জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বসতভিটে হারা ছিন্নমূল পরিবারের মাঝে সঠিক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে এ কাজটি চলমান রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক পর্যায় ৩৪৮ জনের একটি তালিকা করা হয়। যার মধ্যে ৪০ জন গৃহহীন পরিবারকে এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে তুষখালী ইউনিয়নে ৪টি, ধানিসাফা ৯টি, টিকিকাটা ১১টি, বেতমোর ৩টি, শাপলেজা ৭টি, হলতা গুলিশাখালী ৪টি ও বড়মাছুয়া ২টি, যে কাজ ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। ধারাবাহিক কাজের পরিকল্পনায় বর্তমানে ১৪১টি ঘর ১১টি ইউনিয়নের ছিন্নমূল পরিবার ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের তালিকায় পর্যালোচনা করে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। ‘ক’ গ্রুপ বলতে বোঝানো হয়েছে জমি বসত ভিটে যার কিছুই নেই। ‘খ’ গ্রুপ বলতে যার জমি আছে ঘর নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ডু স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বলেন, জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাফল্যজনক কর্মসূচী নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম ছিন্নমূল নিরন্ন মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে একটি গৃহ নির্মান করে দেয়া। তিনি বলেছেন বাংলার একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমরা আশাবাদী মঠবাড়িয়ায়ও যারা তালিকাভূক্ত হয়েছেন তারা পর্যায়ক্রমে এ ঘর পেয়ে যাবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০টি ঘর সরকারের সকল বিধিমালা মেনে নির্মাণ করা হয়েছে। যা আগামী ২৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাছাইকৃত গৃহহীনদের মাঝে দলিল দস্তাবেজসহ হস্তান্তর করা হবে।