আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নাজিরপুর অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এর আহবানে সারা দিয়ে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার এক অসহায় কৃষকের জমির ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে নাজিরপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের অসহায় কৃষক লিয়াকত শেখ তাঁর জামির পাকা ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পরে। বিষয়টি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারেন নাজিরপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির। এরপর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ওই কৃষকের বাড়িতে গিয়ে মাঠে থাকা প্রায় ১ একর জমির ফসল কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দেয়।

কৃষক লিয়াকত শেখ জানান, ধানকাটা শ্রমিক সংকটের কারণে হতাশ হয়ে পরেছিলাম। মনে হয়েছিল জমির ফসল হয়তো জমিতেই থেকে যাবে। কিন্তু নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে আন্তরিক প্রচেষ্টার আমার ফসল ঘরে তুলতে পেরেছি। এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য অন্তর দিয়ে দোয়া করি।

কৃষক লিয়াকত শেখের জমির ধান কাটায় উপস্থিত ছিলন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তুহিন হালদার তিমির, সাধারণ সম্পাদক আল আমীন খানসহ সংগঠনের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ।


আরও খবর



গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি শিশু। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি। এমনকি ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা ২০০ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৭১০ শিশু এবং ৩ হাজার ১৬০ জন নারী রয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> দক্ষিণ এশিয়ায় আজও ভূমিকম্প, কাঁপলো দুই দেশ

এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে বলেও গাজার এই অফিস টেলিগ্রামে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলেছে।

তারা আরও বলেছে, হামলায় ২২ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজায় এসব হামলায় আহত ফিলিস্তিুনিদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮০০ ছুঁয়েছে। আহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছিল, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিহতদের এ সংখ্যা কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছে, নিহতের এ সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য।

বুধবারের এই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় ৯৫টি সরকারি ভবন ও ২৫৫টি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনটি গির্জা ছাড়াও প্রায় ৭৪টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৬২টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ২৫টি হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপরও আক্রমণ করেছে, তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং অপমান করেছে। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমের ওপর রাশিয়ার বিধিনিষেধ

এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা আল-শিফা হাসপাতালের নির্দিষ্ট এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

হাসপাতালটিতে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের এই দাবিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তাদের কাছেও আল-শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে হামাসের একটি কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টার থাকার তথ্য রয়েছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের  ফাইনালে উঠে গেল ভারত। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক জয়ে সবার আগেই ফাইনালে ওঠে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।

বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ড্যারেল মিচেলের সেঞ্চুরি পরও ৪৮.৫ ওভারে ৩২৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

বুধবার রেকর্ড রান করার দিনে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। কোহলি ১১৩ বলে ৯টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৭ রান করেন। ওয়ানেডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এদিন রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এতদিন ৪৯টি সেঞ্চুরি করে শীর্ষে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।

বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত।

কোহলির সেঞ্চুরির দিনে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৬৭ বলে তিনটি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি ৭০ বলে ৪টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১০৫ রান করে ফেরেন।

বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের জোড়া সেঞ্চুরি। শুভমান গিলের ৬৬ বলের ৮টি চার আর তিনটি ছক্কায় গড়া অনবদ্য ৮০* এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মার ২৯ বলের ৪৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত। এছাড়া ২০ বলে ৩৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন লোকেশ রাহুল।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হঠাৎ দুবাইয়ে সাকিব

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ভূমিকম্প মহান আল্লাহর মহাশক্তির ছোট নিদর্শন মাত্র। ভূমিকম্প বার্তা দেয় যে, মানুষ যেন নিজেদের আচার-আচরণ শুধরে নেয়। কারও উপর অত্যাচার না করে এবং গুনাহ ও পাপ থেকে দূরে থাকে। মহান সৃষ্টিকর্তাকে অনেক বেশি স্মরণ করে ও তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসুল (সা.) ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন।

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বুখারি, হাদিস : ৯৭৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে।

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদুররু মা`আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি`ই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম।

ভূমিকম্প হবার সময় মাটির দিকে বা নিচের দিকে তাকিয়ে আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আইয়্যে আলাঈ রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান পড়তে থাকবেন যতক্ষণ ভূমিকম্প শেষ না হয়।

এ ছাড়া দুর্যোগের সময় আরও যে দোয়া পড়া যেতে পারে। উচ্চারণ: আন্তা ওয়ালিয়্যুনা ফাগফিরলানা ওয়ার হাম্না, ওয়া আন্তা খইরুল গফিরিন।

অর্থ হে আল্লাহ, আপনি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের উপর করুনা করুন। তাছাড়া আপনি-ই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। [সুরা আরাফ আয়াত ১৫৫]

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খেয়ানত করা হবে, জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল হবে, জাতির সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসকরূপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে নেতা, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে, তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হবে, মদ পান করা হবে, লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দেবে, এমন সময় তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে এবং এমন একটি ভূমিকম্প হবে যা সেই ভূমিকে তলিয়ে দেবে (তিরমিজি, হাদিস নং-১৪৪৭)।

অন্যান্য দুর্যোগের সময় আরও যেসব দোয়া করা যেতে পারে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়া পড়তেন-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়াইলানা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল উঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর। আমাদের ওপরে করিও না। হে আল্লাহ! টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বৃষ্টি বর্ষণ কর। (বুখারি)

বৃষ্টি দেখলে যে দোয়া পড়তে হয়

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সাররি মা ফিহি। (বুখারি)

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ মেঘের যত অনিষ্টতা আছে তা থেকে আশ্রয় চাই।

মেঘের গর্জনে পড়ার দোয়া

হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, মেঘের গর্জন শুনলে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন মাজিদের একটি আয়াত পড়তেন।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং কোরআন মাজীদের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি। (মুয়াত্তা)

অর্থ : পবিত্র সেই মহান সত্তা প্রশংসা যিনি পানিভরা মেঘ উঠান। মেঘের গর্জন তার প্রশংসা সহকারে তার পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং তার ফেরেশতারাও তাঁর ভয়ে কম্পিত হয়ে তার তাসবিহ পাঠ করে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই এই দোয়া করতেন-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আফিনা ক্ববলা জালিকা। (তিরমিজি)

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত কর।

ঘূর্ণিঝড়ে পড়ার দোয়া

বান্দার জন্য বাতাস আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। কারণ মানুষ বাতাস ছাড়া বাঁচতে পারে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। তবে যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এ দোয়া করবে-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা ফিহা- ওয়া খায়রা মা উরসিলাতবিহি; ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাতবিহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর মঙ্গল, এর মধ্যকার মঙ্গল ও যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার মঙ্গলসমূহ প্রার্থনা করছি এবং আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর অমঙ্গল হতে, এর মধ্যকার অমঙ্গল হতে এবং যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার অমঙ্গলসমূহ হতে।

ঝড় তুফানে পড়ার দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। (বুখারি)

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিও না।

বিপদাপদ থেকে আত্মরক্ষায় প্রতিদিনের দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকাল এবং সন্ধ্যায় নিন্মোক্ত দোয়াটি পড়বে; তাকে কোনো বিপদাপদ, বালা-মুছিবত স্পর্শ করবে না-

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূররু মাআস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামিই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম। (তিরমিজি, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)

অর্থ : আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।


আরও খবর
জুমাবারের আমল

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩




ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ৪১৫ কিমি দূরে, কখন আঘাত হানবে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ মিধিলি মধ্যরাতে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ মিধিলি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

আজ দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ১১ জেলায় আঘাত হানতে পারে এ ঝড়। ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর এটি ওই দিন বিকেলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঝড়টি বাংলাদেশের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপও চরের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকেই আসছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে চট্টগ্রামের উপকূলের মাঝবরাবর এটি চলে যাবে। ভোলা জেলার দিকেই এর মূল অংশ যেতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটি খুব বড় আকারের হবে না। এটি ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। তবুও এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

আরও খবর



নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সদ্যই কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাস। স্ত্রী ও সন্তানের পাশে থাকতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবেন না তিনি। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগেই ছিটকে যাওয়ায় সহ-অধিনায়ক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করার কথা। এই অবস্থায় লিটনও না থাকায় তার বদলে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

বিশ্বকাপ চলাকালীন দুই দফা দেশে ছুটে গেছেন লিটন। তার এই আসা নিয়ে বিরক্ত ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। হতাশার বিশ্বকাপ শেষে লিটন দেশে ফিরে দুই মাসের ছুটি চেয়েছিলেন। বিসিবি এক মাসের ছুটি মঞ্জুর করেছে। তাতে করে শুধু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্ট খেলা হচ্ছে না লিটনের।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে শান্তকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, লিটন না থাকায় নাজমুলকে অধিনায়ক করা হয়েছে। সামনের দুটি টেস্টে শান্ত (নাজমুল) অধিনায়ক।

আরও পড়ুন>> কন্যা সন্তানের বাবা হলেন লিটন

লিটনকে অন্তত একটি টেস্ট খেলার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ছুটির ব্যাপারে নাছোড়বান্দা ছিলেন বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটার। শেষমেশ বাধ্য হয়েই লিটনকে এক মাসের ছুটি দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেছেন, লিটন দুই মাসের জন্য ছুটি চেয়েছে। আমরা এক মাসের ছুটি দিয়েছি। সামনের দুটি টেস্ট সে খেলবে না। সে পরিবারকে সময় দিতে চাচ্ছে। আমরা প্রথম টেস্টটা খেলতে বলেছিলাম। কিন্তু সে বারবার ছুটির জন্য বলছিল।তাই ছুটি দিয়েছি।

আগামী ২৮ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ৬ ডিসেম্বর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট। দুটি টেস্টেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন শান্ত। শান্তর অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা অবশ্য তরতাজা। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে তাকে সহ-অধিনায়ক করেই দল ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর সাকিবের চোটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হঠাৎ দুবাইয়ে সাকিব

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3