প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ শহরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন
আহত হয়েছ্ । দুপুরের পর থেকেই মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লবের
সভাপতিতে্ব সুপার মার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। মিছিলে মিছিলে মুখরিত
হয় এলাকা। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ও গজারিয়া
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের
ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেক (৫০), মো. জামাল (৩৫), সোহাগ (৩৮), রাসেল (২৬),
সাদ্দাম (৩০) ও আফসার হোসেনকে (৫০) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অপর আহত মনির হোসেনকে (৪৮) ঢাকায় পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জেলার গজারিয়া
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ট্রলারযোগে
নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন। তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের
উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের
সূত্রপাত হয়। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন
বলেন, ট্রলারে করে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহর লোকজন শহরের
হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটের অদুরে বেড়িবাঁধে আসেন। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের পায়ে
ধাক্কা লাগে জিন্নাহর লোকজনের। এরপর তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে
পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা আমার বড় ভাই মনির হোসেনকে সামনে বেধড়ক মারধর
করে।
গজারিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনসুর খান জিন্নাহ জানান , অনাকাঙ্ক্ষিত
ঘটনা । তবে আমার সঙ্গে ঘটনাটা ঘটেনি , এতে আমার কয়েকজন লোক আহত হয়েছে।
সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের
বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে
আনতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সরে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।