আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ২২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ময়নসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ভাবকির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বিনোদবাড়ি মোনকোন গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০), তার তিন বছরের শিশুকন্যা আদিবা এবং অন্যজন গোড়শাইল গ্রামের মিনাল চন্দ্র দাস (৬৫)।

মুক্তাগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুর ২টার দিকে মুক্তাগাছা থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ভাবকির মোড় চেরুমন্ডল নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে যেতেই কালীবাড়ী থেকে আসা মুক্তাগাছাগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় অটোতে থাকা মা-মেয়েসহ তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় অটোচালকসহ গুরুতর আহত আরও চারজনকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওসি আরও জানান, মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশা জব্দ করে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ট্রাকচালক পলাতক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



রাজধানীর ৩২ থানার ওসিকে বদলি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৩২ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৩ অগাস্ট ১৮ ওসিকে বদলি করা হয়। অর্থাৎ ডিএমপির ৫০ থানার সব ওসিকে বদলি করা হলো।

জানা গেছে, লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে মহালছড়ি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহীদুজ্জামানকে দিনাজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মাদ মাসুদ আলমকে সাতক্ষীরা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কোতোয়ালি থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়াকে নোয়াখালী পিটিসিতে, আদাবর থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, এস এম আবু ফরহাদকে কক্সবাজার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহাকে নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, খিলগাঁও থানার ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়াকে ১৮ এপিবিএনে, সবুজবাগ থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাকে খুলনা পিটিসিতে এবং গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ব্যতীত ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, দক্ষিণখান থানার ওসি মো. আশিকুর রহমানকে পিরোজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. শাহ আলমকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহীনুর রহমানকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, বনানী থানার ওসি কাজী শাহান হককে রংপুর পিটিসিতে, বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছাঁলাম মিয়াকে খাগড়াছড়ি ৬ এপিবিএনে, নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, হাজারীবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কলাবাগান থানার ওসি মো. মফিজুল আলমকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে, রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়াকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং ধানমন্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে নোয়াখালী পিটিসিতে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া শ্যামপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানকে গাইবান্ধা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ওয়ারী থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে ১৪ এপিবিএনে, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আবুল হাসানকে ১৬ এপিবিএনে, রূপনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে বরিশাল ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ভাসানটেক থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিনকে মহালছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুগদা থানার ওসি তারিকুজ্জামানকে সারদা বিপিএতে, মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে নোয়াখালী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ১০ এপিবিএনে, হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেনকে হবিগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মো. আহাদ আলীকে এপিবিএনে এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর



আমি ক্ষমাপ্রার্থী: মাশরাফি বিন মুর্তজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নড়াইল-২ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তিনি ক্রিকেটার হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্যতম আদর্শও। আর তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক আন্দোলনে তার নীরব ভূমিকা মানতে পারেননি ভক্ত-সমর্থকরা। সরকার পতনের পর সাবেক এই হুইপের নড়াইলের বাড়িতেও হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।

যৌক্তিক এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে না পারায় এবার আক্ষেপ প্রকাশ করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। আন্দোলনে নামতে পারেননি তিনি, সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, যদি সরাসরি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দেই (ফেসবুকে) ততক্ষণে আসলে সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছিল ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।

শেখ হাসিনার পতনের আগে থেকেই দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পরেও অনেকে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর অনেকে পালাতে গিয়ে পড়েছেন ধরা। তবে মাশরাফি জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে নিজ পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছেন তিনি।

নিজের শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, আমার সম্পদ যা কিছু আছে, সব খেলোয়াড়ি জীবনেই গড়া। যে কোনোভাবেই খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। পূর্বাচলে একটি জমি আছে, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সরকার থেকে সবাই পেয়েছিলাম ৫ কাঠা করে। মিরপুরে একটা বাড়ি আছে, ২০০৮ সালে আইপিএল খেলে আসার পর করা। মিরপুরে আরেকটি বাড়ি করছি, যেখানে পরিবার নিয়ে উঠব, এটাও ২০১৫ সালে কাজ শুরু করেছি। এখনও উঠতে পারিনি, কাজ চলছে। ২০১৮ সালের পরের আয় দিয়ে তেমন কোনো সম্পদ গড়তে পারিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামা ও ২০২৪ সালের হলফনামা দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি দাবি করলে তো লাভ নেই। যে কেউ খতিয়ে দেখলেই জানতে পারবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত আমার এন্ডোর্সমেন্ট ছিল অনেক। ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলাম। খেলাধুলা করে ও স্পন্সরশিপের আয় থেকেই এসব করেছি। নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে। তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারও কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই। খুলনা-যশোর থেকে বা ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ এই বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই পুড়িয়েছে। নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার আমি চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি। হয়তো কোনো ভুল করেছি, সেটার ফল পেয়েছি। কষ্ট আছে অবশ্যই, তবে রাগ-ক্ষোভ নেই কারও প্রতি। আমার প্রতি এখনও কারও ক্ষোভ থাকলে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি বলেন, আমি জানতাম, ক্রিকেটার হিসেবে হয়তো সবার আছে আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে। রাজনীতিতে নামলে সেটা থাকবে না। কিন্তু ওই চ্যালেঞ্জ আমি নিতে চেয়েছি। মানুষের জন্য বড় পরিসরে কিছু করতে চেয়েছি। এই জায়গায় নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম। এখন যে সরকার এসেছে, আমরা যদি আমার জায়গা থেকে, আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করে নিচে নামাই, তাহলে তো এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে। তো, আমি যে জায়গায় ছিলাম, হয়তো রাজনীতিতে না এলেও পারতাম। ভালো ছিলাম। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দেশের বাইরে দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে ২ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো শান মাসুদের দল।

করাচির বদলে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান।


পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে ওপেনার জাকিরের ব্যাট থেকে।

এর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাতের। সকাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে ছিল কালো মেঘের ঘনঘটা। তবে সব শঙ্কা দূর করে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় ও স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রানের। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টিতে কারণে আগেভাগে শেষ হওয়া চতুর্থ দিনে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৪২ রান।

ফলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার আরও ছিল ১৪৩ রান। এ লক্ষ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন জাকির। ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। মির হামজার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন এ ওপেনার। এতে ভাঙে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন আরেক ওপেনার সাদমান।

খুররম শেহজাদের হাফভলি বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিড অনে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শান মাসুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান আগা সালমান।

এরপর মুমিনুলের সঙ্গী হন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল (৩৪ রান)। পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। সাকিব ২১ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




‘চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না’

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীন হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এমনকি ভূরাজনৈতিক যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক এ আশ্বাস দেন ইয়াও ওয়েন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অংশগ্রহণ করেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন আছে, প্রত্যাশা করি অল্প কিছুদিনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে, ভালো আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আমাদের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন>> বাতিল হচ্ছে শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট

এদিকে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রদূতকে পেয়ে আনন্দিত। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের যে কমিটমেন্ট, তা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চীন আধিপত্যে বিশ্বাস করে না। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির যে সম্পর্ক, তা সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে। জনগণের উন্নয়নের জন্য তাদের বিনিয়োগও আরও বৃদ্ধি পাবে। ওয়ান চায়না পলিসিকে সমর্থন করে বিএনপি, ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশি-বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে বিএনপি। বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে দাশুড়িয়া ডিগ্রী অনার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও গভর্নিং বডি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও উক্ত কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় কলেজ চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

এসময় অনিয়ম, দুর্নীতি, বৈষম্য ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হয়রানির প্রতিবাদে দাশুড়িয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলামের দ্রুত পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কলেজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি, আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্টসহ শিক্ষকদের সঙ্গে অধ্যক্ষ যেসব অন্যায়-অবিচার ও বিমাতাসুলভ আচরণ করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত পদত্যাগের জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইব্রাহিম, জয়, ইমন, সাজিদ,  সাব্বির প্রমুখ। এছাড়াও শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর