আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মোংলায় মেয়রসহ ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনেনীত প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী ভোট বর্জন করেছেন। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের মাদরাসা রোডের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের চাপে সাধারণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। বাঁধা পেরিয়ে কেউ কেউ যেতে পারলেও সরকারি দলের নিয়োগ করা ক্যাডারদের সামনে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে কোনো সভ্য দেশে নির্বাচন হতে পারে না। আমি নিজে কয়েকটি কেন্দ্র এমনি লজ্জাজনক ভোট ডাকাতির চিত্র দেখেছি।

একই সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ জন কাউন্সিলর ও সতন্ত্র দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বর্জন করা কাউন্সিলররা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিব ফকির, মাইনুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমান হোসেন,  ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সুমন মল্লিক, ইউনুস আলী,  ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যা ড. মো. হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ কাদের, সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কমলা বেগম, ৪৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লিলি বেগম, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আয়শা বেগম।


আরও খবর



আরও একদিন বন্ধ থাকবে পোস্তগোলা সেতু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ পোস্তগোলা সেতু। চলমান সংস্কার কাজের শেষ দিন শুক্রবার (৮ মার্চ)। যার কারণে বন্ধ থাকবে সেতুতে গাড়ি চলাচল। তবে পরদিন শনিবার (৯ মার্চ) থেকেই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেরানীগঞ্জ সড়ক সার্কেলের উপসহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পোস্তগোলা সেতুতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। পর দিন সংস্কার কাজ শেষে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> কমলো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি

গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে। এই সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে ৮ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টার পর।

এদিকে, গত ১৫ দিনে সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় বিকল্প পথ হিসেবে চাপ বাড়ে বাবুবাজার ব্রিজে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে আগামী শনিবার থেকে এ ভোগান্তি দূর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



পুরো নগরীকে আলোকায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি : চসিক মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার বিকালে কোর্ট বিল্ডিংস্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কোভিড-১৯ রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় প্রথম পর্যায়ে নগরীজুড়ে ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র।

এসময় মেয়র বলেন, আমি পুরো নগরীকে আলোকায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রাথমিকভাবে আজ ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হল। পর্যায়ক্রমে পুরো নগরীকে আলোকায়ন করা হবে। এছাড়া আলোকায়নে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে নান্দনিকতায়ও। প্রজাপতি ও নৌকার আদলে বাতি দিয়ে শহরের রাতের সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করা হচ্ছে৷

তিনি বলেন, কিছু এলাকায় তার চুরির কারণে নগরবাসী কষ্ট পাচ্ছে। চুরি ঠেকাতে নগরবাসীর সহযোগিতা চাই, নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল পরিস্কার হবে, লালখানবাজারে ইতোমধ্যে ঝুলন্ত তার মাটির নীচে নিয়ে গেছি। দেড়বছরের মধ্যে নগরীর সব তার মাটির নীচে নেয়া আমাদের লক্ষ্য।

ফুটপাত রক্ষায় অনড় অবস্থান ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের জনস্বার্থে উচ্ছেদ করেছি। অবৈধভাবে রাস্তা দখলের জন্য চাপ তৈরি করতে একটি মহল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। কার আন্দোলন? কীসের আন্দোলন? জনগণের ফুটপাত দখল করার অধিকার ওদের কে দিয়েছে? যত আন্দোলনই করেননা কেন আমি ফুটপাতে অবৈধভাবে বসতে দিবনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, নূর মোস্তফা টিনু, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, চসিকের বিদ্যুৎ উপবিভাগের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


আরও খবর



ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষকদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষকদের দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬ কর্মদিবস ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, শিক্ষক সমিতি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ গঠিত হয়। এরপর পাঁচবার লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ উপাচার্য মহোদয় জানান, তিনি নাকি আমাদের দাবি পড়ার সময় পাননি। আমরা দাবি আদায়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ক্লাস বর্জন করি এবং লিখিত দিই। তাও তিনি ভ্রূক্ষেপ করেনি। আজ আমরা আবারো যখন উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করে বলি, স্যার আপনি চাইলে আমাদের সংকট এক ঘণ্টায় সমাধান হবে, আর না চাইলে তা সম্ভব না। তখন তিনি উত্তরে বলেন 'আমি এ পরিস্থিতিকে কোন সংকট মনে করি না, তোমাদের যা ইচ্ছে করতে পারো। যদি কোর্টে যেতে চাও, যেতে পারো।'

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাজ কি কোর্টে কোর্টে দৌড়ানো। আমরা প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা এসে তদন্ত করুন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। উপাচার্যের এমন অসহযোগিতামূলক আচরণ ও দাবি আদায়ে অনিচ্ছা থাকায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৯ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত সকল ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতি যে দাবিগুলো দিয়ে ছিলাম আমরা মনে করেছি ভিসি আমাদেরকে ডাকবে। ওনি এসব নিয়ে আমাদের সাথে বসে নাই। আমাদের ছাত্রদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট লাগে তাই আমরা সদয় হয়ে ওনার কাছে গিয়েছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়ে ক্লাস না করে সেশন জট আটকে যাক। কিন্তু ভিসি এসবকে কোন সংকটই মনে করেন না। ওনি এতদিন আমরা যে চিঠির পর চিঠি দিয়েছি এসব দেখনি। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে ওনি এসব সংকট সমাধান করতে চাচ্ছেন না।

ক্লাস বর্জনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম. আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতি আমার কাছে একটা চিঠি দিয়েছিল। চিঠির বিষয়ে আমি তাদের সাথে কার্যালয়ে বসে কথা বলি। তাদের পক্ষ থেকে শুধু সভাপতি, সেক্রেটারি কথা বলবে। কিন্তু তারা সাইড টক শুরু করে দিয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা বলেন আমরা এখানে কথা বলতে না পারলে এখানে কেন আসছি? পরে তারা চলে যায়।

তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তাদের বলেছি আপনাদের দাবি আইনসম্মত হলে আমি মেনে নেব। ক্লাস বর্জনের বিষয়ের আমি তাদের রিকোয়েস্ট করেছি। আপনারা ক্লাস বর্জন করবেন না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ ৭ দফা দাবিয়ে ক্লাস বর্জন করেছিল শিক্ষক সমিতি।


আরও খবর



বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে। জনগণ তাদের ধ্বংসলীলা দেখেছে। তারা (বিএনপি) শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশে এসেছিল। রক্তের গঙ্গা বইয়ে তাদের দলের উৎপত্তি। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা ইংল্যান্ড থেকে দিকনির্দেশনা দেয়, কিন্তু তাদের নেতাকর্মীদের কী হবে সেটা চিন্তা করে না। তাদের ভুল যদি উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা শুধু দেশের ক্ষমতায় বসতে চায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন না করে ধ্বংসলীলা শুরু করল, মানুষ পুড়িয়ে মারা শুরু করল। এবার আমরা দেখলাম সেই একই কায়দায় তারা রক্তের হোলি খেলা শুরু করল।

গত নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের ভূমিকার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে। অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। কোনো কোনো উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। আমাদের এখানে ৪২ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাহলে তো আমাদের কিছু বলার থাকে না। এ দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো আমার মুখ্য বিষয় না।

এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ বিল্পব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জুসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর