
মঙ্গলবার দুপুর
২টা ৪ মিনিটে শুরু হওয়া বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে রাত ৯টার মধ্যে গ্রিড রিস্টোর করা সম্ভব
হয়েছে। এখনো অল্প কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি বা স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিল। সেসব এলাকার
গ্রাহকরাও দ্রুতই বিদ্যুৎ পাবেন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর)
রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন কথা জানিয়েছেন
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি লিখেছেন,
সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ- ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে রাত ৯টার মধ্যে গ্রিড
রিস্টোর করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অল্প কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি বা স্বল্প সময়ের জন্য
এসেছিল- সেসব এলাকার গ্রাহকগণ আরেকটু ধৈর্য্য ধরুন। ধীরে ধীরে লোড বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মূল সংকট কেটে গেছে। দ্রুতই আপনারা বিদ্যুৎ পাবেন।
উল্লেখ্য, দুপুর
২টা ৪ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর ২টা ৩৬ মিনিটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০
কেভি সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহের
কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রাত ৯টায় সিস্টেম জেনারেশন ৮,৪৩১ মেগাওয়াটে
উন্নীত করা হয় এবং সতর্কতার সাথে সেটা বাড়িয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান
আছে।
ইতোমধ্যে পূর্বাঞ্চলের
বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যেমন- ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, মেঘনাঘাট, হরিপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ
পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করে ধীরে ধীরে সিস্টেম স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঢাকায় ২৩০০ মেগাওয়াটের
বিপরীতে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে ১৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
জাতীয় গ্রিডের
সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয়ের কারণে দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
ছিল। সন্ধ্যা থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।