আসাদুজ্জামান
খাইরুল, সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে রানা প্লাজা
ধসের মর্মান্তিক সেই দিনকে প্রতিবছর ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে,
আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে থাকে। রানা
প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত
কামনা ও দোষীদের শাস্তির দাবি করলেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার ২৩ এপ্রিল
সন্ধ্যা থেকেই রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে
নিহত শ্রমিকদের স্মরণে, আগামী ২৪ এপ্রিল ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্রাজেডি দিবস উদযাপনের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন, নিহতদের স্বজন ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এসময় নিহত শ্রমিকদের
স্বরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত
অস্থায়ী বেদিতে এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জাতীয় গার্মেন্টস
শ্রমিক ফেডারেশন সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো রানা প্লাজা ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ২৪
এপ্রিল সকাল ১০ টা থেকে রানা প্লাজার সামনে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে অবস্থিত অস্থায়ী
বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ কর্মসূচি সহ শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে।
এসময় উপস্থিত নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর
পক্ষ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি রানা প্লাজার
ট্রাজেডির সাথে জড়িত সকল অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সমাবেশ করবে
তারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস
এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রতি বছর এই দিনে আমরা
নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মৃসূচি পালন করে থাকি। একইসাথে কিছূ দাবি আমরা তুলে ধরি।
এবছরও আমরা একইভাবে কিছু দাবি তুলে ধরেছি যার মধ্যে রয়েছে ২৪ শে এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস হিসাবে
ঘোষণা করা, স্থায়ীভাবে রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করা, রানা প্লাজার জমি
অধিগ্রহন করে ক্ষতিগ্রস্থ্য ও আহত শ্রমিকদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষিদের সর্বোচ্চ
শাস্তি নিশ্চিত করা, এবং আহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
এছাড়া নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
কিন্তু দূর্ভা্গ্যজনক
হলেও সত্য যে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দাবি আমরা তুলে ধরলেও তার কোনটাই এখনো বাস্তবায়ন
করা হয়নি।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
শেষে রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক রাব্বির মা রাহেলা খাতুন বলেন, ছেলে হারানোর ৯ বছর পূর্ন
হলো কিন্তু আমারা বিচার পেলাম না।
দোষিদের বিচার
এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার।দোষিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁশির দাবি জানাই বলেই কান্নায়
ভেঙ্গে পরেন রাহেলা খাতুন।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে নিহত হন ১১৩৮ জন শ্রমিক এছাড়া আহত হন ২৪৩৮জন শ্রমিক।