আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার নারীর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হতে মা দাবি করা খুলনার মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফুলপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক একেএম রওশন জাহান এ নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ আদালতের পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, শনিবার ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে মরিয়মের ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন বিচারক।

এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখনও আদালতের আদেশের কপি হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আমরা আদালতকে জানাবো, রহিমা বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এরপরও যদি আদালত চায় তাহলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

গত শুক্রবার মরিয়ম ফুলপুর থানায় গিয়ে মায়ের লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়।

এদিকে, মরিয়মের দাবির একদিন পরই রহিমা বেগমকে (৫২) জীবিত অবস্থায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ফুলপুর উপজেলার লাশটি কার?

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলার বওলা গ্রামের পূর্বপাড়ার দারোগাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের জঙ্গল থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ওই লাশের বয়স ৩২ বলে রেজিস্টার খাতায় উল্লেখ করেছে পুলিশ। লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পা দুটি ভেঙে কোমরের ওপরের দিকে উঠিয়ে বস্তার ভেতরে ঢোকানো হয়েছিল। গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে ১২ সেপ্টেম্বর লাশ দাফন করা হয়।

ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তকালে লাশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিবেদন এলে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি জানা যাবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি আমরা। কীভাবে ওই নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক শোয়েব নাহিয়ান বলেন, ওই নারীর লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল। কেমিক্যাল ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওড়না পেঁচানো থাকায় গলায় দাগ ছিল। লাশ অর্ধগলিত থাকায় ধর্ষণের আলামত বোঝা যায়নি। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর সবকিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে। কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল এবং ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা সব তখন জানা যাবে। এজন্য প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হবে।

ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম তালুকদার ডালিম বলেন, ওই নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মরিয়ম লাশটি তার মায়ের দাবি করায় এলাকার মানুষজন আশা করেছিল, হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। কিন্তু রহিমা বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করায় আবারও সংশয় দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষ বলছে, তাহলে ওই লাশটি কার? এটি জানার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। পুলিশের তদন্তের পরই আসল রহস্য জানা যাবে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা অন্য এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ওই নারীকে বস্তাবন্দি করে বওলা পূর্বপাড়ার গোরস্থানের জঙ্গলে ফেলে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য দ্রুত উদঘাটনের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানাই।


আরও খবর



ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাকের স্থায়ী জামিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন ধার্য করেন। অন্যদিকে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরে ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ এর নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস‌্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃকবাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার টিটো, ডা. জাকির সুমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় হেনস্তা শিকার তনুশ্রী সাহা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হেনন্তার শিকার হয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। তিনি কালারস বাংলার রামকৃষ্ণ সিরিয়ালের অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি শ্যুটিং শেষে বাইক বুকিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করা শুরু করে।

তিনি বলেন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে এখন শ্যুটিং চলছে। তাই দেরি হয়ে গেলে আমি ক্যাব বাইক বুকিং করে নিই। যথারীতি গতকাল রাতেও সেটাই করেছি। ড্রাইভার শুরুতেই ১২০-১৩০ বেশি চাইলেন। নিয়মিত এমন বাড়তি ভাড়ার চাপে পড়তে হয়।

তাই আমি সেইভাবেই রাজি হই। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করে ড্রাইভার। আমি দু-তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছি। এক সময় আমি বলতে বাধ্য হই, দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমার কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এরপরই ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে তাকে নামতে বলা হয়।

তনুশ্রী বলেছিলেন, আমি তো এখানে নামব না, লোকেশন যেখানে দেয়া সেখানেই নামব। এরপর তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করে সে বলে তো যাব না, তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আমায় মারতে আসে। সেই সময় আমি চিৎকার শুরু করি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কলকাতা পুলিশকে ফোন করি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোটা টিম ওখানে পৌঁছে যায়। এরপর কলকাতা পুলিশ আমায় গাড়ি বুকিং করে দেয়, আমি সাবধানে বাড়ি ফিরি। তবে আমি একটা কথাই বলব, এটা তো প্রতিদিন কারও না কারও সঙ্গে ঘটছে। তাই আমার মনে হয় ভয় পেয়ে কিছু হবে না। প্রতিবাদ করাটা খুব দরকার। তাহলে আশাকরি বোঝানো যাবে কেউ দুর্বল নয়।

নিউজ ট্যাগ: তনুশ্রী সাহা

আরও খবর



চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তীব্র বাতাস আর জোয়ারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার লাগার ঘটনা ঘটেছে। এমভি সামুদা-১ নামে ঐ লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় চট্টগ্রাম নৌ থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে এবং নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চট্টগ্রাম নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জাহাজ এমভি সামুদা-১। নদীর মধ্যে বাঁক ঘুরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মাণ করা হয় কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালুর আগে সেতুটিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এখনো সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে কম গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।


আরও খবর