পিরোজপুরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের জেলা সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার অন্যতম আসামী জামাল হোসেন (৩৮)কে ফেনী থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জামালের ভাষ্যমতে তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালীর বাড়ি থেকে ফয়সালকে জখম করার সময় ব্যবহৃত একটি ধারলো রামদা, একটি চাপাতি, একটি জিআই পাইপ ও রক্তমাখা দুইটি প্যান্ট জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে পৃথক অভিযান চালিয়ে আল আমীন (৪২) ও জুয়েল সিকদার (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বুধবার পিরোজপুর সদর থানায় প্রেস-ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার পুলিশ ও র্যাব-৭ ফেনী মডেল থানার মহিপুর এলাকা থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী জামাল হোসেনকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করে রাতে পিরোজপুর সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ আসমী জামালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জামাল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন শেখ ওরফে দিলুর ছেলে।
জানা গেছে, জামাল হোসেন শেখ আন্তঃজেলা অপরাধ জগতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্যক্রম ও চিহ্নিত মাদক কারবারি।
২৩ ফেব্রুয়ারী পিরোজপুর পৌরসভাধীন উত্তর নামাজপুর গ্রামে স্থানীয় মোফাজ্জেল আকনের ছেলে ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের জেলা সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটে। এতে ফয়সালের পাকস্থলি পেটের বাইরে বের হয়ে আসে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গভীর জখম করে। ফয়সাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধী রয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।