পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ
গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডের মো: জিয়া খানের বসত বাড়ির জমি জবর
দখলের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির
অফিস কার্যালয়ে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি জিয়া খান
লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডের ২২ নং জে,এল এর বকসির ঘটিচোরা মৌজার এস.এ
৯১৩ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক ফয়জর আলীর ওয়ারিশের নিকট হইতে ১৯৮৪ সন হইতে সাব কবলা
দলিল মুলে মালিকের নিকট হইতে ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে
আসছি। উক্ত জমিতে আমার জানামতে অন্যান্য অংশীদারি মালিকগন হলেন, আলহাজ্ব আবু হানিফ,
সোহরাফ হোসেন, ইয়াহিয়া ও বাদশা মিয়া সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে যার যার জমিতে বসবাস করে
আসছে। এখানে মঠবাড়িয়ায় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার কোন অংশ নাই এবং আছে বলে
আমরা জানি না। এ ছাড়া কাগজ পত্রে তার নাম পর্যন্ত নেই। কিন্তু লোকমুখে জানতে পারি আফছের
আলীর অংশ থেকে ৫.৫৮ শতাংশ জমির খরিদ মুলে মালিক আছে। উক্ত তথ্য জানার পর সমাধানের জন্য
তাহাকে বার বার তাগিদ দেয়া স্বত্তেও প্রমাণ স্বরূপ সে কোন কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে
পারেনি। সঠিক মিমাংসার জন্য পৌরসভার সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণের আবেদন করি
যার প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার সাহেব উভয় পক্ষকে জমির বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যথা সময় উপস্থিত
থাকতে বলেন, আমি কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হলেও গোলাম মোস্তফা সাহেব কোন কাগজ পত্রের যথার্থ
প্রমাণ দেখাতে পারেননি। গত রোজার ঈদের পর আমি নিজের শারীরিক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই।
চিকিৎসা জনিত কারণে দীর্ঘ সময় ঢাকায় অবস্থান করি। এ সুযোগে আমার দখলীয় জমির সিমানা
ভেঙ্গে টিনের বেড়া ও দেয়াল নির্মাণ করেন। আমি স্থানীয় লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে ঢাকা
থেকে বাড়িতে আসি এবং আমার জমি জোর পূর্বক দখলের সত্যতা পেয়ে শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতণ
কর্তৃপক্ষের নিকট সু বিচারের জন্য আবেদন করি। অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সাহেব থানা থেকে
শুরু করে সকল জায়গায় তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছেন এবং মাঝে মধ্যে তার কলেজের ছাত্রদের
দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করেন। দুঃখের বিষয় উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষ অদ্যবদি আমার
অভিযোগের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমি অত্র
সংবাদ সম্মেলনে ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জন্য সহকর্মীদের বিশেষ
ভাবে অনুরোধ জানাই।
এ বিষয় অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা তার বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি জিয়া খানের জমি অবৈধভাবে দখল করিনি বরং পৌরসভার
সার্ভেয়ার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তির চুলচেরা বিশ্লেষনের মাধ্যমে সুষ্ঠরুপে বন্ঠন করা হয়েছে।