বাংলাদেশকে বড়
কোনো জুটিই গড়তে দিচ্ছে না ভারত। জুটি গড়ে উঠলেই আঘাত হানছে বাংলাদেশ শিবিরে। সাকিবের
বিদায়ের পর মুশফিকও ভালো শুরুর পর বিদায় নিয়েছেন। তবে সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়ার মাঝেই
স্বস্তির এক ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় সেশনের
শুরুতে সাকিব বিদায় নিয়েছিলেন। এর পর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াকু
স্কোরের আশা দেখাচ্ছিলেন মুমিনুল হক।
তবে সে আশা টিকল
না বেশিক্ষণ। দলীয় ১৩০ রানে মুশফিক ফেরেন। জয়দেব উনাদকাটের বলে উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্টের
হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরলে ভাঙে এখন পর্যন্ত ইনিংস-সর্বোচ্চ ৪৮ রানের জুটি। তার বিদায়ের
পর মুমিনুল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন।
প্রথম সেশনটা
ভালোয়-মন্দে কাটলেও দ্বিতীয় সেশনে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২ উইকেটের
সাথে দ্বিতীয় সেশনে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। চা পানের
বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। মুমিনুল ও মেহেদী হাসান
মিরাজ রয়েছেন ক্রিজে। তবে দ্বিতীয় সেশনে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে অর্ধশতকের দেখা
পেয়ে গেছেন মুমিনুল।
এর আগে দিনের
শুরুতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা
দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ৩৯ রানে ফিরে
যান জাকির, ১৫ রান করে। ঠিক পরের ওভারেই আম্পায়ার্স
কলের বলি হয়ে শান্তকেও বিদায় নিতে হয় ২৪ রানের মাথায়। তবে সাকিব আর মুমিনুল মিলে সে
ধাক্কা সামলে সেশনটা কাটান নির্বিঘ্নেই। মধ্যাহ্ন
বিরতি থেকে ফিরে আগের ১৬ রানের সঙ্গে কোনো রান যুক্ত না করেই ফিরে যান সাকিব। এর পর
ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। মুশফিক ফিরেছেন
২৬ রানে এবং লিটন ২৫ রানে।