আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

নাজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

উত্তম কুমার উপজেলার ৮ নম্বর শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১১ জন মেম্বার জেলা প্রশাসকের কাছে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন।

 

শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের নৈলতলা জ্যোতি প্রকাশ রায়ের বাড়ির কাছে একটি লোহার পুল মেরামত বাবদ ২ লাখ টাকা, খেঁজুরতলা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন লোহার পুল মেরামত বাবদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করে তার কোনো কাজ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন উত্তম কুমার।

ইউপি সদস্য বাবু উত্তম কুমার মৈত্র, বলিবাবলা একটি খালের উপর লোহার ব্রীজের ছাওনি কাঠ অথবা স্লাবের পরিবর্তে সুপারী গাছ দিয়ে ছাওনি দেন ।

 

এছাড়াও অবৈধ ভাবে ইউনিয়নের মেইন সড়কের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার নামে। এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রতি বছর বরাদ্দকৃত ১৮-২০ লাখ টাকা কাজের কোনো ইউপি সদস্যদের সংশ্লিষ্ট না করে তাদের নাম ব্যবহার করে নিজের খেয়াল-খুশি মতো প্রকল্প দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ওই সব এলজিএসপির কাজে পুরাতন অকেজো মালামাল জোড়া তালি দিয়ে ব্যবহার করেন। গত অর্থ বছরে ৭৮ হাজার টাকায় মধুরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে থাকা লোহার পুল মেরামত প্রকল্পের কাজ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে কোনো কাজ না করে পুরো টাকাটাই উত্তোলন করেন আত্মসাৎ করেন। ইউপি সদস্যদের দেওয়া কাজ বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের ও ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক টিআর-কাবিখা কাজেরও তাকে শতকরা ৩০ ভাগ দিতে হয়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, হরিজন ভাতা, মৎস্য ভিজিএস কার্যক্রম, দুস্থ সাহায্যের তালিকাসহ গভীর নলকূপ প্রদানে স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের কাঁঠালতলা সুনীল সন্যাসীর বাড়ির সামনের লোহার পুলের স্থলে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মাণ করা হলে সেখানে থাকা লোহার ব্রিজটির মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন।

 

এছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় শালিশ-বৈঠকসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই শ্রীরামকাঠীর বন্দর সংলগ্ন ভীমকাঠীতে তিন তলা বিশিষ্ট সুদৃশ্য পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার নির্বাচন পরিচালনাকারী একাধিক সদস্যরা জানান, তিনি নির্বাচনের সময় নিজের টাকা না থাকায় অন্যের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য এনে নির্বাচন ওঠাতে হয়েছে।

 

জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৬ বারের চেয়ারম্যান ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেক বেপারী। গত ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে পরের বছর ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিলের  অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উত্তম কুমার মৈত্র।

 

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খোকন কাজী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক শালিশ-বৈঠক থেকে টাকা গ্রহণ, জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করে জমির ক্রেতার কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে তা মালিককে না দিয়ে আত্মসাৎ করার বহু অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে বললে তিনি কোনো কর্ণপাত করেন না। 

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকের মাধ্যমে মিটমাট হয়েছে।

 

তার বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ও তার স্ত্রীর চাকরি (এনজিও) থেকে অবসর যাওয়ার টাকা ও বাবার জমি বিক্রির টাকা দিয়ে ওই ভবন তৈরি করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করলে তাদের টাকা দিয়ে দিবো।


আরও খবর



একটি মেয়ে একটি জাতির জন্য অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image
আমি এখানে যে শিক্ষক মন্ডলী আছেন তাদের বলব, এই যে আমাদের কোলমতি মেয়েরা এদেরকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। এরা যেনো ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, একটি মেয়ে একটি পরিবারের জন্য আশির্বাদ। একটি মেয়ে একটি জাতির জন্য অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি। একটি মেয়ে দুঃখ-দুর্দশা-হতাশা ও খারাপ অবস্থায় থাকা একটি অধ্যায় থেকে উত্তোরণের জন্য। তার কোমলমতি মন, তার সৃজনশীলতা এতোদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যেটা কখনও একটি ছেলের পক্ষে সম্ভব হয় না।

আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় পিরোজপুর সদরের করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও বিচিত্রা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি বলেন, আমি আনন্দ বোধ করি আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েই হচ্ছে বাবার কাছে অমূল্য সম্পদ। এজন্য আমি এখানে যে শিক্ষক মন্ডলী আছেন তাদের বলব, এই যে আমাদের কোলমতি মেয়েরা এদেরকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। এরা যেনো ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। এরা বাংলাদেশের সংসদের সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন হবে। এরা বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি হবে। এরা একদিন পিরোজপুরের গর্ব জাতীয় সংসদের উপনেতা অগ্নি কন্যা মতিয়া চৌধুরী হবে। এরা যাতে স্বপ্ন দেখতে পারে সচিব হবে, ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, স্থপতি হবে, ডিসি হবে, ইউএনও হবে। আমারা যদি এদেরকে গড়ে তুলতে পারি এরা যে উপহার জাতিকে দিতে পারবে সেটা কিন্তু অনেকে দিতে পারবে না।

মেয়েদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, তোমরা জেনে রাখো গত তিন বছরে যতগুলো ফলাফল হয়েছে সবচেয়ে মেয়েরা কিন্তু ভালো রেজাল্ট করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছেলে মেয়েরা সুযোগ পেয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে মেয়েরা। যিনি প্রথম হয়েছে তিনি একজন মেয়ে। গত বছর বিসিএসএ প্রথম হয়েছে একটি মেয়ে। মেয়েদের ভিতরে সুপ্ত প্রতিভা আছে। কাজেই এই প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে। তোমার আমার মেয়ের সমতুল্য স্বপ্ন দেখবা অনেক বড় হতে হবে। স্বপ্ন দেখবা তোমার মা-বাবার যে আশা, তোমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা, তুমি একদিন অনেক বড় হবে। কোন ভুল পথে পা বাড়াবে না। কোন ছেলে প্রলোভন দেখালে ওইটাকে রঙিন স্বপ্ন মনে করবে না। কোন ভাবে মাদকাশক্ত হবে না। নৈতিকতাকে ধারণ করবে। মূল্যবোধকে ধারণ করবে। সৎ জীবন-যাপন করার স্বপ্ন দেখবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এমপি আরও বলেন, দ্রুত গতিতে মেয়েকে বোঝা মনে করে তারাতাড়ি বিয়ে দেয়ার প্রবণতা যেনো আপনাদের মাঝে সৃষ্টি না হয়। কাজই প্রত্যেকটা মেয়েকে বিকশিত হতে দেন। ওদের ব্যাক্তি জীবন ওরাই বেছে নিতে পারবে। ওরা ভালো করে লেখাপড়ার পর আপনারাই তাকে ভালো পাত্র এনে দিতে পারবেন। কিন্তু আমার একটি কন্যা সন্তান যেনো পরিবারের ভুল সিদ্ধান্তে তার প্রতিভা বিকাশের আগেই যেনো তার প্রতিভা সমূলে গলা টিপে হত্যা করা না হয়।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিরিনা আফরোজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আমীনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মোর্শেদ মিশু জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রীস আলী আযিযী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট রাজ্জাক খান বাদশা, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কাজি মুজিবর রহমান, করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সিকদার চান, যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান পিরু, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান প্রমূখ।


আরও খবর



দেশের সবচেয়ে বড় কাপড়ের বাজারে আগুন, ৩২ দোকান ভস্মীভূত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার সেখেরচর বাবুর হাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের প্রায় ৩২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র আরও জানায়, শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে বাজারের জিয়াউদ্দিন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই মাকের্টের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের প্রতিটিতে থ্রি-পিস এবং তোশক তৈরির কাপড় ছিলো। এসব দোকানে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিলো বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা।

সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এই বাজারে প্রায় সারে তিন হাজারের মতো দোকান ঘর রয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র কাপড় বিক্রি করা হয়। এখন ঈদ মৌসুম তাই ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত কাপড় নিয়ে বসেছিল ঈদের বেচাকেনার জন্য। এই অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলো।


আরও খবর



বিচ্ছেদের প্রশ্নে যা জানালেন জয়া

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই সাক্ষাৎকারে তার অভিনয়ে আসা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, নাটক ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এ সময় তাকে বিচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

ফিল্মফেয়ারের ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তিনি কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।’

এতে আরও বলা হয়, তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার যেমন ঝুলিতে ভরেছেন, তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

অভিনয় শুরুর দিকে জয়ার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে সৃষ্টিশীল মাধ্যমে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।

জয়া আরও জানান, তিনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। পাশাপাশি গান ও ছবি আঁকায় আলাদা মনোযোগ ছিল। আবার শৈশব থেকে অভিনয়ও তাকে টানত। কিন্তু তার পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনও যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলেও তার পড়া হয়নি। নিজের মতো করেই একটু একটু করে অভিনয়ের পথে পা বাড়ান। যদিও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। কিন্তু সেদিকে জয়ার আগ্রহ ছিল না।

ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওই সাক্ষাৎকারে। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় জয়া আহসান বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনওই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।’


আরও খবর



ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই দাম কমলো বেগুন-আদার!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাট-বাজারেও বেড়েছে আদা ও বেগুনের দাম। শহরের নতুনহাট পাইকারী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা কেজিতে আদা ও বেগুন ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু করেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে শহরে নতুনহাট বাজারে অভিযানের মুহূর্তে সাধারণ ক্রেতারাও আদা ও বেগুন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় খুচরা বাজারে আদা ২০০ টাকা ও বেগুন ৪০ টাকা বিক্রি নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব।

তিনি আরও জানান, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট বন্ধ করার লক্ষ্যে যৌক্তিক পণ্যের দাম নির্ধারণ হয়। দ্রব্যমূল্য যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে ক্রেতারা বা ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সকল প্রকার পণ্যে বিক্রি করতে না পারেন এটি নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালেহীন তানভীর গাজী স্যারের নির্দেশনায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ৬৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিন। তার বিদায়ের পর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর দলের হাল ধরেন আঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা। এই দুই ব্যাটার রানের চাকা সচল রাখেন। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ম্যাথুস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাথুস ২১ বলে ৩২ ও শানাক ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাহেদি, সৌম্য ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪