আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জ থেকে পোশাক যাচ্ছে রাজধানী বিভিন্ন বিপণি বিতাণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি, মুন্সীগঞ্জ

রেডিমেড পোশাক পল্লী হিসেবে সুপরিচিত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দু'টি ইউনিয়ন রামপাল ও পঞ্চসার ইউনিয়ন এখানে রয়েছে ছোটবড় এক হাজারের বেশি পোশাক তৈরির কারখানা। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পোশাক  পল্লীর কারিগররা। এবারে পবিত্র  ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এবার  ঈদে ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট তাদের পোশাক পল্লীর কারিগরদের।

পোষাক  পল্লীর কারিগর ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের সিপাহিপাড়া, দেউসার, শাঁখারীবাজার,  দরগাবাড়ি, হাতিমারা,ও পঞ্চসার ইউনিয়নের, কালিখোলা, রতনপুর, রামেরগাঁও, নয়াগাঁও, ভট্টাচার্যের বাগ ও ডিঙ্গাভাঙা গ্রামের হাজারো বাড়িতে পোশাক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে । এসব  গ্রামের প্রতিটি কারখানায় সারা বছর পোশাক তৈরি হয়। তবে ঈদ এবং উৎসবে ব্যস্থতা বেড়ে যায়। চলে দ্বিগুণ বিকিকিনি। এসব ছোটছোট কারখানাকে ঘীরে রেডিমেড পোশাকের বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মুন্সীগঞ্জে। এবারের ঈদ ঘিরে প্রতি কারখানায় নানা ধরনের পোশাক তৈরি হচ্ছে। এসব পোশাক যাচ্ছে দেশের বড় বড় পাইকারি মার্কেটে। যেমন  সদরঘাট, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান  পাইকারি মার্কেট ও নারায়ণগঞ্জের পাইকারি মার্কেটসহ বড় বড় শপিংমলে।

রমজান শুরুর এক মাস আগে থেকেই পোশাক তৈরির ব্যস্থতা বেড়েছে বলে জানালেন দেউসার গ্রামের ফারুক মুন্সী মিনি গার্মেন্টসের কাটিং মাস্টার মানিক মিয়া। তিনি বলেন, এখানের ছোটবড় সব পোশাক কারখানায় চলছে ঈদের পোশাক তৈরির ধুম। এই ব্যস্ততা থাকবে ২৫ রমজান পর্যন্ত। ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই উল্লেখ করে রিফাত হোসেন  বলেন, ব্যস্ততা বাড়ায় ১২ ঘণ্টা কাজ করি। ওভারটাইমের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিক দেওয়া  হয় মালিক পক্ষ থেকে। তবে বেতনটা আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো।

এখানে সব ধরনের পোশাক তৈরি হয় জানিয়ে একই কারখানার কারিগর নয়ন বলেন , 'সুতি, ফেন্সি ক্রপ টপস, স্কার্ট, এমব্রয়ডারি ও কারচুপিসহ সব ধরনের লেডিস পোশাক তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জ সহ  ঢাকার সব পাইকারি মার্কেটে যায় আমাদের পোশাক। আবার নিশেট, বিভাগীয় পাইকারি মার্কেটেও যায়। এবার আমরা হাজার বিশ পোশাক তৈরি করছি। আশা করছি, সব বিক্রি হয়ে যাবে।

আলীফ  রেডিমেড কারখানার কারিগর  রমজান  বলেন, তৈরি পোশাকের জন্য এই পরি ঐতিহ্যবাহী। এখানের কারখানাগুলোতে ফ্রক, পহেদাগ সব ধরনের পোশাক তৈরি হয়। মারার ইসলামপুর, সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জের বড় মার্কেটে যায় এসব পোশাক। কোটি টাকার বেচাকেনার টার্গেট আছে আমাদের।

সরেজমিন কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, কারখানার শ্রমিকদের দম ফেলার সুযোগ নেই বল্লেই চলে। পাঞ্জাবি, শাড়ি, কামিজ, টপস, গাউন, প্রিন্টের কামিজ, সালোয়ার, এমভ্রয়ডারি ও কারচুপির কাজ করছেন তারা। আবার কোন কারখানায় মাতারুকাজের পোশাক তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ কাপড় কাটা, লেলাই, ডিজাইন, আয়রন এবং প্যাকেটিংয়ের কাজ  করছেন।

২ যুগের বেশী সময় ধরে রেডিমেড পোশাক তৈরি করছেন চাম্পাতলার একজন সফল ব্যাবসায়ী নূর হোসেন। কারখানার মালিক নূর হোসেন। তিনি বলেন,  ২ যুগের  বেশী সময় এই রেডীমেড কাপড়ের ব্যাবসা করে আসছি। খুব  কম দামে আমাদের পণ্য গুলো বিক্রি হয় বলে সারাদেশে প্রচুর চাহিদা আছে। আমার কারখানায় ১০টি মেশিন আছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করেন শ্রমিকরা। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক ভালো। ফলে চাহিদা বেশি। সে কারণে ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পণ্যগুলো কিনে নিয়ে যান।

এবারের ঈদে কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট আছে বলে উল্লেখ করে মোঃ রুবেল বলেন, আমরা সব লেডিস আইটেম তৈরি করি। এবারের ঈদে

কোটি টাকার পোশাক তৈরি করেছি। এর মধ্যে ৭০ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে। ২০ রোজার মধ্যে বাকিগুলো বিক্রি হয়ে যাবে।

রেডিমেড পোশাক কারখানায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ  বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, রমজানে ঈদে এখানকার ছোটবড় এক হাজারের বেশি কারখানায় ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট রয়েছে। প্রত্যেক কারখানায় ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকার বেশি অর্ডার আছে। সারা বছর এসব কারখানায় পোশাক তৈরি হয়। সবমিলে বছরে হাজার কোটি টাকার পোশাক  তৈরি ও বিক্রি হশ এখানে।

দিন দিন রেডিমেড পোশাক পল্লীর পরিসর বাড়ছে উল্লেখ করে মো: আব্দুল্লাহ বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে একসময় দেশের চাহিদা মিটিয়ে তৈরি পোশাক বিদেশে রফতানি করা যাবে। এ জন্য ছোট কারখানাগুলোকে বড় করা জরুরি। তবে পাইকারি মোকামগুলো ঢাকা - চট্টগ্রাম -নারায়ণগঞ্জ  হওয়ায় পণ্যগুলো পরিবহনে অসুবিধা হয়। নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



সন্ধ্যায় আ.লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক, আলোচনা হবে যেসব বিষয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহীর এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যনির্বাহী বৈঠকে।

এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার, বিশৃঙ্খলা ও নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছেন তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে বৈঠক থেকে। ৮ মে দেশে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে মাউরো ভিয়েরাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দুপুরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

জানা গেছে, এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি।

ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্র জানান, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে সম্প্রতি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন।

গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। দেশটি গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে অর্থাৎ ৪৯৫ টাকা করে বাংলাদেশকে দিতে চায় লাতিন আমেরিকার এই দেশটি।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদ ফিরতি যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের পর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সাত দিনব্যাপী ট্রেনে ফিরতি যাত্রা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর জন্য আরও ১০ দিন আগে এই যাত্রার আসন বিক্রিও করেছিল রেলওয়ে। সেই যাত্রা শুরু প্রথম দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল)।

এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আসছে। তবে ট্রেনগুলো থেকে যথেষ্ট যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন, আজ ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা ছিলো। আগামীকালও ছুটি, হয়তো পরশুদিন থেকে ট্রেনে চাপ বাড়বে।

ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ওই ট্রেনের যাত্রী হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঈদের তিন দিন আগেই বাড়ি গিয়েছিলাম। যদিও কালকে বন্ধের দিন, কিন্তু কাজ থাকায় আজই ঢাকায় ফিরেছি। পরিবারে অন্য সদস্যরা আরো কয়েকদিন পরে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফিরতে ট্রেনে তেমন কোনো চাপ ছিল না। ট্রেন অনেকটা ফাঁকাই লেগেছে। হয়তো কালকের পর থেকে চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয় ৩ এপ্রিল; ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৯ এপ্রিল। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাসিরনগর গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের পাশে আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির ভবনে কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকে নামেন ওই তিন জন। পরে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর