স্বাস্থ্য ও
পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার চিকিৎসা দিতে যথেষ্ট
প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ’র নতুন হাসপাতাল ইউনিট এবং লালকুঠি
হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু রোগীর
চিকিৎসা দিতে পারবে ঠিকই, কিন্তু এডিস মশা মারতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার
(২০ অক্টোবর) রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ‘আবুল হোসেন রেসপাইরেটরি ও নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা
বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিধনে নিজেদের বাসা বাড়িতে পরিচ্ছন্নতা
বৃদ্ধি করতে ও মশার কামড় থেকে বাঁচাতে পরামর্শমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু মশা
মারার কাজ তো স্বাস্থ্যখাতের নয়। মশা মারার গুরুত্ব তুলে ধরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার
প্রতিনিধিদেরকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এখন মশা কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমে যাবে। হাসপাতালে
ডেঙ্গু রোগীর চাপও কমে যাবে।’
বাংলাদেশ শিশু
হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত
ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য
অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের
(বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক
এ কে এম আমিরুল মোর্শেদ, অর্থদাতা আবুল হোসেন, অর্থদাতা অধ্যাপক রুহুল আমীন, ঢাকা শিশু
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, রিসার্স
সেন্টারটি করতে অর্থদাতা আবুল হোসেন এক কোটি টাকা এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.
রুহুল আমীন ২০ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে অর্থ অনুদান দেন।