জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে এ পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলাটিতে সরকারি কাজে বাধাদান, মোটরসাইকেল পোড়ানো ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর-৫৭।
শুক্রবার মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সাধারণ মুসল্লি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।
স্লোগান দেয়ার খানিক পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের উত্তর পাশের ফটকে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। প্রায় ৫ মিনিট ধরে তারা মিছিলকারীদের মারধর করেন। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এর খানিক পরই বিক্ষোভকারীরা আবার সংগঠিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এ সময় প্রায় ১০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ মসজিদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়।
শুক্রবারের ওই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। একই ইস্যুতে এদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এরমধ্যে হাটহাজারীতে হেফাজতের ৪ কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের সময় ১ তরুণ নিহত হয়।
একই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম, পল্টন, চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুলিতে একাধিক হেফাজতকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। অন্যদিকে হরতাল উপেক্ষা করে সারা দেশে বাস চালানোর পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন।