আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রযুক্তি পল্লীর’ অভাবনীয় সফলতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভার থেকে আসাদুজ্জামান খাইরুল,

সকালের সূর্য ওঠার সাথে সাথে, "স্টাবলিশমেন্ট অফ বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড রিজিওনাল ষ্টেশন" (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের মাঠ কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন প্রান্তিক খামারিদের বাড়িতে বাড়িতে। উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের একটি পল্লীর সকল খামারিকে আধুনিকায়ন, সফল ও সাবলম্বী খামারি হিসেবে গড়ে তোলা। মডেল একটি গ্রাম তৈরি করা যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর প্রান্তিক খামারিরাও উপকৃত হবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই কর্মসূচির নাম "প্রযুক্তিপল্লী" বা "টেকনোলজি ভিলেজ" নামে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামকে এই প্রজেক্টের আওতায় এনে, সফল প্রযুক্তি পল্লীতে রূপান্তর করছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে, দেশের পাঁচটি জেলার একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনজন ডিভিশনাল ফিল্ড অফিসারের আওতায় প্রতিটি গ্রামে দুই থেকে চারজন মাঠকর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রযুক্তিপল্লী বাস্তবায়নে।


প্রযুক্তি পল্লীতে আধুনিক, দক্ষ ও সফল খামারি তৈরীতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। খামারিদের পশু পালনে নানাবিধ সহায়তার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ও কৃমিনাশক, খুড়ারোগ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ, পিপিআর, রানীক্ষেত, ডাগপ্লে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলমান আছে। এছাড়াও খামারীদের স্বাবলম্বী করতে গরু, ছাগল, মুরগি বিনামূল্যে প্রদান ও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি খামারিদের পশু লালন পালন ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাঠকর্মীরা।


এতে বিভিন্ন জেলায় সফল খামারির সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি অসচ্ছল পরিবারগুলো স্বচ্ছলতায় ফিরতে খামারি হয়ে উঠছে । বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেয়া এই উদ্যোগ, জনসাধারণ ও পল্লী এলাকার প্রান্তিক খামারিরা আশার আলো হিসেবে দেখছেন। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

ঢাকা জেলার ধামরাই শরিফবাগ গ্রামের, সফল প্রযুক্তি পল্লীর, খামারি সনিয়া আক্তার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে তিনটি বিনামূল্যে ছাগল নিয়ে শুরু করে তার খামার। ছয় মাসের ব্যবধানে ২০টি ছাগল হয়েছে তার। পাশাপাশি ছাগল মোটা তাজা করনে পিলেট খাদ্য তৈরি ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে, একজন সফল খামারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সে। তার দেখাদেখি গ্রামের অন্যান্য অসচ্ছল পরিবারগুলো খামারি হয়ে উঠছেন। এতে পাল্টে যাচ্ছে এই গ্রামের দারিদ্রতার চিত্র।

অপর আরেক সফল গরু খামারি আরহাম এগ্রো ফার্মের মালিক, মহসিন মিয়ার দাবি গরুর রোগ বালাই মুক্ত করণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় এসে খামারকে করেছেন রোগ মুক্ত ।

একই গ্রামে দশ বছর ধরে গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছেন খামারি আরিফুর রহমান। তিনি বলেন শুরুর দিকটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং ও ভীতিকর। যখন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় আমাদের গ্রাম এসেছে, তখন থেকে আমার খামার ব্যবসার ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হয়েছি। কারণ এখন আমি নিজে গরু মোটাতাজাকরণে আধুনিক পদ্ধতি, ভ্যাকসিনেশন ও পশুর রোগ বালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এটা বর্তমান সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, খামারিদের জন্য নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলাফল।

প্রযুক্তি পল্লীর ভেড়া খামারি রেজিনা আক্তার জানান গ্রামের অন্যান্য মহিলাদের ধীরে ধীরে সফল খামারি হতে দেখে আমি স্বাবলম্বী হতে ভেড়া পালনের উদ্যোগ নেই। সরকারের প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচি দেখে আমি সাহস করি। বিএলআরআই এর ফিল্ড অফিসার বোরহান ভাইকে আমার উদ্যোগের কথা জানালে সার্বিক সহযোগিতা করেন তিনি আমাকে। ভেড়া পালনের উপর ছোট ছোট ট্রেনিং ও বিভিন্ন রোগবালয়ের ঔষধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাকে। এখন আল্লাহর রহমতে আমার সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

প্রযুক্তি পল্লী প্রকল্পের ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে বাংলাদেশের ছয়টি জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে মৎস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমরা চলতি মাসে ধামরাই উপজেলার প্রযুক্তি পল্লীতে ৫ শত গরু ৬ শত ছাগল ২ হাজার মুরগি ৩শত ভ্যাড়া ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছি। অন্যান্য জেলাগুলোতে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

আরেক ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বোরহান উদ্দিন বলেন আমরা ঢাকা জেলাকে একটি সফল প্রযুক্তিপল্লী উপহার দিতে পেরেছি । যখন কৃষকের সফলতা ও আনন্দ দেখতে পাই তখন সকল পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা ও গ্রাম থেকে খামারি ও বিভিন্ন এনজিও এসেছেন আমাদের সফল প্রযুক্তিপল্লী শরীফবাগ গ্রাম পরিদর্শনে । এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে প্রযুক্তি পল্লীর বিভিন্ন সফলতা।

বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড স্টেশন রিজিওনাল ষ্টেশন (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের আধুনিকায়ন ও সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচিতে জনসাধারণ ও প্রান্তিক খামারিদের ব্যাপক সারা ও উদ্দীপনা পেয়েছি। প্রথম পর্যায়ে ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করি।

এখানে ৩৫০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের খামারীদের সফল আধুনিক খামারি করণে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও অনুদান দিয়েছি। নিয়মিত কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে খামারিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করেছি। পল্লী এলাকার খামারিদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি ফরিদপুর, রাজশাহী, সিরাজগ, যশর, চট্টগ্রামে নতুন করে একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ এল আর ডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তিপল্লীর সফল কর্মসূচি গুলো দেশের অন্যান্য পল্লী এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ২০ মার্চ (সোমবার) থেকে ২২ মার্চ (বুধবার ) পর্যন্ত এ এল আরডি(অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) তথা জাতীয় নীতি অ্যাডভোকেসি কৃষি সংস্কার, প্রচার, শক্তিশালীকরণ এবং নেটওয়ার্কিং সংস্থার সঙ্গে কর্মশালা চলবে।


আরও খবর



কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর গত বৃহস্পতিবার উদযাপিত হয়েছে। এখন অপেক্ষা ঈদুল আজহার। তবে আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী আগামী ১৬ জুন (রোববার) আরাফার দিন শুরু হবে। সে অনুযায়ী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।

ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

এরপর আল্লাহ তায়ালা তাকে পুত্র ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কুরবানির নির্দেশ দেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ জুন বিকাল থেকে কুরবানির কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ হবে। 

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু করুবানি দিয়ে থাকেন। এদিন আত্মীয়স্বজন ও গরীব দুঃখিদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহায় আর্থিক সামর্থবান মুসল্লিরা মক্কায় হজ পালন করেন। এদিন তারা পবিত্র হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। 


আরও খবর
শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



গড়াই নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের পাশে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ভাই-বোন হলো- মোছা. সেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২)। সেফা উপজেলার জয়নাবাদ এলাকার শামিম হোসেনের মেয়ে ও শাহাজাদা কুমারখালী থানার আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন।

জানা গেছে, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২ টার দিকে দুজন গোসল করার জন্য নদীতে নামলে স্রোতের কারণে তারা নদীর তলে ডুবে গেলে পানি থেকে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গড়াই নদীতে পরিবারের লোকজনদের সাথে গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তলিয়ে যায় দুজনা। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করলেও আর বাঁচাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। একসাথে একই পরিবারের দুজনার মৃত্যুর কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জয়নাবাদ এলাকায়।

এ বিষয়ে চাঁপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্জু বলেন, নদীতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছি। মরদেহ দুটি এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, নদীতে ডুবে দুজনার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনা স্থানে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।

এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।


আরও খবর