
নালিতাবাড়ী(শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টায় আরএমজি ট্রাভেলস নামে একটি বাস তিনানি বাজার থেকে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। নালিতাবাড়ী পৌরসভার একটি টিকিট কাউন্টারের সামনে আসা মাত্রই বাসটিকে থামিয়ে সকল যাত্রী নামিয়ে দেয়া হয়। বাসটি পৌরসভার কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে রাখা হয়। এ সময় যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। নাজেহাল হতে হয় বাসে আসা যাত্রীদের।
পরদিন রোববার নালিতাবাড়ী থেকে দূরপাল্লার যাতায়াতকারী সকল বাস বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। বিষয়টি এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গমনকারী যাত্রীদের। বেকার দিন পার করছে শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়ক পরিবহনের সভাপতি দুলাল মিয়ার ফোনে অবগত হই যে, সন্ত্রাসী কায়দায় কিছু লোকজন একটি গাড়ী আটকিয়ে পৌরসভার ভিতর রেখেছে। আমি নালিতাবাড়ী থানার ওসিকে অবহিত করার পরও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এই বিষয়টি কোনো সুরাহা না হওয়ায় আমরা মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছি।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মিয়া বলেন, ওই গাড়ীর চালক আমাকে ফোন দিয়ে বলে কিছু সন্ত্রাসী ছেলেরা আমার গাড়ীটা আটকিয়ে রেখেছে। আমাকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। পরে আমি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে যাই। থানার ওসিকে ফোন দেই। তবুও কোনো সুরাহা হয়নি। পরে আমরা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেই বাস বন্ধের।
নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, গাড়ী আটকানো হয়নি। রাতে গাড়ীটি নিয়ম বহির্ভুতভাবে সীমান্ত থেকে আসে। গাড়ী চলবে বাস টার্মিনাল থেকে। আর এই বাসটি আসার পথে অ্যাকসিডেন্ট করে একটি মানুষকে ব্যথা দেয়। তাই বাসটি পাবলিকে আটকিয়ে রাখে। আমরা স্ট্যান্ড ছাড়া গাড়ী চলতে দেব না। পৌরসভার টার্মিনাল থেকে বাস চলবে এটাই নিয়ম।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তাছাড়া বিষয়টি মালিক-শ্রমিকদের সুরাহা করার জন্য বলেছি।