আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতির হার সংশোধন কাটছাঁট হচ্ছে এডিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর কারণে সরকার মুদ্রাস্ফীতির আগের হার সংশোধন করেছে। দুদফা বাড়িয়ে সংশোধিত মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ বিভাগ। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে প্রত্যাশা ছিল এটি ৫ দশমিক ৪ শতাংশের ঘরে থাকবে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবসহ নানা কারণে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। অপরদিকে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে লক্ষ্যমাত্রা এক শতাংশ কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারও ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। শুরুতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া চলতি বাজেটের আকারও ২০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে এই কাটছাঁটের কারণে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা থেকে কমে সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতির বেশ কয়েকটি সূচক নতুন করে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় খাতে হাত দেওয়া হয়নি। কারণ, বছরের শুরুতে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগ। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সরকারি অংশের বরাদ্দও কাটছাঁট করা হচ্ছে। সে অঙ্ক কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা হবে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এডিপির এই কাটছাঁট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখবে না। বাজেট প্রণয়নের শুরুতে অনুমানের ভিত্তিতে প্রাক্কলন সঠিক ছিল না। জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, এ মুহূর্তে বিশেষ নজর দিতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। মূল্যস্ফীতির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে নিু ও মধ্যম আয়ের শ্রেণির মানুষ কষ্টে আছে। তবে এডিপি থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবেন না। তিনি আরও বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি কম বা বেশি হচ্ছে, এটি মানুষ দেখবে না। সাধারণ মানুষ দেখবে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমছে কি না। বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিরাজ করছে। ফলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির নতুন যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও অনেক বেশি। এটি আরও কমিয়ে আনতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার এডিপির অংশ থেকে কাটছাঁট করছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের তুলনায় কিছুই না। এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি কমাতে কোনো কাজে আসবে না। তিনি আরও বলেন, বাজেট প্রণয়নের আগেই বৈশ্বিক সংকটের আলামত ছিল। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। ওই সময় মুদ্রার বিনিময় হার, বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি উসকে যেতে পারে, সেগুলো আমলে নেওয়া দরকার ছিল। ফলে অনুমানের ভিত্তিতে যে প্রাক্কলন করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও ভোক্তা মূল্যস্ফীতি কমছে না। মূল্যস্তর উঁচুতে থেকে যাচ্ছে; কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমছে। এতে ভোক্তার উপকার আসবে না। এখন সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বেষ্টনীর আকার শক্তিশালী, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি কর্মসূচি সম্প্রসারণের পাশাপাশি পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে হবে।

সূত্রমতে, আগামী দিনের মূল্যস্ফীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটি বিবেচনায় আনতে বিগত ৫ মাসের মূল্যস্ফীতির ওপর একটি সমীক্ষা করেছে অর্থ বিভাগ। সেখানে দেখানো হয়, আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। তবে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তার তুলনায় বেশি হবে। সমীক্ষায় বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধ হবে-এমনটি প্রত্যাশা মাথায় রেখে অর্থবছরের শুরুতে সরকার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু আগস্টে সর্বকালের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ওঠে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি পর্যায়ক্রমে কমে আসে। সেপ্টেম্বরে একটু কমে তা হয়েছে ৯.১ শতাংশ, অক্টোবরে এই হার ছিল ৮.৯১ শতাংশ। সর্বশেষ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে বলেছেন, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৮৫ শতাংশ হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে অর্থ বিভাগ মনে করছে, শেষ পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। এজন্য সংশোধিত মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, মূল্যস্ফীতির বড় অংশ নির্ভর করে চালের মূল্যের ওপর। অপরদিকে দেশে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে, চলতি মাসে চালের মূল্য কমবে। এছাড়া প্রত্যাশা করা হচ্ছে আগামী দিনে আউসের ফলনও বাম্পার হবে। কারণ, ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, বন্যার পর কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এ বছর একটি বড় বন্যা হয়েছে। ফলে জমির উর্বরতা বাড়বে। এতে ফসলের উৎপাদনও ভালো হবে। আর অধিক উৎপাদনের প্রভাবে চালের মূল্য হ্রাস পেয়ে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে।

এ বছরের শুরুতে রাজস্ব আয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। এটি অর্জন হবে-এমনটি ধরে অর্থ বিভাগ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, গত অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২৬৪ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। তবে এ বছর এডিপি থেকে কিছুটা কাটছাঁট করা হচ্ছে। এ বছর এডিপির আকার হচ্ছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কৃচ্ছ সাধনের জন্য অর্থ বিভাগ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে এমনিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হবে। বিশেষ করে আগামী দিনগুলোয় আমদানি আরও হ্রাস পাবে। কারণ, ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় কমাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার প্রতিফলন গত নভেম্বর থেকে ঘটছে। এরই মধ্যে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। এছাড়া নানা কারণে একধরনের সংকট রয়েছে অর্থনীতিতে। যে কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এক শতাংশ কমিয়েছে সরকার।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



রামুতে বাবা-ছেলেকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের রামুতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারারো অস্ত্র ও গুলিতে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

নিহতরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার রাতে একটি খোলা দোকানের সামনে ক্যারম খেলছিল বাবা-ছেলেসহ গ্রামের ক'জন। এমন সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটিযেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর



নির্বাচনের পর প্রথম ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। তিন দিনের সফরে আগামী ২১ এপ্রিল তাদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে থাকবে বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এটি হবে বাংলাদেশে প্রথম কোনো মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর।

প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা দূর করতে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

এতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বৈশাখের প্রথমদিন। অন্যদিনের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকবে, সঙ্গী হবে অস্বস্তি এসব আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এমন পূর্বাভাসের মধ্যে সকালে কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজ বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে তাপপ্রবাহের বিস্তার ঘটতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়- পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর নীলফামারি ও নেত্রোকোনা জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি থাকলেও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিরও শঙ্কা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ অন্যান্য এলাকায় অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর