আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ময়মনসিংহে দেবরের দায়ের কোপে ভাবির মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে দেবরের দায়ের কোপে জাহানারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে মো. ইদ্রিছ আলীকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাহেলা গ্রামের মৃত লাল হোসেন খাঁর পুত্র ইদ্রিস আলীর সঙ্গে সহোদর ভাই সিদ্দিকুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের জমাজমি ভাগবন্টন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সোমবার ইদ্রিস আলী পৈত্রিক জমিতে থাকা বাশঁ কাটতে গেলে তার বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমান বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় এবং ইদ্রিছ আলীকে হত্যার হুমকি দেয়।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ইদ্রিছ আলী স্থানীয় বাজার থেকে বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরে। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সহোদর ভাই সিদ্দিকুর রহমান ও হাবিবুর রহমানসহ ৮/১০ জন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইদ্রিছ মিয়াকে (৫০) তার ঘরে ঢুকে জখম করে। জাহানারা বেগম স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রাখে।

নিহতের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার (২২) ও তামান্না আক্তার (১৪) জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় জাহানারা বেগম ও ইদ্রিছ আলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাকে মৃত ঘোষণা করে।

তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, খুনের আলামত জব্দসহ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



জিআই পণ্যের তালিকায় উঠছে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বসন্তময় ঋতু বৈচিত্র্যের এই ফাগুনে আমগাছের থোকায় থোকায় ভরা মুকুলে স্বপ্ন বুনছেন রংপুরের চাষিরা। বছরের নির্দিষ্ট এই সময় জুড়ে তাই চাষি তো বটেই, কম-বেশি সব শ্রেণির মানুষের দৃষ্টি থাকে সবুজ পাতায় ঢাকা আমগাছের শাখা-প্রশাখায়। প্রকৃতি বৈরি না হলে এবারও সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন উত্তরের চাষিরা। এদিকে শতরঞ্জির পর এবার জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিখ্যাত আম হাঁড়িভাঙা।

সম্প্রতি রংপুর সদরের পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকা যেতে দেখা মিলে সারি সারি গাছ। রাস্তার দুপাশে যেন হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের সবুজ বিপ্লব। ধানসহ বিভিন্ন ফসলি জমির আইলে আইলে লাগানো হয়েছে আমের গাছ। বাদ পড়েনি বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা, পুকুরপাড়, বাড়ির উঠান। এখন বসন্ত বাতাসে আম গাছে দোল খাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। একই চিত্র মিঠাপুকুরের আখিরাহাট, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর সদরের সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়িসহ আশপাশের এলাকাতেও।

ইতোমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হাঁড়িভাঙা আম এখন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার খবরে আনন্দিত এই অঞ্চলের মানুষ। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে গত বছর বাংলাদেশ সরকার ভারত, ব্রিটেন, তুরস্ক ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও হাঁড়িভাঙ্গার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কাটছে না চাষি এবং ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছর কম বেশি শত কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয় হাঁড়িভাঙা আম। কিন্তু পদাগঞ্জ হাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। তারা মনে করছেন, সঠিক সময়ে আম বাজারজাত ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানো না গেলে অনেকেই লোকসানে পড়বেন।

হাঁড়িভাঙা আমের গোড়াপত্তন করেছিলেন খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। স্বাধীনতার আগের বছর ১৯৭০ সালে নফল উদ্দিন ১২০ বছর বয়সে মারা যান। এখন তার লাগানো হাঁড়িভাঙা গাছটির বয়স ৬৮ বছর।

মাতৃগাছটির সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন পাইকার বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

একই ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের আমচাষি শাহ্জাহান মিয়া। বছর দশেক আগেও তিনি শুধু ধান, ভুট্টা আর পাটচাষ করতেন। কিন্তু গ্রামে হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের বাগানের পর বাগান দেখে তিনিও আমের বাগান গড়ে তোলেন।

অর্থনৈতিকভাবে লাভবান এই আমচাষি বলেন, এবার আমের মুকুল ভালো হইচে। খালি হামার গ্রামোতে নোয়ায় এ্যলা হাঁড়িভাঙ্গা আম বালুয়া, শ্যামপুর, হেলেঞ্চ, পাইকারেরহাট, জারুল্লাপুর, খোঁড়াগাছ, গোপালপুর, সরদারপাড়া, লালপুর, পদাগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ কয়েকটা গ্রামোত চাষ হওচে। গ্রামোত একটা বাড়িও খুঁজি পাওয়া যাবার নায় যে বাড়ির খুলিত হাঁড়িভাঙার গাছ নাই।

হাঁড়িভাঙা আমকে ঘিরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে রংপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায়। বিশেষত মিঠাপুকুরের লালপুর, পদাগঞ্জ, তেকানিসহ আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা এখন আম ব্যবসায় জড়িয়ে বেকারত্ব দূর করেছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে হাঁড়িভাঙার বাজার সম্প্রসারণ ও চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন।

আখিরাহাটের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ১৯৯২ সাল থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করে আসছেন। শুধু চাষবাদ নয়, এই অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা সম্প্রসারণে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষ এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভের আশায় জেলার উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমি প্রায় ৩৪ বছর ধরে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করছি। আমাকে দেখে এখন রংপুরে কয়েক লাখ  হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রোপণ করেছে আমচাষিরা। আমার ২৫টির বেশি বাগান রয়েছে। এ রকম অনেকের আম বাগান রয়েছে। পুরো জেলায় এখান প্রতি বছর প্রচুর আম উৎপাদন হয়। টেকসই অর্থনীতির জন্য আমি শুরু থেকেই  হাঁড়িভাঙা আমের সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, আধুনিক আমচাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ  হাঁড়িভাঙাকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিলাম। সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই হাঁড়িভাঙাকে ঘিরেই এই অঞ্চলের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ক হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ক হবে। হাঁড়িভাঙার প্রকৃত স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। বর্তমানে বাগানগুলোতে পরিচর্যা চলছে। নির্ধারিত সময়ে আম বাগান মালিক ও চাষিরা গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পারতে পারবেন। এরপর থেকে শুরু হবে বাজারজাত।

গত বছরের চেয়ে এবার হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

তিনি বলেন, ঠিক গত অর্থবছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের আবাদ হয়েছিল। গতবছরের চেয়ে এই বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ গতবছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এই বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রংপুরে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। হাঁড়িভাঙার সবচেয়ে বড় যেটা খবর সেটা হচ্ছে বিগত কয়েকবছর যাবৎ আমরা এই পণ্যটাকে কৃষি বান্ধব সরকারের যে বিভিন্ন কৃষি পণ্য জেলায় জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা হতে যাচ্ছে তার প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখেছি।

অন্যদিকে উত্তরের অর্থনীতিতে হাঁড়িভাঙা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে জানান রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়। এবার হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে সুখবর রয়েছে। কারণ জিআই পণ্য ঘোষণা হওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত ভালো খবর পাব আশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, এটার কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তের পথে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাঁড়িভাঙার আম জিআই পণ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা আসবে।


আরও খবর



টেইলর সুইফট ইফেক্টে আক্রান্ত সিঙ্গাপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৃহস্পতি তুঙ্গে বুঝি একেই বলে। ক্যারিয়ারের দারুণ সময় কাটাচ্ছেন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট। মাত্র কয়েক দিন আগেই মার্কিন গায়িকা টেইলর সুইফট ৬৬তম গ্র্যামিতে চতুর্থবারের মতো অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। টেইলরের টোকিও কনসার্ট ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল জাপানের সংগীতপ্রেমীদের মাঝে। টোকিওর রাস্তাঘাট টেইলরের ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা ভরিয়ে তুলেছিলেন পোস্টারে এবং রঙিন সব ব্যানারে।

এবার সে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে সিঙ্গাপুরেও। ৫ ও ৮ মার্চ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে টেইলর সুইফটের কনসার্ট। আর সে উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের কনসার্টের আগে হোটেল, বিমানের ফ্লাইট বেশিরভাগ বুক হয়ে গেছে। সংগীতপ্রেমীরা এর নাম দিয়েছেন সুইফট ইফেক্ট। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এনডিটিভির রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দুটি কনসার্ট উপলক্ষে প্রায় ৩ লাখ সুইফটভক্ত জড়ো হয়েছে সিঙ্গাপুর শহরে।

যার ফলে বেশিরভাগ হোটেল বুকিং হয়ে গেছে, নয়তো বেশি ভাড়ায় নিতে হচ্ছে সংগীতপ্রেমীদের। ম্যানিলা থেকে সিঙ্গাপুরে সুইফটের কনসার্ট দেখতে আসা ইনগ্রিড ডেলগাডো বলেন, ‌কনসার্টের জন্য এখানকার হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষই আগে থেকে বুকিং হয়ে গেছে। আমাকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে একটি কক্ষ ভাড়া নিতে।

সিঙ্গাপুরের ফুলারটন হোটেল, ফেয়ারমন্ট হোটেল এএফপিকে জানিয়েছে, কনসার্টের সময় কক্ষের চাহিদা বেড়েছে। এত বেশি পর্যটককে সার্ভিস দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে অনুষ্ঠিত টেইলর সুইফটের কনসার্ট দর্শক সমাগমের দিক থেকে আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। সেবার বলা হয়েছিল, সর্বকালের সর্ববৃহৎ সংগীতের আয়োজন ছিল সেটি।

নিউজ ট্যাগ: টেইলর সুইফট

আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প চালু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারে এফডিসির সামনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই র‍্যাম্প উন্মুক্ত করেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র‍্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকার দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত গেছে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এই র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৫টি র‍্যাম্প রয়েছে। আজ বুধবার ১৬তম র‍্যাম্প হিসেবে এফডিসি অংশটি খুলে দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশ চালুর সূচনা হলো।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একটি পাবলিক প্রাইভেট প্রজেক্ট (পিপিপি)। এটি দেশের প্রথম দ্বিতল সড়ক। এই প্রজেক্টের ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করে। চায়না এক্সিম ব্যাংক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।

গত বছর ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর পরের দিন ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।


আরও খবর



ট্রেন লাইনচ‌্যুতি, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেত‌ুপূর্ব মহাসড়কে প্রায় ১১ কি‌লো‌মিটা‌র এলাকাজু‌ড়ে ধীরগ‌তিতে চলাচল কর‌ছে যানবহন। এতে কোথাও কোথাও যানজ‌টের সৃষ্টি হ‌য়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেত‌ুপূর্ব মহাসড়কের সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় প‌রিবহ‌ন চলাচলে ধীরগ‌তি দেখা গেছে।

জানা গে‌ছে, বঙ্গবন্ধু সেতু‌পূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে এক‌টি ট্রেন লাইনচ‌্যুত হওয়ার পর সে‌টি উদ্ধা‌রে বিশাল আকৃ‌তির ক্রেন মহাসড়ক দি‌য়ে নি‌য়ে যাওয়া হয়। এসময় দুইপা‌শের গা‌ড়ি কিছু সময় চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর মহাসড়‌কে ধী‌রে ধী‌রে যানবহনের চাপ বে‌ড়ে যাওয়ায় এই প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হয়।

বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলম ও এলেঙ্গা হাইও‌য়ে পু‌লিশ ফা‌ড়ির ইনচার্জ মীর মা‌জেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মহাসড়‌কে যানজট‌রে কারণে উত্তরবঙ্গের প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চ‌লিক সড়ক ব‌্যবহার ক‌রে সেতুরপূর্ব গোলচত্বর হ‌য়ে উত্তরবঙ্গের দি‌কে যেতে দেখা গেছে।


আরও খবর



১০ বিশিষ্টজনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি পেলেন 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪'। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধিরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।   

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেনস্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর