আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

না বুঝে লো কার্ব ডায়েট হতে পারে মারাত্নক ক্ষতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ফ্যাটি খাবার খাওয়াসহ নানা কারণে মানুষ স্থূলকায় হয়ে যাচ্ছে। ওজন বাড়ার কারণে নানা ধরনের রোগব্যাধি বাসা বাধে শরীরে। রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর অনেকে ডায়েট করা শুরু করেন। এতে অনেকে সুস্থ জীবন ফিরে পান, অনেকে পান না।

নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকা যায়। পরিমিত খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে রোগব্যাধি থেকে বাঁচা যায়।

বর্তমানে অনেকে ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন। ডায়েট সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছাড়াই ইন্টারনেট, ইউটিউব দেখে অল্প সময়ে ওজন কমাতে কিটো ডায়েট করছেন, যা লো কার্ব ডায়েট নামেও প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কিটো ডায়েট সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। এটি এমন এক ধরনের ডায়েট, যা পরীক্ষামূলকভাবে ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে নিজের ওপর প্রয়োগ করা হয়ে উঠতে পারে নিজেকে মৃত্যুঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া।

কিটো ডায়েট কেন করবেন, না বুঝে এ ডায়েট করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে- যুগান্তরের সঙ্গে আলাপে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মেডিনোভা মেডিকেলের ডায়াবেটলজিস্ট ও পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট ডা. মৌসুমী আফরিন ইভা।

স্বাভাবিক ডায়েটে আমরা আমাদের দৈনিক শক্তির চাহিদার ৫৫-৬০ শতাংশ পাই কার্বোহাইড্রেট থেকে, ১৫-২০ শতাংশ পাই প্রোটিন এবং ২৫-৩০ শতাংশ পাই ফ্যাট থেকে। কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন কিটো ডায়েট করেন, তখন তার খাদ্যের ৭৫ শতাংশ নেন ফ্যাট-চর্বি থেকে, ২০ শতাংশ প্রোটিন-আমিষ এবং মাত্র ৫ শতাংশ নেন কার্বোহাইডেট-শর্করা থেকে।

কিটো ডায়েট আসলে সর্বসাকল্যে সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কোনো ডায়েট নয়। যিনি উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, তার জন্য যেমন লবণ খাওয়া বারণ, যিনি থাইরয়েড ডিজঅর্ডারে ভুগছেন, তার জন্য গ্লুটেনযুক্ত খাবার যেমন নিষিদ্ধ, ঠিক তেমনি শুধু চিকিৎসার ক্ষেত্রে থেরাপডিউডিক ডায়েট হিসাবে এপিলেপসি বা মৃগী রোগীদের জন্য গবেষণার মাধ্যমে কিটো ডায়েটের এ খাদ্যতালিকাকে সাজানো হয়েছিল। মৃগী রোগীদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানকে বাদ দিয়ে হাই ফ্যাট, হাই প্রোটিন এবং অল্প কার্বোহাইড্রেড দিয়ে এ ডায়েট তৈরি করা করা হয়।

কিন্তু নিদিষ্ট ওষুধ আবিষ্কারের পর এ ডায়েট গ্রহণযোগ্য নয় বলা হয়েছে। কারণ সাইড ইফেক্ট হিসেবে অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পেত সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতাও দেখা দিত।

ব্রেনের প্রধান খাদ্য হচ্ছে শর্করা বা গ্লুকোজ, যা আমাদের সারা দিনের কাজের এনার্জি দেয়। এ শর্করাকে না বলে যখন আপনি চর্বিকে মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে যাচ্ছেন, তখন শর্করার প্রয়োজন মেটাতে, অতিরিক্ত চর্বিকে পুড়িয়ে শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমের বিরুদ্ধে কাজ করে হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে আপনার শরীরের জমে থাকা চর্বিকে ভেঙে ওজনকে কমিয়ে দিচ্ছে; কিন্তু একটি বিশেষ সময় পার করার পর ফ্যাট বার্ন হওয়ার ফলে কিটন বডি অতিরিক্ত তৈরি হওয়াতে রক্তে প্রাথমিকভাবে কিটোসিস এবং পরবর্তী সময়ে কিটোএসিডোসিস দেখা দেয়, যা কিনা রক্তের সাধারণ পিএইচ লেভেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কিটো ডায়েট শুরুর প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ ঝুঁকি কম হলেও দীর্ঘমেয়াদি কিটো পালনে মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, শরীর কাঁপা, বুক ধড়ফড় করা, বমি বমি ভাবসহ কাজে অমনোযোগী হওয়া, সব কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, মেজাজ খিটখিটে বা হঠাৎ রেগে যাওয়া, সারা দিন পানির পিপাসা পাওয়াসহ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। না বুঝে বেশি সময়ের জন্য এ ডায়েট অনুসরণ করায় অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণের কারণে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল, এলডিএল, টিজিকে বাড়িয়ে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে।

অন্যদিকে অধিক চর্বি ও প্রোটিন গ্রহণের কারণে একদিকে ডায়রিয়া, অপরপ্রান্তে এ ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত তাদের লিভারকে আরও দুর্বল করার পাশাপাশি পিত্তথলিতে পাথর, প্যানাক্রিয়াসের জটিলতা, হজম শক্তি কমে যাওয়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। পাশাপাশি যারা গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী মা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স আছে, আর্থ্র্রাইটিসে ভুগছেন তারা যদি এ ডায়েট ফলো করেন, অত্যন্ত ঝুঁকির সম্মুখীন হবেন।

এ ছাড়া না বুঝে এ ডায়েট শুরু করলে অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় এবং পরবর্তী সময়ে রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমসহ বাচ্চা ধারণক্ষমতাও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। নানারকম পুষ্টি উপাদানের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে।

কিডনি রোগী যারা তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিনের বেশি খেতে নিষেধ করা হয়। সেই প্রোটিন জাতীয় খাবার যখন একজন সুস্থ ব্যক্তি শরীরের চাহিদার চেয়ে বেশি নিচ্ছেন, তখন তার কিডনিতে চাপ পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় এ চাপ নিতে না পেরে কিডনিতে পাথর হওয়াসহ বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

এ ডায়েটের পরিণতি না জেনেই শর্করাকে কমানোর কারণে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই তাৎক্ষণিক উপকার পেয়ে ডায়াবেটিসের ওষুধ বন্ধ করে দেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমে ব্যাঘাত ঘটার কারণে রোগীকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে কিটো অ্যাসিডোসিস নিয়ে আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হয়।

বর্তমানে কিটো ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমানোর যে প্রচলন শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবিক ক্লিনিক্যাল প্রয়োগের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই।

কিটো ডায়েটের ফলে প্রাথমিকভাবে ওজন কমে গেলেও পরবর্তী সময়ে এ ডায়েট ছেড়ে দিলে তার থেকে আরও বেশি ওজন বাড়ে। কোনো গবেষণায় এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি কী পরিমাণ সময় এ ডায়েট অনুসরণ করা নিরাপদ।

তাই ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া শুধু ফেসবুক আর ইউটিউবের কয়েকটি ভিডিওর ওপর ভিত্তি করে কিটো ডায়েটকে অনুসরণ না করে আপনার শরীরে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ সুঠাম খাদ্যাভ্যাস ও পাশাপাশি হাঁটা এবং ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

নিউজ ট্যাগ: লো কার্ব ডায়েট

আরও খবর



ইরানি কনস্যুলেটে হামলা, কমান্ডারসহ নিহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (০১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত কনস্যুলেট ভবনের এনেক্স ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

লেবানের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, এই হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলিদের চালানো হামলায় ইরানি কনস্যুলেটের সেই ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলার পরপর ভবনটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

তবে হামলার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দখলদার ইসরায়েল।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবারি এবং তার পরিবারের কোনও সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কনস্যুলেটের যে ভবনটিতে হামলা হয়েছে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

যদিও হামলার পর সিরিয়ার বার্তাসংস্থা সানা নিউজ জানিয়েছিল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও একটি ক্ষেপণাস্ত্র কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে আঘাত হানতে সমর্থ হয়।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন।


আরও খবর



জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা চুরি, তিন কর্মকর্তা আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তাদের আটক করে আজ সকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর দুপুরের দিকে আদালত এই নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিষয়টি দুদক দেখবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

অভিযুক্তরা হলেন জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান (৩৪)।

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ ও জিডির সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা পরিদর্শনে গিয়ে হিসাবে গরমিল ও সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে গত রবিবার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্ত কিছু অডিট শেষে ক্যাশ ভোল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসেবে গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তাই জিডির কপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, আমরা জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জিডির প্রেক্ষিতে জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে আটক করি। ঘটনাটি অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত হওয়ায় এটা দুদক দেখবেন। এরপরও তারা যেহেতু অপরাধ করেছেন তাই তাদেরকে সকালে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুদক দেখবে কিন্তু ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় থানা পুলিশ তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. খায়রুল হক বলেন, তাদের জিডির কপিটি হাতে এসেছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতির জন্য কমিশনে আবেদন পাঠানো হবে। অনুমতি আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, জনতা ব্যাংক ঢাকা অফিসের নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন ও মাধ্যমিক রমজানে ১৫ দিন খোলা থাকে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়: বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল পঠিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ নিয়ে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বেনজীর।

তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুণি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’।”


আরও খবর