আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ থেকে রক্ষার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কৃষকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপি জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা দোহার সড়কের খারসুর বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিগত হাসিনা সরকার কর্তৃক মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামে খারসুর মৌজার মালিকানাধীন তিন ফসলি একশ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবী‌তে তারা এসব কর্মসূচি পালন করে।

এতে প্রায় ১০ টি গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষক ছাড়াও সর্বস্থরের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

মানববন্ধনে কৃষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষি জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, বিগত স্বৈরশ্বাসক শেখ হাসিনা তার দলীয় ও প্রশাসনিক ক্যাডারদের মাধ্যমে জোর করে মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামের আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ করার নীল নকশা তৈরি করেছে । ইতিমধ্যে ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ বিষয় কৃষকদের দুইটি চিঠি প্রেরণ করেছে। তবে অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে এর আগেও একাধিকবার  নিষেধ করলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি৷

বরং অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে কিছু বললে কণ্ঠরোধ করা চেষ্টা করেছে। তারা আরো বলেন, যেনকোন মূল্যে তাদের পৈত্তিক সম্প্রতি রক্ষা করবেন তারা। এসময় প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও কৃষি জমি রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শিল্প কল কারখানার নামে জমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ বিষয়ক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানা বিপ্লব বলেন, এখানে যাদের জমি নেই সেসব দালালরা দালালি করে আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণের নামে দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা বারবার বাধা দিলেও তারা অধিগ্রহণ কর্মকান্ড বন্ধ করছেনা। এসময় তিনি হুশিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বন্ধ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বেক্সিমকো-সামিটসহ ৫ গ্রুপের মালিকদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে চিঠি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেক্সিমকো, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, সামিট ও নাসা গ্রুপের মালিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ চিঠি দিয়েছে। এনবিআর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। সিআইসি বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে।

পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০০৩ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।

কর ফাঁকি রোধ ও কর উদ্ধারের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধান বা উদঘাটনে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এরই মধ্যে কাজ গুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আরও জানা যায়, সিআইসি পরিচালিত এ বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব তলব করে এনবিআর।

গত ১৬ আগস্ট বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের (এস আলম) বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এনবিআর। সংস্থাটির আয়কর বিভাগ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে।


আরও খবর



সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১।

র‍্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাজহারুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর একে একে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, হাজী সেলিমসহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব হলেন আবুল কালাম আজাদ মজুমদার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর গ্রেড-৪ ভুক্ত ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপ ৭১,২০০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে আরও বলা হয়, এ নিয়োগের অন্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

নিউজ ট্যাগ: আবুল কালাম আজাদ

আরও খবর



নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে ওই বৈঠকের প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

ড. ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।

ওই সূত্র বলেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য সুসম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়।

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে ভারতের অনুমতিতে দেশটিতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে দেশটিতেই অবস্থান করছেন তিনি। তাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য অনুরোধের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ আগস্ট টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপের সময় জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সামঞ্জস্য রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চলমান বড় প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই। কোনো প্রকল্পের কাজ স্থগিত হয়নি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ আরও বড় প্রকল্পে দিল্লি আগ্রহ দেখিয়েছে। বিনিয়োগের ভালো জায়গা বাংলাদেশ। এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ভারতকে আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা-দিল্লি একসঙ্গে আগের মতোই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্প স্থগিত হয়নি। বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশুগঞ্জ ও আখাউড়া সড়কের মতো কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুতই ফিরে আসবে ও কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশের ঋণের অর্থ ছাড় করার বিষয়েও সমস্যা নেই। আগের মতোই এই সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেবে ভারত।


আরও খবর