আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মৌসুমের শুরুতেই সুনামগঞ্জে শিলাবৃষ্টি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৌসুমের শুরুতেই শিলাবৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জে। তবে কোন ঘরবাড়ি বা ফসলি জমির ক্ষতিসাধিত হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে জেলা সদর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়।

কৃষকরা জানান, বোরো ফসলের এ মৌসুমে হাওরের জন্য এখন বৃষ্টি হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।

শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় প্রথমদিকে অনেকে আতঙ্কে থাকলেও বুধবার ভোরবেলা থেকে আবহাওয়ার অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় কৃষকদের অনেকেই বলেন, এ শিলাবৃষ্টি হাওরের ধানের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, সুনামগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে হাওরের বোরো ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।


আরও খবর



ওয়ালটন প্লাজা: ৩২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেলো শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

সারাদেশে শতাধিক কিস্তি ক্রেতা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতা গ্রাহকের পরিবারকে দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৩২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারি গ্রাহকের বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় কিস্তি ক্রেতা গ্রাহক ও পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করার পর কোনো গ্রাহক ও তার পরিবারের সদস্যের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়েছে সুরক্ষা কার্ডধারী গ্রাহকের পরিবারগুলো।

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটন প্লাজার লক্ষ্য নয়। গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়ালটন প্লাজা। এরই প্রেক্ষিতে চালু করা হয়েছে কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি। এর আওতায় ইতোমধ্যে সারা দেশে শতাধিক কিস্তি ক্রেতা ও গ্রাহকের পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সহায়তা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশকিছু গ্রাহকের পরিবার।

তিনি জানান, শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটনই কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এমন সুরক্ষা ও সুবিধা প্রদান করছে। ক্রেতাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এতে একদিকে ওয়ালটন প্লাজার সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহক পরিবারগুলোও উপকৃত হচ্ছে।

ওয়ালটন প্লাজার ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হয়। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন প্লাজার এই সুরক্ষানীতি।

ওয়ালটন প্লাজা থেকে সম্প্রতি আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন রাজধনীর ডেমরায় পোশাক শ্রমিক আল-আমিন শরিফ মুন্না। তিনি চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ডেমরা ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে মিক্সার গ্রাইন্ডার ও ইলেকট্রিক ফ্যান কেনেন। এরপর গত ১৬ জুন তার স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে তার বাকি কিস্তির টাকা মওকুফসহ ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে প্লাজা।

কিস্তির টাকা মওকুফ করার পাশাপাশি আর্থিক সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুন্না বলেন, অনেক কোম্পানিই এখন কিস্তিুতে পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু ওয়ালটনের মতো কোনো কোম্পানি কিস্তি ক্রেতাকে এমন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এই অভাবনীয় কাজটি করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা এবং দেশের সেরা। এর মাধ্যমে প্রিয়জন হারিয়ে শোকগ্রস্ত একটি পরিবার কিছুটা হলেও শান্ত্বনা পাচ্ছেন। বিশেষ করে সাধারণ ক্রেতারাই আর্থিকভাবে সব থেকে বেশি লাভবান হচ্ছে।

এদিকে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন মৃত কিস্তি ক্রেতা জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রংমালা খাতুন। চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে গত ১৬ এপ্রিল একটি স্মার্ট এলইডি টিভি কেনার পর গত ২০ জুন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন ক্রেতা জসিম। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েন রংমালা খাতুন। এ সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারটির বাকি সব কিস্তি মওকুফসহ মোট ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিপদের দিনে এই আর্থিক সহায়তা তাদের অনেক উপকারে এসেছে বলে জানান রংমালা খাতুন।

এছাড়াও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবন বীমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতারা যেন জীবদ্দশাতেই খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ সুবিধা পান সেজন্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা চলমান থাকবে এবং এর আওতা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করা হবে।


আরও খবর



প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার তিন কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত আগস্টে দেশে আসা প্রবাসী আয় বেশ বড় পরিমাণে কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আগস্টে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আয় কম এসেছে। সব মিলিয়ে এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার, গত বছরের একই মাসে যার পরিমাণ ছিল ২০৪ কোটি ডলার। কোনো একক মাসে আয় এত কমে যাওয়ার ঘটনা সম্প্রতি ঘটেনি।

প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলারসংকট নিয়ে এমনিতেই চাপে আছে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিনিয়ত কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রাখার শর্ত দিয়েছিল। বর্তমানে তার চেয়ে কম রিজার্ভ রয়েছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, আগের চেয়ে সম্প্রতি ঋণপত্র খোলা বেড়েছে, ফলে আমদানি দায় মেটাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ডলারের প্রয়োজন হবে। আবার সামনে সরকারি-বেসরকারি ঋণ পরিশোধও বাড়বে। তাই এমন সময়ে প্রবাসী আয় এতটা কমে যাওয়া সবার জন্য উদ্বেগের, আতঙ্কের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডলারের দাম বাড়তে না দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকাকে শক্তিশালী করে রাখা হয়েছে, তাতে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এই নীতি কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি মানতে চাইছেন না, ফলে রিজার্ভেরও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) মিলে রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে সংগঠন দুটি প্রায় প্রতি মাসে ডলারের দাম নতুন করে নির্ধারণ করছে। তবে কাজটি করার ক্ষেত্রে বাজারের চাহিদা ও জোগান কতটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

চলতি মাস থেকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে প্রবাসী আয়ের ডলার ১০৯ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এখন বিদেশি এই মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকায়।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে প্রবাসী আয় বাড়াতে হলে বাজারদর অনুযায়ী ডলারের বিনিময় হার ঠিক করতে হবে। বর্তমানে নির্ধারিত বাজারদরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খোলাবাজার ও নির্ধারণ করা দামের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এই অবস্থা যত দিন চলবে, তত দিন আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় বাড়বে না।

আনিস এ খান আরও বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক বা ভাসমান করে দেওয়া উচিত। আইএমএফও তাদের বিভিন্ন বার্তায় এটা করতে বলেছে। ডলারের দাম ভাসমান করা হলে প্রাথমিকভাবে হয়তো ডলারের দাম বাড়বে, হয়তো ১২০-১৩০ টাকায় চলে যাবে। তবে একপর্যায়ে তা ঠিক হয়ে যাবে।

দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ অবশ্য একেবারে নতুন নয়। এই আয় বা রেমিট্যান্স কিছুদিন ধরেই কমছে বা খানিকটা ওঠানামার মধ্যে আছে। তবে ছয় মাসের মধ্যে গত আগস্টেই প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে কম। ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গেছে।

প্রথমটি হলো, ব্যাংকগুলোতে কী দামে ডলার কেনা ও বেচা হচ্ছে, তা যাচাইয়ের জন্য আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকটি পরিদর্শক দল কিছু ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। এ কারণে বেশির ভাগ ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দরে প্রবাসী আয় কিনতে পারেনি। দেখা গেছে, যেসব ব্যাংকে পরিদর্শক দল যায়নি, ওই ব্যাংকগুলোর কয়েকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কড়াকড়ির কারণে সামগ্রিকভাবে প্রবাসী আয় কম এসেছে।

দ্বিতীয়ত, আগস্ট মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা ধরে হয় সর্বোচ্চ ১১১ টাকা ৭২ পয়সা। তবে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এ সময় হুন্ডির মাধ্যমে আসা প্রতি ডলারে ১১৭-১১৮ টাকা দাম পাওয়া গেছে। এই কারণেও আয় কমেছে।

তৃতীয় কারণটি হলো, জুনের শেষে কোরবানি ঈদ ছিল। এরপরের কয়েকটি মাসে এমনিতেই কম অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কারণ, কোরবানির সময় অনেকেই দেশে আসেন। এরপর বিদেশে ফিরে যেতে দু-তিন মাস সময় লেগে যায়। আবার নতুন অনেক জনশক্তি রপ্তানি হলেও আয় পাঠাতে তাঁরা প্রায় ছয় মাস সময় নেন। কারণ, চাকরি ও কাজ পেতে সময় লাগে। আবার বিদেশে গিয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে অনেকে হিমশিম খান। এর ফলে সামগ্রিকভাবে আয় কমে গেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোনো একক মাসে প্রবাসী আয় এত কমে যাওয়াটা উদ্বেগজনক। কারণ, এখন ডলারের খুবই প্রয়োজন। দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক হয়ে আছে, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হলে প্রবাসী আয় বাড়বে। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।


আরও খবর



বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির কয়েকজন নেতাকে দলে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে কয়েকজনের। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদকে দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, একই কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং একই কমিটির সদস্য এমএ মালিককে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যপদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সুইডেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আবেদিন মোহনকে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোহরাবকে সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনকে সহ-অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাটকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও তার স্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনও কারাগারে।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযান, আটক ১

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মায়ানমার হতে স্বর্ণের একটি চালান অবৈধভাবে টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রবেশ করবে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিক্তিতে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তারিখ কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ কতৃর্ক টেকনাফ স্থল বন্দর সংলগ্ন টেকনাফ টু কক্সবাজার সড়কে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন রাত আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকায় সন্দেহজনক একজন ব্যক্তিকে বন্দরের মেইন গেইট দিয়ে বের হয়ে সড়কে আসতে দেখা যায়। উক্ত ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক থামার সংকেত দেওয়া হয়।

এসময় কোস্ট গার্ড এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজারগামী একটি চলন্ত সিএনজিতে উঠার চেষ্টাকালে কোস্ট গার্ড সদস্যগণ মোঃ আরাফাত (৩৫) নামক এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তি জাদিমুড়া শরণার্থী ক্যাম্প-২৭ এর একজন রোহিঙ্গা শরনার্থী।

পরবর্তীতে, কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমড়ে পলিথিন দ্বারা মোড়ানো রাবারের টিউবের মধ্য থেকে সর্বমোট ৬৬৩.৯৬ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্নের বার জব্দ করতে সক্ষম হয়, যার বাজার মূল্য ৫৩,২২,৩০৩/০০ (তিপ্পান্ন লক্ষ বাইশ হাজার তিনশত তিন) টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় উক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত স্বর্ণের বার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষের নিকট এবং আটককৃত ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ঢাকাসহ ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের ১১ অঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। 

আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৬

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।


আরও খবর
গাজীপুরের বায়ু সবচেয়ে দূষিত

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩