আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পথ জানালেন ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১ সালের শেষের দিক থেকে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির সংকটে ভুগছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। ইউরোপের নাগরিক, অর্থনীতিবিদ ও অর্থমন্ত্রীরা বহুদিন এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হননি। এটি আমাদের জন্য নতুন ও খুবই উদ্বেগের বিষয়। মূল্যস্ফীতি একটি গোপন বিষ। এটি অর্থনৈতিক মন্দা বা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি রাজনৈতিক সংকটেরও জন্ম দিতে পারে। এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের জন্য অগ্রাধিকারের বিষয়। ইউরো জোনে যত দ্রুত সম্ভব দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো উচিত। তার জন্য আর্থিক ও জ্বালানি উভয় সমস্যা মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত, অর্থ ও আর্থিক নীতিগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। জনগণের খরচ বাড়তে থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। সেজন্য জ্বালানির বাড়তি দামের বোঝা পরিবার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। ফ্রান্স পরিবারগুলোর জন্য একটি এনার্জি শিল্ড চালু করেছে, যা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে মূল্যবৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ করবে। এতে অর্থায়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের অতিরিক্ত মুনাফা আটকানোর একটি প্রক্রিয়া চালু করেছে ফরাসি সরকার। আশা করা হচ্ছে, এ থেকে আগামী বছর ২ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো (২ হাজার ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার) আসবে এবং এনার্জি শিল্ডের আংশিক তহবিল জোগাবে।

কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই ভালো মজুরির বিষয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে হবে। তবে ১৯৭০র দশকে ফ্রান্সে আমরা যে দুষ্টচক্রের মুখোমুখি হয়েছিলাম, তা এড়াতে এ ধরনের মজুরিবৃদ্ধি অবশ্যই উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এটাই ফরাসি সরকারের নীতির লক্ষ্য, যার মধ্যে বেকারত্ব ও পেনশনের কাঠামোগত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা যোগ্যতার মাত্রা ও অংশগ্রহণের হার বাড়াতে শ্রমবাজার সংস্কারের একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় অর্থ আর সুদমুক্ত নয়। ১০ বছর মেয়াদী ফরাসি সরকারি বন্ডের হার ১৮ মাস আগেও নেতিবাচক ছিল। তা বেড়ে এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হয়েছে, যার ফলে কোটি কোটি ইউরো অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।

ইউরোপীয় সরকারগুলো যদি উচ্চতর ঋণ-পরিষেবা খরচ অনুমান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি সংকট হঠাৎ করে আর্থিক সংকটে পরিণত হতে পারে। ব্রিটিশ বন্ড মার্কেটের সাম্প্রতিক অস্থিরতা দ্রুত সুদের হার বাড়ানোর প্রভাবের উদাহরণ। ইউরোপীয় পর্যায়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সমন্বিত ব্যবস্থা আমাদের যার যার জাতীয় এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ইউরো জোনে একটি একক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকলেও বেশ কয়েকটি সরকার রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রাজস্ব নীতির সঙ্গে একটি একক মুদ্রানীতি চলতে পারে না। অন্যথায়, আমরা একক মুদ্রাকে খণ্ডিত ও দুর্বল করার ঝুঁকিতে রয়েছি। আমাদের কৌশলের দ্বিতীয় ভিত্তি হলো জ্বালানির স্বাধীনতা। কারণ, এটি দাম কমাতে সাহায্য করবে। বর্তমান সংকটের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে হাইড্রোকার্বন উৎপাদনকারী দেশগুলোতে সম্পদের ব্যাপক স্থানান্তর হচ্ছে। জ্বালানির উচ্চমূল্য একটি শক্তিশালী শিল্পবাজার গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করে দেয়।

সেজন্য ফ্রান্সের উচিত আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অবিলম্বে তার সব পারমাণবিক চুল্লি ফের চালু করা; ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে দর কষাকষির মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহের উৎসগুলোকে বৈচিত্র্যময় করা; আর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর লক্ষ্যে ইউরোপীয় জ্বালানি বাজার সংস্কারের পক্ষে থাকা। এগুলোর পাশাপাশি, ইইউর সব সদস্য দেশ তাদের জ্বালানি ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দীর্ঘমেয়াদে আমরা নতুন পারমাণবিক চুল্লি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়িয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে চাই। এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্যও ফ্রান্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইইউ এবং যুক্তরাজ্য নিয়ে গঠিত হবে পৃথিবীর প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ মহাদেশ।

সবশেষে, বিশ্বকে অবশ্যই বাণিজ্য ও লেনদেনে বাধা সৃষ্টির লোভ প্রতিহত করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকটের সময় এটি আরও বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়। শুল্ক সবসময় ভালো উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রবর্তিত হলেও তা প্রায়ই বাণিজ্য যুদ্ধের পর্যায়ে চয়ে যায়। গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আইন গভীর উদ্বেগের বিষয়। এই আইনে মার্কিন শিল্পগুলোতে ব্যাপক ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের লঙ্ঘন হতে পারে। এই উচ্চঝুঁকির পরিস্থিতি তিনটি বৃহত্তম বাণিজ্যিক অঞ্চল- ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এটি অনিবার্য নয়। মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত সংকট সর্বদা বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির মানচিত্র বদলে দিয়েছে। তাই নিশ্চিত করতে হবে, এবারের ঘটনা যেন আমাদের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন, এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সিনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে আটকে রাখা।

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরাইলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন, এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরাইলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়। এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন, এই সাহায্য একটি সাদা চেক’ হিসেবে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র কারখানা তৈরি করা হবে আমেরিকায়।


আরও খবর



সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধ কবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তিতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ঙ্কর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



সিডনির শপিং মলে ছুরি হামলা, নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির একটি শপিং মলে ছুরি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর- সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার কিছু আগে বন্ডি জাংশন শপিং সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী একজন পুরুষ এবং তাকে থামাতে পুলিশকে গুলি করতে হয়েছে। সে এখনো বেঁচে আছে কি না-নিশ্চিত নয়।

শপিং মলটির অবস্থান সিডনির ওয়েস্টফিল্ড এলাকায়। হামলা ঘটার পর পুলিশ মলটির আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এখন এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।


আরও খবর