আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মতিউরের সঙ্গে আরজিনার স্পর্শকাতর ফোনালাপ ফাঁস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার অধস্তন নারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের মধ্যে মোবাইল ফোনে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এতে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এদিকে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, শুধু মতিউর রহমানের বান্ধবী হিসেবে বহু সুবিধা হাসিল করেছেন আরজিনা। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে বনেছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। এছাড়া ঢাকায় অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নামে-বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ

মতিউর : তোমার কাছে ... চাই, কখন দিতে পারবা?

আরজিনা : আজকে...!

মতিউর : আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?

আরজিনা : আজকে... কালকে যাই। আজ শুক্রবারতো, মানে কি বলে বের হব, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছেতো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকেতো থাকবা ঢাকায়।

মতিউর : দীর্ঘশ্বাস... ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না।

আরজিনা : কষ্ট পেলে... মানে শুক্রবারতো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড... মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।

মতিউর : ফের দীর্ঘশ্বাস... ওকে।

জানা গেছে, মতিউর রহমানের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নানা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এনবিআরের ওই আরজিনা খাতুন। রাজধানীতে বিলাসবহুল ইন্টেরিয়রে মোড়ানো ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এনবিআরের ওই আরজিনা খাতুন। মাত্র ৩ বছরে আরজিনা কিনেছেন অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আরজিনা খাতুন বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার ছিলেন তিনি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুন আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খতিয়ান তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ জমা দেন এক ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানি লন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ আর আলোচিত এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের সংস্পর্শে এসে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা।

দুদকে জমা অভিযোগের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তার। ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় কেনা ফ্ল্যাটটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনসহ দলিলে ফ্ল্যাটটির দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৬৮ লাখ। ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য তিনি ২০২০ সালে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঋণ নেওয়ার ১ বছর আগেই ফ্ল্যাট কিনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। তাও ঋণের টাকার দ্বিগুণ দামে। প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে বাসায় বিলাসবহুল আসবাব ও অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন। আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারোয়া ইউনিয়নের তালুতপারা গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির ৩ বছরের মধ্যে গ্রামের ছন আর টিনের বাড়িটিকে বদলে করেছেন আলিশান এক ভবন।

দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। এছাড়াও গ্রামে আরও প্রায় এক কোটি টাকার জমি বন্ধক নিয়েছেন আরজিনা। সেসব জমির দলিলও এসেছে গণমাধ্যমের হাতে। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, আরজিনার ব্যবহৃত বেশিরভাগ গহনাই অনেক দামি। তার অন্তত ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের হীরার গহনা রয়েছে।

২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ডের অলংকার কিনেছেন নগদ টাকায়। যার ২০০ ভরি এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে আনার তথ্য ও দালিলিক প্রমাণ দুদকে করা অভিযোগের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে শেয়ার ব্যবসাও করেছেন তিনি। এক দিনে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগে দ্বিগুণ লাভের নজিরও আছে তার। তার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল নগদ টাকা ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগও আছে।

অভিযোগ আছে-মতিউর রহমানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে আলাদিনের চেরাগ হাতে পান আরজিনা। তরতর করে বাড়তে থাকে তার সম্পত্তি। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউজে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। অভিযোগ আছে, কারসাজি করে মতিউরই আরজিনাকে শেয়ার বাজারে মুনাফা তুলে দেন।

এদিকে, দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউরের বিপুল সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদের মধ্যে আছে, বরিশালে মুলাদী উপজেলায় মতিউরের নামে থাকা ১১৪ শতাংশ জমি, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মারজাল ইউনিয়নের ২৬টি সম্পত্তির ৫২২ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি ও রাজধানীর বসুন্ধরায় ডি ব্লকের ২৪৪৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট।

মতিউরের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ১৯ দলিলে থাকা ২৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ জমি। এছাড়া আছে নরসিংদীর রায়পুরায় মতিউর-লায়লা দম্পতির মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার ৫টি দলিলে ১০৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি ও ঢাকার বসুন্ধরায় ডি ব্লকের এক নাম্বার রোডে ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন। মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে থাকা ধানমন্ডির জিগাতলার একটি প্লট এবং বসুন্ধরার এন ব্লকে ৫ কাঠা জমি।

গত ২৪ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে (ইফাত) বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। যদিও ৩০ জুন বিদেশযাত্রা প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন লায়লা কানিজ। ২৮ জুলাই এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঈদুল আজহার আগে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান পরিবারের নানা অপকীর্তি ও বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য সামনে আসতে থাকে।


আরও খবর



ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজন করা তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক কোনো অনুষ্ঠান।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পর্যায়ে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের মতোই—‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাধর বৈশ্বিক দক্ষিণ

এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি ১ম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট এবং ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর ২য় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করেছিল। শীর্ষ সম্মেলনের আগের দুটি সংস্করণেই গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।

১৭ নভেম্বর হওয়া দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

এক্সে দেওয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।


আরও খবর



বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিপদে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগীরা। একে একে পদ হারাতে শুরু করেছেন তারা। সেই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরেই চলছে পালাবদল। ক্রীড়াঙ্গনও তার ব্যতিক্রম নয়। বিসিবি এবং বাফুফে থেকে পদ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাহী সভা ডেকে ছিল বাফুফে। যেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানকে বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়াম্যান করা হয়েছে। ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সালাম মুর্শেদী। আওয়ামী লিগের এমপি এবং বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

এ বছরই পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট সালাউদ্দিন। তার স্থানে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও ইমরুল হাসান। আবার বাফুফের আরও একটি নতুন দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাকে।

উল্লেখ্য, কাজী সালাউদ্দিনের পর বাফুফের আরেক শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ২০০৮ সাল থেকে টানা ১৬ বছর বাফুফেতে সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ায় বাফুফেতে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি এবং অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নেয়নি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফিফা থেকে শাস্তি পেলেও বাফুফের সহসভাপতি পদে অব্যাহত থাকেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর পদত্যাগ করেন সালাম মুর্শেদী।


আরও খবর



বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধর ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়াকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা এ মারধর করেন। এ সময় মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে সাবেক ওই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নানা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আগে থেকেই বিতর্কিত ছিলেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় শাওন মোল্লা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়ার এক হাত ধরে নানা ধরনের প্রশ্ন করছেন। এ সময় মেঃ আব্দুর রশিদ তার বিভিন্ন অনিয়মের প্রামন চান। পরে কথা বলার একপর্যায়ে প্রথমে তার চোখের চশমা টেনে নিয়ে ভেঙে ফেলাসহ তার গায়ে হাত তোলা হয়।

মারধরের শিকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় শাওন মোল্লাসহ আরও কয়েকজন লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে থেকে যাওয়ার সময় তারা হাসাহাসি করেন। এসময় শাওন মোল্লা আমাকে ডাক দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বসে আমার কাছে জানতে চায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে আমি কত টাকা কামাই করেছি, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী কিভাবে করেছি। এ সময় তাদেরকে বলি আমি যদি কোনো অনিয়ম করি তাহলে তার প্রমাণ দেখান। এছাড়া এখনতো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় নেই আর আমিও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নই। তবে আমার কথার কোনো গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের গালাগালিসহ আমাকে মারধর করা হয়।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হলেও এখনো আইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সময়ে আব্দুর রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকাকালীন সময়ে আমাদের আনেক সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাজে কথা বলেছেন। জেলায় যত বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের কাউকে মুক্তিযোদ্ধর তালিকায় রাখেননি। এছাড়াও তিনি তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তার প্রতিবাদ করলে তিনি না থামায় আজকের এ ঘটনা ঘটেছে। আমার দলকে, আমার নেতাকর্মীদেরকে কেউ অসম্মান করে কথা বলবে তা তো আমরা মেনে নিতে পারিনা। এছাড়াও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে তিনি প্রতিহত করতে চেয়েছেন। এখন আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে তিনি দালালী করবেন তা মানা যায়না।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক সচিব ও পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলীতে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক আমার দাদা মো. আঃ আজিজ ও আমার পিতা মো. শাহ আলম। ক্রায়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করি। হঠাৎ ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি.পি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা চালায়। জমি দখলে নেওয়ার জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আমাকে তাদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক খান, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত, পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী আমতলী পৌরসভার সাবেক কমিশারন জুয়েল, ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান, ফারুক খান, সোহেল, জুয়েল গং চাষাবাদে বাধা দেয়। এবং আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।

এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তাহার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া মুন্সী ও ফরিদা বেগম এর জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির জমি দখল ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভূয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছে। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যমুনায় চলছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠক চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক শুরু হয়েছে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে উপদেষ্টাদের যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। বৈঠকটি দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। 

এদিকে গত ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ পাঁচ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে ১৬ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়। তার আগে ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন ৯ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সবশেষ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।


আরও খবর