
পদ্মায় গরুর ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে পালানোর সময় স্পিড বোটে থাকা ডাকাত দলের সদস্যদের প্রায় ৮০ কিলোমিটার নৌপথ ধাওয়া করে নৌপুলিশ ধাওয়া খেয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী গ্রামে এসে চারটি পাইপগান, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক করেছে নৌপুলিশ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের চৌকস টিম।
মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাতরা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াঘাট এলাকায় ডাকাতি করে পালিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় তাদের পিছু নিয়ে মুন্সিগঞ্জে এসে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে নৌপুলিশ। ডাকাতদলের কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও গুলি, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ৩৩ লাখ টাকা ও একটি স্পিডবোট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এ পর্যন্ত এবাদুল (৩৫), তাজুল ইসলাম(৩০), মহসিন (৩০) সহ তিন জনের নাম সনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন >> ক্ষেতলালে দুই দিনের শিশুকে নিয়ে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে মা
নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে আন্ত জেলা ডাকাত দলের সঙ্ঘবদ্ধ ২০ সদস্য ডাকাতির পরিকল্পনা করে মুন্সীগঞ্জে মাওয়া ঘাট থেকে একটি ২০০ হর্সপাওয়ারের স্পিডবোট নিয়ে আরিচা ঘাটে রওনা হয় ।
আরিচা ঘাটে দুইটা পঞ্চাশের দিকে পৌঁছে তারা একটি গরুর ট্রলারে ডাকাতি করে। ডাকাতের খবর পেয়ে মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ডাকাতদের ধাওয়া করে। ডাকাত দল মাওয়ার দিকে আসলে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় হয় এরপর তারা পথ পরিবর্তন করে কালিরচরের শাখা নদী ব্যবহার করে ঢুকে মেঘনা নদীতে চলে আসে। ধাওয়া কালে ডাকাতরা পুলিশের উপর গুলি করে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি চালায়। এতে তারা মেঘনা নদী থেকে মুন্সীগঞ্জের ভি ভীতর খাল হয়ে ঢুকে যায়। পরে চরকেওয়ার ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এসে পৌঁছে তারা স্পিডবোট টি রেখে গ্রামে ঢুকে পড়েন। এ সময় অভিযান চালিয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৭ জনকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, ডাকাত দল গ্রামে ডুকে পড়লে একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সে সময়ে গ্রামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হলে গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়লে ডাকাত দলের সদস্য রা গ্রুপে ভাগ হয়ে পড়ে তখনি আটক করতে সক্ষম হন ৭ ডাকাত দলের সক্রিয় ডাকাত চক্রের সদস্যরা।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন জানান, ৪টি পাইপগান, দেশী অস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পীডবোট জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে দুই ধাপে ডাকাতিতে খোয়া যাওয়া ৩৩ লক্ষ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট জড়িত ২০ জনের মধ্যে বাকি ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।