আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ময়মনসিংহে করোনা কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন করোনায় এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।

তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া দুইজনই ময়মনসিংহের।

ডা. মুন আরও জানান, করোনা ইউনিটে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ১৮৬ জন। এর মধ্যে ১৫ জন আইসিইউতে আছেন। ওই সময়ে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।

এদিকে জেলায় এক দিনে ৪৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম।


আরও খবর



পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন পুতিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কিয়েভে সেনা পাঠানোর দুঃসাহস দেখালে তার জন্য দুঃখজনক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। তবে ইউরোপের নেতারা ম্যাক্রোঁনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে প্রতিক্রিয়া দেখে প্রতীয়মান হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে ভ্লাদিমি পুতিন বলেন, তারা ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক কন্টিনজেন্ট পাঠানোর সম্ভাবনা ঘোষণা করেছে। এর আগে রাশিয়ার সীমানায় সেনা পাঠানোর পরিণতি আমরা স্মরণ করি। কিন্তু এবার সম্ভাব্য হস্তক্ষেপকারীদের পরিণতি হবে আরও দুঃখজনক।

তিনি বলেন, তাদের বুঝতে হবে আমাদেরও অস্ত্র আছে যা তাদের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এসব পারমাণবিক সংঘাতের সত্যিকারের ঝুঁকি তৈরি করে। তারা (পশ্চিমারা) কি এটা বোঝে না, প্রশ্ন রাখেন পুতিন।


আরও খবর



জ্যাকলিনের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, তখন বাড়িতে ছিলেন না জ্যাকলিন। অভিনেত্রী এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে।

মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার পালি হিল অঞ্চলের নাওরোজ হিল সোসাইটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বুধবার (০৬ মার্চ)। বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বাসস্থান এটি। যদিও সরাসরি জ্যাকলিনের ফ্ল্যাটে আগুন লাগেনি, লেগেছে তার নিচ তলায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জ্যাকনিল তার নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

মুম্বাইয়ের পালি হিলে এখন তার বাস। সেখানেই রণবীর কাপুর থেকে শুরু করে সাইফ আলি খানের বাড়ি রয়েছে। এবার সেখানেই দেখা গেল আগুন। কিছু মানুষ তা লক্ষ্য করেই খবর দেয় দমকল বাহিনীকে।

বুধবার ঘটে এই অঘটন। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি, কীভাবে আগুন লেগেছে। ভিডিও দেখা মাত্রই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে অনুরাগীদের। সকলেই তার বাড়ির ভেতরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। যদিও আগুন লাগে অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলায়। ঠিক তার ওপরেই জ্যাকলিনের ফ্ল্যাট। তিনি থাকেন ১৫ তলায়। দ্রুত দমকল এসে পরিস্থিতি সামল দেন।

বর্তমানে ক্যারিয়ার নিয়েই সমস্যায় রয়েছেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাজেহাল অবস্থা অভিনেত্রীর। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে তার নাম জড়াতেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এরপর থেকেই বলিউডের সঙ্গে বাড়ে জ্যাকলিনের দূরত্ব। হাতে নেই তেমন সিনেমা, নেই কোনও কাজের প্রস্তাব। যদিও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি কনসার্টে তাকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে সুকেশের এই মামলার জাল থেকে বেরিয়ে আসতে চান অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে আবারও আগের মতোই কাজ করে যেতে চান।


আরও খবর



ফের বুরকিনা ফাসোতে হামলা: নারী-শিশুসহ নিহত ১৭০

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির তিনটি গ্রামে চালানো হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তবে হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৭০ জনকে হত্যা’ করা হয়েছে বলে দেশটির একজন পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন। কমসিলগা, নর্ডিন এবং সোরো নামে তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়। এই ঘটনায় আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করার জন্য সাক্ষীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউটর অ্যালি বেঞ্জামিন কুলিবালি।

আলাদাভাবে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী শহুরে কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণসহ’ ইসলামপন্থিদের আক্রমণের বর্ধিত ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ২০২২ সালে ক্ষমতা দখল করে। তবে বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

কুলিবালি বলেছেন, তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে গ্রামে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন নারী ও শিশু রয়েছে। তবে হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি। তবে শহরগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আকারের সিরিজের আক্রমণের শঙ্কা’ রয়েছে।

অবশ্য এই হামলা দেশটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে না। সম্প্রতি দেশটির একটি গির্জার পাশাপাশি একটি মসজিদ এবং সেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার দেশটির সেনাপ্রধান জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার ঝুঁকি বাড়ার কারণে সৈন্যদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছিলেন।

মানবিক কর্মীরা বলছেন, বুরকিনা ফাসোতে যে সংকট চলছে তা বিশ্বের অন্যতম অবহেলিত সংকট। বছরের পর বছর ধরে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিণত হয়েছেন।

জাতিসংঘের ধারণা, পাঁচ বছরের কম বয়সী সকল শিশুর এক-চতুর্থাংশ ক্ষুধার কারণে বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যদিও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বছর আগে সামরিক বাহিনী বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা দখল করে, তবুও দেশটিতে এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস জানায়, সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল এখন চূড়ান্তভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার মধ্য সাহেল অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর