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে, রাজধানীর ঢাকার স্কোর ২০৮ অর্থাৎ রাজধানীর বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরের বায়ুর মানের স্কোর ১৭৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।


আরও খবর



মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় এক অনুষ্ঠানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নথি বলছে, মাতারবাড়ি বন্দর দেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে। এই বন্দরে জোয়ার-ভাটায় যেকোনও সময়ে ৮ হাজার টিইইউএসর জাহাজ ভিড়তে পারবে। এছাড়া শিপিং লাইনগুলো জাহাজ নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা ভোগ করবে। ফলে পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এ ছাড়া বন্দরকে ঘিরে মাতারবাড়ি মহেশখালী এলাকায় ব্যাপক শিল্পায়নসহ গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়ি মহেশখালী এলাকায় যে নগরায়ণ হবে তা গোটা এলাকাকে দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুরে পরিণত করবে। এই বন্দর ঘিরে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ হবে তা দেশের অর্থনীতি তথা জিডিপিতে ২-৩ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে। মাতারবাড়ি বন্দর হবে বাণিজ্যিক হাব। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ি বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততধিক গভীরতাসম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে।

এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২.২ হতে ২.৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে।

প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭.৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ি বন্দরের সাথে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে।


আরও খবর



হিন্দি সিনেমায় জয়া আহসানের অভিষেক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মুক্তি পাবে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর সিনেমা কড়ক সিং। এই সিনেমা দিয়ে হিন্দি ছবিতে অভিষেক হচ্ছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের। সিনেমাটিতে নয়না চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

ছবির গল্প অ্যামনেশিয়ায় আক্রান্ত অর্থনৈতিক দুর্নীতি বিভাগের এক কর্মকর্তাকে নিয়ে। এ কর্মকর্তা শ্রীবাস্তব ওরফে কড়ক সিং কেন, কীভাবে হাসপাতালে হাজির হলেন, তা নিয়ে এগিয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। তারকাবহুল এ ছবিতে জয়া ছাড়াও আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি, পার্বতী, সঞ্জনা সাংঘি প্রমুখ।

গত মাসে গোয়ায় ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটির। সেই প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন>> রণবীরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যের পেছনের গল্প জানালেন তৃপ্তি

গোয়া উৎসবে যাওয়ার আগে কড়ক সিং সিনেমা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমার প্রথম হিন্দি সিনেমা। চরিত্রটিও দারুণ। এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম।

কারণ, ছবির পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এবং আমার সহ-অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। আমি সব সময় অনিরুদ্ধ ও পঙ্কজের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কাজ করা এবং তা-ও প্রথম হিন্দি ছবিতে, আনন্দ দ্বিগুণ করে।

নিউজ ট্যাগ: জয়া আহসান

আরও খবর
ভিন্ন রকম ছয় গল্পে বাণী কাপুর

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




১০২০ যাত্রী নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকার পথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

৪৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ট্রেনের যাত্রা। এরই সঙ্গে অবসান ঘটল কক্সবাজারবাসীর অপেক্ষার প্রহর। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে সৈকতের শহর কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১ হাজার ২০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ২০ বগির কক্সবাজার এক্সপ্রেস

এ ট্রেনযাত্রার উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর। ওই ট্রেনে তিনি যান চট্টগ্রাম পর্যন্ত। ট্রেন ছাড়ার আগে রেলসচিব সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারের প্রথম ট্রেনযাত্রায় ১ হাজার ২০ যাত্রী ইতিহাসের সাক্ষী হলেন। এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঙাভাব ফিরে আসবে। ট্রেনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আগামী ১০ দিনের টিকিট অগ্রিম কাটা হয়ে গেছে। সংকট নিরসনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছাতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। প্রায় ১ হাজার ৩০০ যাত্রী নিয়ে আজ রাত সাড়ে ১০টায় ট্রেনটি পুনরায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করবে। ঢাকা থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার নেমে পর্যটকেরা লাগেজ ও মালামাল রেলস্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয় ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয় তলাবিশিষ্ট এই আইকনিক রেলস্টেশন। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের আইকনিক রেলস্টেশনসহ ১০১ কিলোমিটারের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথম ট্রেনযাত্রা দেখতে আজ সকাল থেকে আইকনিক রেলস্টেশনে মানুষজনের ভিড় বাড়তে থাকে। রেলস্টেশনে কথা হয় কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। রেলপথ চালুর ঘটনাকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শত বছর ধরে আমরা রেলপথ চালুর স্বপ্ন দেখে আসছিলাম, আজ তার বাস্তবায়ন দেখতে পারছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কক্সবাজারবাসী কৃতজ্ঞ।

স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনের দল নিয়ে ট্রেনে চেপে ঢাকা যাচ্ছেন কক্সবাজারে কর্মরত জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা ইফতিয়ার উদ্দিন বায়েজিদ। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো কাজকর্মে নয়, প্রথম ট্রেনে চড়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি। কক্সবাজারে রেল আসবেএটা ছিল আমাদের স্বপ্ন। আগামীকাল ট্রেনে তাঁরা আবার ফিরে আসবেন।

প্রথম ট্রেনযাত্রার অভিজ্ঞতা নিতে ঢাকায় রওনা দেন কক্সবাজার শহরের চিকিৎসক দম্পতি নাজমুল হক ও নীনা জিহান। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক জেবুন্নেছা। নাজমুল হক বলেন, কক্সবাজার থেকে প্রথম ট্রেনে চড়ে ঢাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। জেবুন্নেছা বলেন, কোনো কাজে নয়, আনন্দ উপভোগ করতে ট্রেনযাত্রায় শামিল হওয়া।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ ও এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অপর দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬, এসি সিটের ৪৬৬ ও এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) ছিলেন এফ এম আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেনের চালক তিনি, এটা ভাবতে অবাক লাগছে। দেশের এত জায়গায় গেছেন তিনি, কিন্তু দোহাজারী–কক্সবাজার রেলপথ দেখেননি কোথাও। সবুজ পাহাড়, সুপারিবাগান, সবুজ মাঠ, নদী-বিলের ভেতর দিয়ে চলে ট্রেন। দারুণ উপভোগ্য।

ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে জানিয়ে কক্সবাজারের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরনেও। রেলপথ পর্যটনে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারে উৎপাদিত লবণ, সমুদ্র থেকে আহরিত মাছ, টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানির মালামাল পরিবহনে সুবিধা বাড়বে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।

রেলস্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেল পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। ফুল ও চকলেট দিয়ে তাঁরা যাত্রীদের বরণ করেন। রেলস্টেশনে ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকসহ যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রেনে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান যেন না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার গোলাম রব্বানি বলেন, প্রথম যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন ১ হাজার ২০ যাত্রী। কক্সবাজার এক্সপ্রেসে বগি লাগানো হয়েছে ২০টি। অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রেলপথ। সড়কপথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই ট্রেনে যাওয়া-আসা করছেন।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, রেলপথ চালুর পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কপথে মানুষের চাপ, দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা কমে আসবে। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় শহরের পর্যটন, হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সেবার মান বাড়ানো হচ্ছে।

আইকনিক রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।


আরও খবর