আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



পাবনার বেড়া ও সুজানগরে কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল বাতেন।

তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন স্থানীয় এমপি শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর পক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পায়না কেন্দ্রে রঞ্জনের অনুসারী ও বেলা পৌরসভার কাউন্সিলর কিরণের নেতৃত্বে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেবলমাত্র হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মোল্লাপাড়ায় ভোটারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। কেন্দ্রে অপকর্ম করতে না পেরে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে রঞ্জনের ক্যাডার বাহিনী। বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আব্দুল বাতেন।

পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে এজেন্টদের বের করে দেয়ার চেষ্টা হলেও আমরা তা প্রতিহত করেছি। কেন্দ্রের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।

পাবনার বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে। ভোটারদের বাধা দেয়ার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সুজানগর উপজেলায় মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব। তবে বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন।


আরও খবর



গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল বাসের ছাদ, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সি লাইনের যাত্রীবাহী এক বাস সড়কের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাদপুরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আল-শামীম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

ওসি এম এ ওয়াদুদ জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি লাইন পরিবহনের বাস পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহাজাদপুরের টেটিয়ারকান্দা এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের পুরো ছাদটি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আল শামীম নামের এক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও সাতজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর