আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প বিকাশে সকল সহযোগিতা করবে সরকার’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মার্চ 20২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মার্চ 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সকল সহযোগিতা করবে সরকার। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে সেটা আমরা সমাধান করবো। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করবো। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরীর শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ আমরা কমাতে পারবো এবং কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তোদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবো। একইসাথে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো।

রবিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকগণ যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এর নেপথ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে।

বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এসময় প্রধান অতিথি আরো যোগ করেন, আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে অন্ধকার থেকে গোটা জাতিকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের জীবনমান এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কেউ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাবে থাকতে হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তান, নেপাল এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে সম্ভব হয়েছে। একজন ভালো ক্যাপ্টেনের কারণে হয়েছে। রাষ্ট্রকে তিনি পরিচালনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা সুন্দর থাকলে সবকিছু সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি এমন একটি খাত যেখান থেকে আমরা মাংস ও ডিম পাচ্ছি। এ খাত থেকে খাবারের একটা বড় অংশের যোগান আসছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। দেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় খাত হবে পোল্ট্রি খাত-এ প্রত্যাশা করি।

মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার এবং একাধিকবার মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাজনিত সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে বলেও এসময় আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে সাংবাদিকরা কাজ করেন তাদের সকলকে অ্যাওয়ার্ড দিতে না পারলেও তাদেরকে মনেপ্রাণে আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। তবে অপসাংবাদিকতার বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪জন, বার্তা সংস্থা/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন ও পোল্ট্রি/কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর
ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪

খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা, উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা কী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেড (বিবিএস) কেবলের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সালে কারখানা নির্মাণের জন্য গাছপালা কেটে সাতখামাইর ফরেস্ট বিটের তেলিহাটি মৌজার আরএস ২৯২৩, ২৯২৪ ও ২৯২৫ দাগের ১.৬১ একর সংরক্ষিত বনের জমি দখল করে নামি এই কেবল প্রতিষ্ঠানটি। দখল করা ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত আড়াই কোটি টাকা। বন বিভাগ দখল করা ওই জমি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এরই মধ্যে নতুন করে কারখানার মূল ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির  প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসনাইন ওরফে হাসান বনের জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন মার্কেট। ওই মার্কেট থেকে মাসে ভাড়া তুলছেন ৩০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, গাজীপুর সদরের নলজানী এলাকার অভিজাত ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার মাসিক আয় কোটি টাকার বেশি। শীত, গ্রীষ্ম এমনকি হরতাল-অবরোধেও এই রিসোর্টের ভিলা খালি থাকে না। ৯-১০ বছর আগে নির্মাণের সময় ভাওয়াল রিসোর্টের পাশে থাকা সংরক্ষিত বনের বাড়ইপাড়া মৌজার এসএ সিএস ৩, ২৭৯ ও ২৭১ দাগের ৩.৬৮ একর জমি দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় বন বিভাগ গ্রিনটেক রিসোর্টের দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলা করে। কিন্তু সেই জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। এভাবে গাজীপুরে সংরক্ষিত বনের জমিতে কারখানা, খামার, আলিশান রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট নির্মাণ করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্য করছে পৌনে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

ব্যক্তিগত প্রভাব এবং অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে থাকা বনের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। সংরক্ষিত বনে বা বন ঘেঁষে তৈরি করা এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৩২১ একর বনের জমি অবৈধ দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৫০০ একর জমি। গত এপ্রিল মাসে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে মাত্র ৮.৭৯ একর বনভূমি। অবশিষ্ট ভূমি রিসোর্ট, বাড়িঘর-দোকানপাট, হাটবাজার ও কৃষিজমি হিসেবে দখল করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর তৈরি করে ২৩ হাজার ব্যক্তি দখল করেছে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি। এতে বনভুমি উজাড় হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। অথচ এই আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের। বরং নানা ফন্দিতে নতুন করে দখল হচ্ছে বনভূমি।

বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, শ্রীপুরে ধনুয়া মৌজায় আরএকে সিরামিকস চার একর, রশোওয়া স্পিনিং মিল চার একর, ডিবিএল সিরামিকস আট একর, অটো স্পিনিং মিলস ২.২০ একর, সাতখামাইর মৌজায় আকন্দ গার্ডেন ১৬ একর, রিফাত ব্যাগ ২৫ শতক, পটকা মৌজায় ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশন ৭.৬৪ একর, কেওয়া মৌজার মিতা টেক্সটাইল ২.২০ একর, মেঘনা কম্পোজিট ৪০ শতাংশ, জোবায়ের স্পিনিং এক একর, ওমেগা সুয়েটার এক একর, সোলার সিরামিকস ৯০ শতাংশ, ইকো কটন ৪.৮৬ একর, ভাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ দুই একর, অনটেক লিমিটেড ৪.৯৪ একর, হাউআর ইউ টেক্সটাইল এক একর, অরণ্যকুটির ২.২২ একর, উইষ্টেরিয়া টেক্সটাইল ৫.৩৩ একর, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দুই একর, এপেক্স নিট কম্পোজিট ১১.৬২ একর, গ্রেটওয়াল সিরামিকস ৭.৩৮ একর, টেপিরবাড়ি মৌজায় ডিবিএল গ্রুপ ছয় একর, তেলিহাটি মৌজায় কুঞ্জু বিথি এক একর, আলিফ অটো ব্রিকস ৭০ শতাংশ, টেপিরবাড়ী মৌজায় চায়না বাংলা প্যাকেজিং এক একর, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস ৭৬ শতাংশ, এইচ এস অ্যাগ্রো দেড় একর, রেক্স অটো ব্রিকস এক একর ৭০ শতাংশ, টেংরা মৌজায় শিশুপল্লী প্লাস সাড়ে ১২ একর, মম পোলট্রি ৭০ শতাংশ ও ওয়ারবিট স্টিল বিল্ডিং দুই একর বনের জমি দখল করেছে। পেলাইদ মৌজায় সিসিডিভি পাঁচ একর, সাইটালিয়া জামান পোলট্রি দুই একর, মাওনা মৌজার মনো ফিড ২.২৫ একর, এইচ পাওয়ার লিমিটেড ৩৩ শতাংশ, হোম ডিজাইন ১.২২ একর ছাড়াও বিবিএস কেবল, দি সোয়েটার, ইকো কটন মিলস, সিটিসেল লিমিটেডও বনের জমি দখল করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় বনভূমি দখলে সবচেয়ে এগিয়ে পারটেক্স গ্রুপ। পারটেক্স কটন লিমিটেড সদর উপজেলার ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাহাদুরপুর মৌজায় সিএস ২৫৪, ২৮৯, ২৯৪ ও ৩০০ নম্বর দাগে ১১.৬৭ একর, পারটেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড একই মৌজার সিএস ২০৮, ৫৮৫, ২০৮ ও ৫৮৬ নম্বর দাগে ৫.০৯ একর, আম্বার ডেনিম লিমিটেড আড়াইশ প্রসাদ মৌজায় আরএস ৮ থেকে ১৮ এবং ২৮ থেকে ৩২ নম্বর দাগে ২৬.২৪ একর মিলিয়ে ৪৩ একর বনভূমি দখলে রেখেছে। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি পারটেক্স গ্রুপের কোনো কর্মকর্তা। মণিপুর এলাকায় বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৪২৮ ও ৫৯৮  নম্বর দাগে ৬.৫৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করেছে সান পাওয়ার সিরামিকস লিমিটেড। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উচ্ছেদ মামলা করা হয়।

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে সান পাওয়ারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম ভূঞা বলেন, কারখানার জমির এসএ ও আরএস রেকর্ড আমাদের নামে। কিন্তু শুধু গেজেটে নাম থাকায় বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করছে। কারখানাটি বিদেশি বিনিয়োগে স্থাপিত। বনের দাবি করা জমির সমপরিমাণ জমি অন্যত্র কিনে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৫৯৮ নম্বর দাগে ফু-ওয়াং সিরামিক ও ফু-ওয়াং ফুডের দখলে রয়েছে ৪.৪০ একর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৭ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উচ্ছেদ মামলা করে বন বিভাগ। কিন্তু ওই সময় দায়সারা মামলা করায় আজও জমি উদ্ধার হয়নি। এ প্রসঙ্গে ফু-ওয়াং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বনের কোনো জমি নেই।’

এ ছাড়া প্যানাস অটোক্রিয়েশ গার্মেন্টস, ম্যাগডোনালস বাংলাদেশ, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনএজেড গার্মেন্টস বাংলাদেশ, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস, বেন্টলী সুয়েটার, ওয়ান ডেনিম, ওয়ান স্পিনিং মিলস, এমআই ইয়ার্ন ডাইং, শরীফ বাড়ি খামার ও রেস্ট হাউস, ইপিলিয়ন স্টাইল, এটলাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, এবি সিদ্দিক পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ, বেন ফিক্সস্টীল বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট, এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি কালেকশন, বাংলাদেশ মেইজপ্রডাক্ট, ইভিল টেক্স, তিতাস স্পিনিং, বেঙ্গল গার্মেন্টস, মালা পোলট্রি ফার্ম, মাসকাত পোলট্রি ফার্ম, টিএস ট্রান্সফরমার, ন্যাশানাল ফিড, মডার্ন ফিড, লিথি গ্রুপ, প্যারাগন পোলট্রি, স্কিন গ্রাফ, গর্ডন স্টিল মিলস, মোশারফ কম্পোজিট, প্যাকলাইন, আর্টিসান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিটি লিমিটেড, মিলেনিয়াম স্টিল মিলস লিমিটেড, কুইন্স পোলট্রি ফার্ম লিমিটেড, অমনী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, ঢাকা ফিশারিজ, রেডিয়াম এক্সেসরিজ, নির্জনা অ্যাপারেলস, গোলাম কিবরিয়া মৎস্য খামার, ইনডেক্স কনস্ট্রাকশন, সাহাবা ইয়ার্ন, এটিআই সিরামিক, গিভেন্সি ডেনিমস, খোরশেদ আলম অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, বেঙ্গল হরিকেন ডাইং প্রিন্টিং লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ এবং আদি অ্যাগ্রো ফার্মের দখলে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বনভূমি।

কালিয়াকৈর সোহাগ পল্লী রিসোর্ট, চন্দ্রা বিটের কালামপুর এলাকার রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট ও চন্দ্রার শিল্পী কুঞ্জ, কোকোলা ফুড প্রডাক্টস, কৌচাকুড়ি মৌজায় সিএস ৯৪২ নম্বর দাগে ১৫.০৫ একর বনভূমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে হাজার হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। বন বিভাগ উচ্ছেদ মামলা করলেও নানা কারণে অভিযান এগোয়নি। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে উচ্ছদ অভিযান শুরু হয়েছে। শ্রীপুর ও সদর উপজেলায় ৮.৭৯ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বন বিভাগের বক্তব্য

বিবিএস কেবলের বনভূমি দখল প্রসঙ্গে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, বনভূমি দখলে বন বিভাগের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে বিবিএস কেবলসও রয়েছে। সেখানে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই উচ্ছেদ করে জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হোসেন বলেন, এসব জমি অনেক আগে দখল হয়েছে। গত কয়েক বছরে নতুন করে কোনো দখল হয়নি। এরই মধ্যে বন বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে শতাধিক বিঘা জমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছে। তা ছাড়া দখল করা জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযানও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হবে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তালিকা ধরে উচ্ছদ কার্যক্রম চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



ডাবল মার্ডার থেকে মুক্তি পাওয়া ফুটবলার সিম্পসনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রাক্তন স্ত্রী ও বন্ধুর হত্যা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক আমেরিকান তারকা ফুটবলার ও অভিনেতা ওরেনথাল জেমস সিম্পসন প্রোস্টেট ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সিম্পসন কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রো ফুটবল হল অফ ফেম। সিম্পসনের পরিবার জানায়, মৃত্যুর সময় তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা পাশে ছিলেন। খবর বিবিসির।

১৯৯৫ সালে প্রাক্তন স্ত্রী নিকোল ব্রাউন এবং তার বন্ধু রন গোল্ডম্যানকে হত্যার মামলা থেকে ওজে সিম্পসনের বেকসুর মুক্তি মিললে বিষয়টি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্রাউনের বাড়ির বাইরে এই দম্পতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিম্পসনকে।

২০০৮ সালে তাকে সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণকারী সিম্পসন এনএফএলে খেলার আগে কলেজে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর