আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে 'বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি' ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জিতু রায়(মুন্সীগঞ্জ):

শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু ,

আরো ৫০ বছর আগে কেন আমার জন্ম হলো না তাহলে আমি হয়তো আপনাকে সরাসরি বলতে পারতাম বাংলাদেশ নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা। আপনাক জানলে যেন বাংলাদেশের ইতিহাস জানা হয়ে যায় বাংলার লাল সবুজের পতাকায় আমি আপনারই প্রতিচ্ছবি দেখি। আপনি আমাদের প্রেরণার উৎস এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতার গণতন্ত্রিক মুক্তিসহ  সকল কিছু অর্জিত হয়েছে আপনার নেতৃত্বেই।

এক ঝাঁক কোমলমতি শিশুর মনের অলিন্দে লালন করার স্বপ্ন এবং ভালোবাসার ফল্গুধারা যেন স্বত উৎসারিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কাছে তাদের কাঁচা হাতের লেখা এই চিঠিগুলোতে।

বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে এমন চিঠি লিখেছেন মুন্সীগঞ্জের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডঃ ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবছরই বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীদের লেখা চিঠি ও চিত্রাঙ্কন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বড় পরিসরে দেয়ালিকা প্রদর্শনীর আয়োজন করে  থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের লেখা চিঠিগুলো নিয়ে একটি প্রকাশনার উদ্যোগ নেই প্রতিষ্ঠানটি।

জাতির পিতার আদর্শ কে জানার এবং তাঁর স্বপ্নকে লালন করার পথকে প্রসারিত করতে 'বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি' শিরোনামের ম্যাগাজিনটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় প্রতিষ্ঠানটির নব নির্মিত মাল্টিপারপাস সেডে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর প্রতীক লে. কর্নেল(অব.)কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) খান মো. নাজমুস সোয়েব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এবং বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক মেজর মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান।

সহকারী অধ্যাপক ফারহানা মির্জার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ পত্নী শামিমা নাজনীন, একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর মো. ইসহাক, কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ড. মো. জাকির হোসেন, স্কুল শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি গিয়াসউদ্দিন অভি এবং অভিভাবক প্রতিনিধি মো. হোসেন লিটন।


আরও খবর



সাউথ আফ্রিকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সাথে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের মতবিনিময়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার সাত সদস্যর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর নের্তৃত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিএমসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদ, সদস্য এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের কাছে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার বিকালে আগ্রাবাদ কাদেরী চেম্বারের সিএমসিসিআই মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরীর, সহ-সভাপতি (ফরেন ট্রেড এন্ড অ্যাফেয়ার্স) ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিবৃন্দ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।

মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান সূচনা বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের সাথে সিএমসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময় জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও ঘনিষ্ট বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ আমরা আগ্রহী। সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশই উন্নয়নের একই পথে আছে, যা পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে সম্ভবপর করে তোলে। তাই উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভার আলোচনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন কেডিএস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিএমসিসিআই সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেল, দক্ষিণ আফ্রিকান অনারারী কনস্যুলেট আলহাজ সোলায়মান আলম শেঠ, কেডিএস টেক্সটাইল, কেডিএস গার্মেন্টস্ এবং কেওয়াই স্টিলের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাফিজ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

রোববার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হুইল চেয়ারে করে উপস্থিত হন হাফিজ। আপিল শর্তে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।


আরও খবর



ঈদে ভাড়া বেশি নিলে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মহাসড়ক/সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ ওঠে এবং প্রমাণও মেলে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন... ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হব। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাব। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, সেটি আমরা শনাক্ত করব।

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়কে যান চলাচলে। সেটি সমাধান না হলে ঈদযাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নেই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবে সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নেই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাব। দেখি ওখানে কী সমস্যা। আবারও বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত গণমাধ্যমকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে তার বাবা সবুজ শেখ এবং মা বিউটি খাতুন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন এই বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু, সহকর্মী ও ফেসবুকে অভিশ্রুত শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন।

অন্যদিকে, সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে তার বন্ধু সহকর্মীরা জানতেন তার নাম অভিশ্রুতি। মৃত্যুর পর এই নাম নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।


আরও খবর



ফের জিআই পণ্যের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশে ও বিদেশে কতগুলো পণ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে তার তালিকা ফের চাইলেন হাইকোর্ট। অবকাশকালীন ছুটি শেষে আদালত খোলার দিনই এই তালিকা দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ছাড়া অন্য কেউ তালিকা দাখিল না করায় ওই আদেশ দেন আদালত।

শুনানির সময় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড হাইকোর্টকে জানায়, বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা মসলিন শাড়ি অন্তর্ভুক্ত করা আছে। আরও নতুন ৭টি পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আজকের মধ্যে এ তালিকা করে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে আরও দুটি পণ্য।

কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে, সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনোটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

নিউজ ট্যাগ: জিআই সনদ আদালত

আরও খবর