মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নাক, কান, গলা সার্জারির ডাক্তার ইমরান খানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সদর হাসপাতালের ২০৭ নাম্বার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার ইউসুফ গাজী (৬০) এর বাড়ি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামে।
সরেজমিনে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলাম পুরের বাসিন্দা ইউসুফ গাজীর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে স্ত্রীকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আসলে তাকে ২০৭ নম্বর কক্ষে নাক, কান গলা ও হেড-নেক সার্জারির ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়। ওই কক্ষের ডাক্তার ইমরান খান রোগীর নাকে গজ ঢুকিয়ে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করার সময় রোগী ব্যথা পেয়ে নড়ে চড়ে ওঠে। এ সময় চিকিৎসক রোগীকে চড় মারে বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
ইউসুফ গাজীর স্ত্রী জানান, সকালবেলা হঠাৎ দেখি আমার স্বামীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তাই তাকে নিয়ে ইমার্জেন্সিতে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসকরা আমাকে দোতালা ২০৭ নাম্বার কক্ষে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসার সময় ডাক্তার ইমরান খান হঠাৎ করে আমার স্বামীকে চড় মারে।
ইউসুফ গাজী জানান, আমাকে চড় মেরে সে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ১০-১৫ মিনিট পরে এসে আমাকে সরি বলে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলে। এ সময় আমার নাক দিয়ে প্রচুর রক্ত পড়ছিল।
ডাক্তার ইমরান খান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার সাথে আমার এরকম কোন ঘটনা ঘটে নি। আমি তার প্রাথমিক রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। পরে তাকে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলেছি। তবে রোগীর সাথে আমার সামান্য দস্তা দস্তি হয়েছিল।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।