আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মুই একন পতের ফকির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পীরগঞ্জে ধর্মীয় উসকানিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে রোজগার সব উপায় শেষ হয়ে গেছে ভূমিহীন দেবেন্দ্রনাথের (৫৪)। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের দুটি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাঁর তিনটি ঘর। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নেই আর। খাল, বিলে মাছ ধরে হাট-বাজারে বিক্রি করতেন তিনি। সেই রোজগারের একমাত্র জালটিও পুড়ে গেছে।

আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার বড় করিমপুর কসবা হিন্দু পল্লি মাঝিপাড়ায় (জেলে পল্লি) পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনে কথা হয় ভূপেন্দ্রনাথের ছেলে দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে। তিনি বলেন, বউ, চার ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে হামরা বাড়িত থাকি। হামার তিনটা মাটির ঘর। রোববার রাত ৯টার দিকত আমি বাজারোত মাছ ব্যাচার সময় খবর পাই, বাড়িত আগুন লাগছে।

রাত ১০টার দিকে আসি দেকি সব ঘরে দাউ দাউ করি আগুন জ্বলেছে। গোয়াল ঘরে দুটা গরু আছিলো। সেগুলা পুড়ি ছাই হয়া গেছে। কয়েকদিন আগে গাভীটা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আর বাছুরটা ৩৫ হাজার টাকা দাম করছিল। কিন্তু দাম বেশি হওয়ার আশায় ব্যাচো নাই। একন কী হবি মোর!

কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, হামার বাপের মাত্র আড়াই শতক জমি বেচি ৯ শতক জমি কিনি বাড়ি করি। আবাদি জমি নাই। নদী, নালায় জাল দিয়া মাছ ধরি বেচি সংসার চালাই। বাড়িও করি। মোর নাকান এই গাঁওত আরও ৫০-৬০ জন হেন্দু মানুষ মাছ ধরি জেবন চলাই। আর আজ মোর সউগ পুড়ি ছাই হয়্যা গেছে। মুই একন পতের ফকির। মোর জালটাও গেছে।

দেবেন্দ্রনাথের পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এমনই প্রায় ৫০টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে রয়েছে ওই মাঝিপাড়ায়।

আজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৭টি পরিবারকে খাদ্য, বস্ত্র সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট: অপি করিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এই ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নানা মত। একদল চাইছে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালিয়ে নিতে, আরেক দল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড়। এমন অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা মত দিচ্ছেন। এবার এই ইস্যুতে নিজের অভিমত জানালেন সাবেক বুয়েটিয়ান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। ক্যাম্পাসটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে অপি করিম লিখেছেন, বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলামনাই হিসেবে আমি বুয়েটে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।

হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট। দেশজুড়ে আলোচিত এই ইস্যুতে নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেত্রী। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, সহমত। আর আমাদের শিল্পীদের মাঝে একজনকে পেলাম যিনি সত্যি বলতে দ্বিধা করেন না।

এবার একটু পুরনো দিনে ফিরে যাওয়া যাক। অপি করিম তখন বুয়েটের শিক্ষার্থী। সেসময় ছাত্র রাজনীতির বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন তিনি। বুয়েট ক্যাম্পাসে তখন ছাত্রদলের আধিপত্য। ২৮ আগস্ট ২০০২ সাল। অপি করিম তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন পরীক্ষা দিতে। এ সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তখনকার বুয়েট ছাত্র সংসদের ভিপি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা গোলাম মোর্শেদ লায়ন।

সেদিন পরীক্ষা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে গেলে লায়ন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে অপির পথরোধ করে দাঁড়ান। তিনি অপিকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চান। অপির সঙ্গে তার মা ছিলেন। এ ঘটনায় মা-মেয়ে দুজনেই ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন? এ রকম পরিস্থিতিতে অপি তার এক বান্ধবীর সাহায্য নিয়ে অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদের বাসায় আশ্রয় নেন। লায়ন তখন দলবল নিয়ে ওই বাসার সামনে পাহারা বসান। পরে ডিবির গাড়ি এলে তারা কেটে পড়েন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপরই ছাত্রদের তীব্র আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি।


আরও খবর



আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে লিও ভারাদকার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ফাইন গেলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাও জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানী ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের পরিবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয়ে দুটি গণভোটের আয়োজন করা হয়। উভয় ভোটেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় ভারাদকারের ক্ষমতাসীন জোট সরকার। ওই পরাজয়ের জন্য ভারাদকারকে দায়ী করেছিলেন সমালোচকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেকে আর সেরা উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন না তিনি।

সাংবাদিকদের লিও বলেন, আমি আজ থেকেই ফাইন গেইলের সভাপতি ও নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি। একইসাথে আমার উত্তরসূরি নির্ধারণ হওয়ার সাথে সাথে আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও পদত্যাগ করব।

ভারাদকার আরও বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি অনেকের কাছে বিস্ময় ও কারো কারো জন্য হতাশার হবে। তবে সিদ্ধান্তটি দেশের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।

লিও ভারাদকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেছেন, ভারাদকরের পদত্যাগের ঘোষণা নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ। আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি এটা মোটেও আশা করিনি।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিও ভারাদকার। সেসময় তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আবারও এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ভারাদকার প্রথমবার নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ভারাদকারের মা আইরিশ এবং বাবা হচ্ছেন ভারতীয়। তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রথম দ্বিজাতিক প্রধানমন্ত্রী।

আগামী মাসে সংসদের অবকাশ শেষে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। সে পর্যন্ত লিও ভারাদকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাটিং বিপর্যয়: ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ১৮৮ রানে। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে সফরকারীরা। গতকাল শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পুরোটা খেলতে পারেনি। ৫১.৩ ওভার টিকেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।

সর্বনাশের শুরু শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে। ১০ ওভার ব্যাট করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে এসে সে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হলো না। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই টাইগাররা হারিয়েছে আরও ‍২ উইকেট। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ফিরেছেন লিটন দাসও। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে বিরতিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

শাহাদাত হোসেন ১৮ ও লিটন ২৫ রান করে সাজঘরমুখো হয়েছেন। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জয়ের ইনিংস থেমেছে স্রেফ ১২ রানে। এর আগে ৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তাইজুলকে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন জয়। কিন্তু এই ওপেনার খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। লাহিরু কুমারার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

শাহাদাত এসেছিলেন এরপর। তাইজুলের সঙ্গে জুটি জমেও উঠেছিল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজনই দেখেশুনে খেলছিলেন। জুটি যখনই আশা দেখাচ্ছিল, তখনই আক্রমণে কুমারা। আর তাতেই সাফল্য পায় লঙ্কানরা। বাউন্সি বলটা বুঝে ওঠার আগেই শাহাদাতের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নেন দিনের দ্বিতীয় ক্যাচ। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ লিটন। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে পার করেন দলীয় শতরান। লিটন খেলেছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছেন তাইজুলও। কিন্তু টাইগারদের এ জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লাহিরুর দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বিরতি পর দ্রুতই আউট হন তাইজুল। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে বাঁ-হাতি এই স্পিনার আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। শেষ দিকে শরিফুল ১৫ ও খালেদ আহমেদ করেন ২২ রান। শ্রীলঙ্কার ভিস্ম ফার্নান্দো নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। এবার সপ্তাহ জুড়ে অনলাইনে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন তারাই আজ যাত্রা করছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ গত ২৪ মার্চ যেসব যাত্রী বুধবারের (৩ এপ্রিল) অগ্রিম টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র তারাই আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছেন।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বিশেষ ট্রেন যাত্রায় ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে শুরুতেই। নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি কোনো ট্রেন।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকেট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।

যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার পাশেই বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব- ৩ এর এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। আর প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও আবার দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরের দিকে তারা প্রবেশ করতে পারছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

উম্মে সালমা নামে এক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমন ভিড় কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪