আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুসলিম মূল্যবোধে আঘাত মেনে নেওয়া হবে না: এরদোগান

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, চিন্তার স্বাধীনতা তথা বাক-স্বাধীনতার নাম করে বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের মূল্যবোধের ওপর আঘাত করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত এরদোগান তুর্কি-আমেরিকান ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি আয়োজিত একটি নৈশভোজে রোববার এমন মন্তব্য করেন।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, এসব ঘটনা আমাদের কাছে উস্কানি। এসব ঘটনা মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতিক সময়গুলোতে সুইডেন ও ডেনমার্কে বেশ কয়েক দফা পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি দেশ দুটির প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। যেখানে বাক-স্বাধীনতার অজুহাত দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলেও নর্ডিক রাষ্ট্র দুটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাক-স্বাধীনতার অংশ হিসেবে কুরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সুইডেন ও ডেনমার্ক।

তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এদিন কোনো দেশের নাম না নিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলোকে তুরস্ক সম্মান করে। পবিত্র গ্রন্থকে (কুরআন) লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখি আমরা। আগামীতেও আমরা বিষয়টাকে এভাবেই দেখব।

এরদোগান সাম্প্রতিক সময়ে কুরআনের ওপর সেই নৃশংস হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ প্রতিহত করা না গেলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তুরস্ক হিসেবে আমরা সেই ক্রমবর্ধমান হুমকির ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডিবি কার্যালয়ে ইনু, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। গ্রেপ্তারের পর একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ইনুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব অভিযোগে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে তোলা হবে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসানুল হক ইনুকে নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২১ আগস্ট ডিএমপির নিউ মার্কেট থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। মামলা নং-৪।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয় বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।


আরও খবর



শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট রংপুরের আবু সাঈদের বাড়িতে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তারও আগে গত ৮ আগস্ট ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।


আরও খবর



‘সর্বাত্মক চেষ্টা ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে। কাজেই তার সাথে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে। এ ছাড়া আমদের গত্যন্তর নাই, তাদেরও গত্যন্তর নাই। দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হবে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বন্ধুত্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া- এটাই আমাদের উদ্যোগ। সম্প্রতি জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে সরকারের প্রথম মাসে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস।

ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী এবং দুটো দেশ নানাভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছেন? এ প্রশ্নে ড. ইউনূস ভালো সম্পর্ক ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের গত্যন্তর নেই বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিরসনে দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিলেই সেটার সমাধান হবে। সার্ক একটা পরিবারের মতো ছিল। আমরা সেই কাঠামোতে ফিরে যেতে পারি কিনা দেখবো। শুধু ভারতের সাথে না, দক্ষিণ এশিয়ায় যত দেশ আছে সবাই যেন পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজার রাখে। শান্তিপূর্ণ জোন হিসেবে আমরা একে গড়তে চাই। বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সার্ক ও বিমসটেক-কে সক্রিয় করার করার চেষ্টা করবো।

আপনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর একমাস পূর্ণ হলো। গত কয়েক সপ্তাহে কোন কোন বিষয়কে আপনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমার তো অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা না। অগ্রাধিকারগুলো সামনে এসে গেছে। আমি বাছাই করার সুযোগও পাইনি। শান্তি-শৃঙ্খলা হলো সবার প্রথমে। যেহেতু বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা আসছি, সরকার গঠন করেছি, কাজেই প্রথম দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এটার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এরকম বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয়নি। ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ এগিয়ে এসেছে। এমন কোনো লোক ছিল না যে এটাতে শরিক মনে করেনি। জনমত নির্বিশেষে এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আমরা একটা বিরাট দায়িত্ব নিয়ে আসছি। এদিকে হলো বিপ্লব আর এদিকে স্বপ্ন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। মানুষের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা। আমাদের দায়িত্ব অনেক। অর্থনীতি একটা বিশৃঙ্খল, ভঙ্গুর অর্থনীতি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মানুষ এত বিক্ষুব্ধ। সব কিছু লুটপাট। এটা লুটের একটা সরকার ছিল। কাজেই সেই লুটের সরকার থেকে সত্যিকার সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাও মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা। এবং এটা দ্রুত দেখতে চায়। সেগুলো আমাদের করার চেষ্টা। এক মাসের মধ্যে আমাদের যতটুকু সম্ভব করেছি।

রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধান পুর্নলিখনের দাবিও উঠেছে। বলা হচ্ছে সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? - এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এটা মস্ত বড় সুযোগ। এই সুযোগ জাতির জীবনে আর আসবে কিনা জানি না। না আসাটাই স্বাভাবিক হোক। গোড়াতে হাত দিতে হবে, সংবিধানে হাত দিতে হবে। তো সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে- সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, নাকি এই সংবিধানই কিছু সংশোধন করা হবেঁখ? এ বিষয়ে মতভেদ আছে।

এইজন্য কমিশন হবে, বিচার-বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে- সবকিছুই সংবিধানের ভিতরে থাকবে।  পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেইম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি।


আরও খবর



আত্মগোপনে সিসিক'র কাউন্সিলররা নাগরিক সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট সিটি করপোরেশনের এক ডজন ওয়ার্ড কাউন্সিলের হদিস পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডবাসী। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রভাবশালী নেতা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নগর ভবনে পা বাড়াননি তাঁরা।এমনকি বাসা-বাড়িতে মিলছে না তাঁদের। জনপ্রতিনিধিরা না থাকায় বেকায়দায় পড়ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকরা। জন্ম সনদ, জাতীয়তা, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে কাউকে পাচ্ছে না তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নাগরিকরা।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই জনপ্রতিনিধিরা কোথায় আছেন-তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তাদের ঘনিষ্টজনরাও। যদিও এসব কাউন্সিলরদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নাশকতার মামলা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর দাপুটে এই জনপ্রতিনিধিরা জনরোষে আক্রান্ত হওয়ার ভয় আর গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছেন। দেশ ছেড়েছেন তাদের অনেকেই।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একে এ লায়েক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমান আজাদ, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ ও ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম।

৫ আগস্টের পর এলাকায় অববস্থান ও সামাজিক অনুষ্টানে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান এবং ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদকে দেখা গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদেরও দেখা মিলছে না।

এছাড়া একটি মামলায় কারাগারে আছেন ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু। খোঁজ মিলছে না ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস লিপনেরও। কয়েকজন কাউন্সিলর বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের পরামর্শে এলাকায় থাকার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি এক সামাজিক অনুষ্টানেও আওয়ামী লীগের দাপুটে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরানকে বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে। কিন্তু এর পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ার পর থেকে কামরানের খোঁজ মিলছে না।

ইতোধ্যে হত্যা, নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আজাদুর রহমান আজাদ, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. মখলিছুর রহমান কামরান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা ও ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একে এ লায়েক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ ও ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রভাবশালী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. রুহেল আহমদ। তারা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থান করছেন। দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন আরও কয়েকজন কাউন্সিলর। সুযোগ পেলেই তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত পালাবেন।

সিলেট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, নগরভবনে প্রতিদিন উপস্থিত হওয়ার কাউন্সিলরদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে সেবা দিতে হবে, এটি বাধ্যতামূলক। কয়েকজন সাধারণ কাউন্সিলরকে পাচ্ছেন না নাগরিকরা, এটি সত্যি। তবে সংরক্ষিত ওয়ার্ড (নারী) কাউন্সিলরদের দ্বারা তাদের কাজ পূরণ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন কোনো কাউন্সিলরের সেবা না দেওয়ার বিষয় প্রমাণিত হলে স্থানীয়র সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যা দুর্গত এলাকায় তিন মাস স্পেশাল ওএমএস

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে দুর্গত এলাকার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতিসহ আভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ, মজুত পরিস্থিতি ও বন্যা দুর্গত জেলাগুলোতে সরকারি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, এ স্পেশাল ওএমএস ওই এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রতিকেন্দ্রে ১ টন চাল ও ১ টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ টন চাল ও ২৩০ টন আটা বিক্রি করা হবে। চলতি সেপ্টেম্বর ও আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ টন আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

খাদ্য সচিব আরও বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় যে কেউ এ সেবা নিতে পারবে। এই ৩ মাসে চাল বাবদ ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা ও আটা বাবদ ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মোট ৯০ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৮২ টাকা ভর্তুকি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।

অন্য দিকে সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রমের তথ্য দিয়ে সচিব জানান, বর্তমানে সারাদেশের সব সিটি কর্পোরেশন, শ্রমঘন ৪টি জেলা (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী), সারাদেশের সব জেলা সদর পৌরসভায় ওএমএস খাতে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

সারাদেশে সর্বমোট ৯১২টি কেন্দ্রে (৯১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১০টি কেন্দ্রে চাল ও আটা এবং ২টি কেন্দ্রে শুধু আটা) দৈনিক মোট ৯১০ টন চাল ও এক হাজার ২৬০ দশমিক ৫০ টন আটা ওএমএস কার্যক্রমে বিক্রি চলমান আছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি দোকান, ৭০টি ট্রাক এবং ইনোভেশনের আওতায় ৩টি কেন্দ্রসহ মোট ১৯১টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর