আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুসলিম দেশে কোকা-কোলার ব্যবসায় ধস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েল ও এর মিত্র দেশগুলোর পণ্য বয়কট করায়, মুসলিম দেশের স্থানীয় বাজারে হ্রাস পেয়েছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্যের চাহিদা। ফুলে ফেঁপে উঠছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য। মিসরের বাজারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ভি-সেভেন কোলা। এদিকে সৌদি আরবে জনপ্রিয় কোকা-কোলাকে ছাড়িয়ে গেছে কিনজা। গাজায় চলমান যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক পণ্যের দরপতন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

মিসরের একটি সুপারশপে থরে থরে সাজানো আছে স্থানীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়ের বোতল আর ক্যান। মিসর, জর্ডান, কাতারের সুপার শপগুলোয় কোক-পেপসির বদলে ক্রমেই জায়গা করে নিচ্ছে স্থানীয় ব্র্যান্ডের কোমল-পানীয়। ব্যবসায়ীরা জানান, কোক-পেপসির বাজারে রীতিমত ধস নেমেছে। কোনো কোনো জায়গায় বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ৭ থেকে ৮ গুণ।

স্থানীয়রা জানান, কোকা-কোলা আর পেপসির বেচাকেনা কমে গেছে। আগে শুধু রমজান মাসে কোকা-কোলা মূল্যছাড়সহ ও বাই-ওয়ান-গেট-ওয়ানের অফার দিত। কিন্তু এখন কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন অফার দিচ্ছে ওরা। বয়কটের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে।

বিক্রেতারা জানান, প্রতি সপ্তাহে বিদেশি সফট ড্রিংক্স বিক্রি করেছি ৫০০-৭০০ দিনার। এখন প্রতি সপ্তাহে ১০০ দিনার উঠানোও কষ্টসাধ্য। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তৈরি সফট ড্রিংক্স আগে প্রতি সপ্তাহে বিক্রি করেছি ২০ থেকে ৬০ দিনারের মাঝে। এখন ১০ গুণ বেশি বিক্রি হয়।

পণ্য বয়কটের এই ঝড়ে মিসরে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে দেশটির নিজস্ব কোমল পানীয় কোম্পানি ভি-সেভেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর রফতানি বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নূর জানান, বিশ্বের ২১টি দেশে রফতানি হচ্ছে তাদের পানীয়টি।

মোহাম্মদ নুর বলেন, ভি-সেভেন আমরা ২০২৩ সালে বাজারে নিয়ে আসি। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পরই মিসরীয় মার্কেটে এর বিক্রি শুরু করেছি। আল্লাহর রহমত অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। নজরে আসলো মানুষজন কোক-পেপসি বাদ দিয়ে আমাদের পণ্য কিনতেই বেশি আগ্রহী। গত ১ বছরে স্থানীয় মার্কেটে ভে-সেভেন বিক্রির পরিমাণ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য দেশে রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছে ৩০০-৩৫০ শতাংশ।

একই চিত্র সৌদি আরবেও। দেশটির বাজারে কোকা-কোলাকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে দেশি ব্র্যান্ড কিনজার। আবু ইসা হোল্ডিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াজ ইদ্রিসি বলেন, কিনজার মুনাফা কোকা-কোলার চেয়ে এখন বেশি। খুব শীঘ্রই পেপসির বাজারেরও দখল নিবে।

সফট ড্রিংকস থেকে শুরু করে সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু সবকিছুতেই ক্রেতারা এখন বয়কট করছে ইসরায়েল ও এর মিত্র দেশগুলোর পণ্য। ক্রেতারা জানান, কোকা-কোলা, পেপসি ছেড়ে আমি স্থানীয় ভাবে তৈরি করা সফট ড্রিংক কিনি, যেমন- ভি-কোলা কিংবা স্পাইরো স্প্যাথিস। ডিটারজেন্টসহ ঘরের অন্যান্য জিনিস কেনার ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখি যেন ইসরায়েলি পণ্য না কিনতে হয়। ওদের জিনিষের বদলে মিসরীয় জিনিস কেনা অনেক ভালো।

জরিপ অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য মুসলিম বিশ্বে আন্তর্জাতিক পণ্যের দরপতন হয়েছে ৪ শতাংশ।


আরও খবর



জমি থেকে ফসল পরিবহনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার আটঘরিয়ায় জমি থেকে ধান, পাট, তিল, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পরিবহনের জন্য ঘোড়ার গাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে জমি থেকে ধান, পাট, গম, কেটে ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে বাড়িতে আনছে। এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকার কারনে এই ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র বাহন। শুধু ধান পরিবহনের ক্ষেত্রে নয় উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাতেই মানুষ পণ্যও পরিবহন করছে।

উপজেলার বাসিন্দা নাজিমউদ্দীন জানান, অতীতে আমরা দেখেছি গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি দিয়ে এসব পরিবহন করতো। আর মানুষের বিয়েতে এই ঘোড়ার গাড়ি করে বর নিয়ে যাওয়া ছিল ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে এই ঘোড়ার গাড়ি কৃষি পণ্যসহ সকল ধরনের মালামাল বাহনের একমাত্র উপায়। তাই গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি কালের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিলাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহনসহ ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেওয়ার জন্য বর্তমানে একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি।

বিলাঞ্চলে উৎপাদিত ফসল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব ঘোড়ার গাড়ি। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য অন্যান্য যানবাহনে কিছু কিছু জায়গা থেকে অনায়াসে চলতে পারলেও অনেক স্থানে যাতায়াতের অবস্থা ভাল না থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই ঘোড়ার গাড়ির চাহিদাও আছে। এ ঘোড়ার গাড়িতে ৩০০ থেকে ৫০০ ধানের আটি পরিবহন করা যায়।

ঘোড়ার গাড়ি চালকরা জানান, সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন তারা। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৫-১৭ হাজার টাকা। একটি ঘোড়া কিনতে লাগে আরও ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সারাদিনে আয় হয় ১৫০০-২০০০ টাকা। তা দিয়ে সংসারের খরচ বহন করেন তারা।

ঘোড়ার মালিক আব্দুস সালাম বলেন, আমার ঘোড়াকে প্রতিদিন ছোলার বুট, ভূষি, চাউলের কুড়া, পর্যাপ্ত পরিমান সবুজ ঘাস খাওয়াই। সেই কারণেই আমার ঘোড়া সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঘোড়ার গাড়ি

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

৯টি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেই বন্দর চেয়ারম্যানের পরামর্শে নয়টি ব্যাংকের সঙ্গে ইস্যুকৃত সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দর সচিব।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির সচিব ওমর ফারুক।

লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো-  গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার অধিকার সকল আমানতকারীর রয়েছে। ব্যাংকে বিনিয়োগ করার বিপরীতে ইন্টারেস্ট না পাওয়ায় বন্দর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্ট পাওয়া যাচ্ছে না, সেজন্য ব্যাংকগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের কোনো রেসপন্সও পাইনি, যা ব্যাংকিংসুলভ আচরণ পরিপন্থী। দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোতে আমানত রাখতে নিরাপদ বোধ না করায় আমরা টাকা তুলে নিতে চাচ্ছি। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করতে বাধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও যোগাযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় চট্টগ্রাম বন্দরের ২২টি মেয়াদি আমানতের বিপরীতে ১৭৯ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, আমানতের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখে সুদ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরকে সুদ দেয়া বন্ধ করে দেয় পদ্মা ব্যাংক। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই শাখার ২২টি মেয়াদী আমানতের মধ্যে ছয়টির বিপরীতে ৯৫ কোটি টাকা নগদায়নের জন্য চিঠি দেয়। তবুও সাড়া দেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা ব্যাংক ছাড়াও চিঠি দেয়ার পরও বন্দরের তহবিলে টাকা জমা দিচ্ছে না বেসিক ব্যাংক, আইসিবি, ন্যাশনাল ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এছাড়া এস আলম সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চারটি শাখায় ২১২ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চারটি শাখায় ১৯০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি শাখায় ১১৫ কোটি টাকা ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ১১টি শাখায় ৪১১ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়ছে খাদ্য সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাত থেকে কয়েক জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। ফলে অনাহারে- অর্ধাহারে দিন পার করছেন নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।

ফেনীর সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঁইঞার বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। এ উপজেলাগুলোর সবকটি ইউনিয়নই নিমজ্জিত। পরশুরাম, ফুলগাজী আর ছাগলনাইয়া থেকে পানি নামায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ক্ষত। প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে ত্রাণ সংকট। অবশ্য পানি নেমে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসাবে, এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমান ফেনী সদর ও সোনাগাজী, দাগনভূঁইঞার ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী।

নোয়াখালীতে রাত থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। এদিকে, মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাতিয়ার ঘাসিয়ার চর, নিঝুম দ্বীপও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেই ত্রাণ সরবরাহ। এখন পর্যন্ত জেলায় পানিবন্দি ২১ লাখেরও বেশি মানুষ।

এদিকে, লক্ষ্মীপুরেও রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পৌর শহরসহ জেলার ৫ উপজেলাই এখনও জলমগ্ন। স্থানীয়রা বলছেন, শনিবার (২৫ আগস্ট) নোয়াখালীর স্লুইসগেটের ২৩টি রেগুলেটর খুলে দেয়া হয়। সেই পানি লক্ষ্মীপুরের নদী-খাল হয়ে মিশবে সাগরে। উপচে পড়া জল মেঘনাসহ আশপাশের খাল-বিলে জমেছে। এর সাথে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কুমিল্লাতেও। নতুন করে তলিয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এই অঞ্চলের লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ। চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং ও নাঙ্গলকোটের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও লাকসাম, মনোহরগঞ্জ এখনও জলমগ্ন। নৌযান নিয়ে বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ সরবরাহ করে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।


আরও খবর



শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সিংগাবরনা ইউনিয়নের নবীনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মামুন মিয়া (৪০) ও সাদু মিয়া ( ৬০)। মামুন মিয়া নবীনপুর গ্রামের সিরাজুল হক ওরফে ভুড্ডুস মিয়ার ছেলে। আর সাদু মিয়া পার্শ্ববর্তী বগুলাকান্দি গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, আজ বিকেলে কৃষক মামুন ও সাদু মিয়া মাঠে আমন ধানের চারা রোপণের কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি পড়তে থাকে। একপর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মামুন ও সাদু মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। মামুনের এক ছেলে ও এ মেয়ে রয়েছে। অপরদিকে সাদু মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনাটার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান লিটুল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আবদুস সোবহান গোলাপ আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

গোলাপকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।

তিনি জানান, আবদুস সোবহান গোলাপকে নাখালপাড়া থেকে আটক করা হয়েছে। এখন তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪