আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

নাম সর্বস্ব পত্রিকা দিয়ে অপকর্ম আড়াল করতেন কবির বিন আনোয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সততা আর ভদ্রতার মুখশের আড়ালে থাকা একটি নাম কবির বিন আনোয়ার। ক্ষমতার আর সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভাপতি পিতার পরিচয় ব্যবহার করে হাতিয়ে নিয়েছিল মন্ত্রীপরিষদ সচিবের পদও। যদিও সেই পদের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ১৯ দিন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুগ্মসচিব হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক থাকাবস্থায় তার ক্ষমতা প্রকট হতে থাকে। ওই বছরের ৭ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে ওইদিনই তাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক করে পদায়ন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ৬ বছরেরও বেশি সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

ওই বছরের ২২ মার্চ অতিরিক্ত সচিব থাকাবস্থায়ই কবির বিন আনোয়ারকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। এটা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এই দাপটেই তিনি ড্যামকেয়ার অবস্থায় ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রীকেও তিনি তোয়াক্কা করতেন না। একা যা সিদ্ধান্ত নিতেন তাই বাস্তবায়ন হতো এখানে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচাল থাকাকালীন অবস্থায় দুর্নীতির বড়পুত্র কবির বিন আনোয়ার নিজের পিত আনোয়ার হোসেন রতুকে সম্পাদক এবং তার অবৈধ ব্যবসার পার্টনার হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফাকে প্রকাশক করে নাম সর্বস্ব একটি অনলাইন ও পরবর্তীতে একই নামে দৈনিক পত্রিকা ( সাহস২৪.কম ও দৈনিক সাহস) খুলে নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ১০৮ নং ভবনে খুলে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা কেন্দ্র। নেশা-নারী-ঘুষগ্রহণ থেকে এমন কোন অপরাধ নেই যা এই ভবনের ছাদে হয়নি। প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বিভিন্ন নামহীন আইটি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক শকোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার পর কবির বিন আনোয়ারকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরবর্তীতে আইন অমান্য করে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি আর ক্ষমতার লোভ তাকে আরো আগ্রাসী করে তুলে। নিয়ম ভেঙে নিজের পছন্দের লোক ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে গড়ে তুলে পানি সিন্ডেকেট। কোন টেন্ডার কে পাবে তাও পরিচালিত এই নাম সর্বস্ব পত্রিকারটির অফিসে বসেই। 

অর্থ-ক্ষমতা আর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় থেকে কবির বিন আনোয়ার এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠে যে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রীকেও তিনি তোয়াক্কা করতেন না। একা যা সিদ্ধান্ত নিতেন তাই বাস্তবায়ন হতো এখানে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে এই পত্রিকার সাংবাদিকে ব্যবহার করতে তিনি। তার অবৈধ ব্যবসার পার্টনার হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফাকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাতেন মেডিকেলের টেন্ডার। এই সিন্ডেকেট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে অন্য কোন প্রকাশনী সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারতো না। ফলে দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজে নিন্মমানের কাগজ দিয়ে প্রিন্ট করা বই সাপ্লাই দিত। যা অনেক সময়ে পাঠ উপযোগী ছিল না। কোন মেডিকেল কলেজের প্রধানরা এ বিষয়ে কথা বললে তাদের বিরুদ্ধে নিজের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে মুখ বন্ধ করে দিত।

কবির বিন আনোয়ার এবং গোলাম মোস্তফার অমানবিক আচরণে এবং অন্যায় আবদার পূরণের জন্য দৈনিক সাহস এ কর্মরত সাংবাদিকরা সবসময় অতিষ্ট ছিল। সারা মাস কাজ করলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হত। এ নিয়ে দৈনিক সাহস কর্মরত সংবাদকর্মীরা প্রতিবাদ করলে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পবিত্র রমজান চলাকালে কোন প্রকার ঘোষণা না দিয়ে এবং বকেয়া বেতন-বোনাস না দিয়েই পত্রিকা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে নিজেদের দুর্নীতির সহযোগীদের নিয়ে এই পত্রিকা পরিচালনা করেন। এর আগে করোনাকালীন সময়ও দুই বছর বেতন-ভাতা দেই নি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের।

দৈনিক সাহস চাকুরিচ্যুত এক সাংবাদিক জানান, রমজানে সবারই আশা থাকে পরিবার নিয়ে উৎসব করার, কিন্তু কবির বিন আনোয়ার কোন প্রকার ঘোষণা না দিয়ে বেতন-বোনাস ছাড়াই সবাইকে চাকুরিচ্যুত করেছে। সেদিনের সেই ক্ষমতা আর দম্ভ আজ কোথায়।

দৈনিক সাহস তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক জানান, কবির বিন আনোয়ার এতটাই অমানবিক ছিলেন যে করোনা মহামারির সময়ে পত্রিকার স্টাফদের কোন খোঁজখবর নেয়নি। এই দুই বছর স্টাফদের কোন প্রকার বেতন-বোনাস দেয়নি। এসময় আমার নিজস্ব তহবিল থেকে স্টাফদের বেতন ভাতা প্রদান করেছি, কবির বিন আনোয়ার সেই টাকাও পরিশোধ করেনি। শুধু তাই নয় নিজের টাকা ব্যয় করে অফিস ইন্টেরিয়র করিয়েছি সেই টাকাও পরিশোধ করে নি। 

এবিষয়ে কথা বলার জন্য কবির বিন আনোয়ারের টেলিটক এবং গ্রামীন ফোন এর দুটি নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।


আরও খবর



শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের তথ্য প্রত্যাখ্যান রোসাটমের

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের সাহায্যকারী হিসেবে ওঠে আসে রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের নাম। তবে, টাকা আত্মসাতের এ ঘটনা প্রত্যাখ্যান করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) এক বার্তায় রোসাটম জানিয়েছে, গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত প্রকাশিত বা প্রচারিত উসকানিমূলক সংবাদ প্রত্যাখ্যান করছে রোসাটম।

এতে আরও বলা হয়, রোসাটম তার সব প্রকল্পে উন্মুক্ত কর্মপন্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসা প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। রোসাটম তার নিজস্ব সুনাম ও স্বার্থ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন হতেও প্রস্তুত।

আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা, গণমাধ্যমে প্রকাশিত/ প্রচারিত অসত্য তথ্যগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করছি। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যার সমাধান এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশন।

এতে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম।

নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সেসময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শনিবার সিলেটের যেসব এলাকায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

প্রকল্প এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী মু. তানভীর হায়দারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১১ কেভি আম্বরখানা ফিডারের আওতাধীন রাজারগল্লি, পায়রা, দর্শরদেউড়ি, সুবিদ বাজার, ফাজিলচিস্ত (আংশিক), দস্তিদার পুকুরপাড়, নূরানী, বনকলাপাড়া ও আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না।  

এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নগরের এসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না বলেও জানানো হয়। তবে কাজ শেষ হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।


আরও খবর
শাহপরান মাজারে তিন দিনব্যাপী ওরস শুরু

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে পানি সম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের নদীর সঠিক সংখ্যা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিভাগীয় কমিশনারগণকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, যৌথভাবে প্রণয়নকৃত তালিকা জনমত ও আপত্তি দাখিলের সুযোগ দেয়ার জন্য ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত আপত্তি গ্রহণ পূর্বক প্রযোজ্যক্ষেত্রে শুনানী গ্রহণ করতে হবে। তিনি এসময় ৬৪ জেলায় অন্তত ৬৪টি নদী চিহ্নিত করে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে সময়ভিত্তিক, ব্যয় সাশ্রয়ী, কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে এবং পরবর্তীতে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে দখল উচ্ছেদ করবেন।

বুধবার রাতে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ এবং সংকটাপন্ন নদ-নদীগুলোর দখল ও দূষণমুক্তকরণ নিয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের পরিচালনার সভায় নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব,  ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের সবচাইতে দূষিত নদীর তালিকা প্রণয়ন করবে এবং দূষণকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান ও তদারকি করবে। প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত নদীর তালিকা করে দূষণ থেকে পরিত্রাণে কর্ম পরিকল্পনা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সকল নদীর জন্য হেলথ কার্ড প্রস্তুত করবে, যা নদীর প্রাণ সত্ত্বার পরিচয়। অভিযান পরিচালনায় ও পরবর্তীতে আবারো দখল ও দূষণ রোধ করতে এলাকাবাসী, তরুণ প্রজন্ম, সামাজিক সংগঠন, এনজিওদের  সম্পৃক্ত করতে হবে ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে হবে। সকল অফিসে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের ফোল্ডার ও প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার পরিহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ ঢাকা সার্কুলার নৌপথের প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও এই প্রস্তাবনার সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে মত বিনিময় করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করবে।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের আইনের সংশোধনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ব্যয়সহ চলমান ও বাস্তবায়িত নদী খনন প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তালিকা ও প্রভাব বিষয়ে মতামত ও প্রভাব প্রদান করতে হবে।

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা কীর্তনখোলা, রূপসাসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে এবং পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যাপক প্রচলনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি ক্যাম্পেইন করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী রক্ষা কমিশন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি বিশেষজ্ঞগণের পরিমাপে দেশে মোট নদীর সংখ্যায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৮৫৩৯/২০২১ এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান আবদুর রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর কবির সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে আজই এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমেন সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।


আরও খবর



ইসরাইলকে আরও ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সব আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরাইলের কাছে আরও ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্যে ট্যাংক, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, কয়েক ডজন যুদ্ধ বিমান ও নানা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে।

পররাষ্ট্র দফতর আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামরিক শক্তি এবং আত্মরক্ষার সক্ষমতার বিকাশ ও প্রস্তুতি বজায় রাখতে ইসরাইলকে সহায়তা করা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যাবশ্যক।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন হামাস প্রধান ও হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় ইরান ও হিজবুল্লাহ ইসরাইলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এসব হত্যার পর ইসরাইল ইরান এবং লেবানন-ভিত্তিক গ্রুপ হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় এ ঘোষণাটি এসেছে, যা আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়েপড়া এড়াতে কাজ করছে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছালে ইসরাইলে ইরানের হামলা এড়ানো যেতে পারে।

বেশ কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির কথা বলে আসছে। এ জন্য তারা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রকাশ্যে ক্রমাগত আহ্বান জানাচ্ছিল। এতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় মানবিক সংকট সমাধানের আশা দেখছিল।

কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা আরও জোরদার করে। চলতি সপ্তাহে একটি স্কুলে তাদের হামলায় শতাধিক নিহত হয়। এরই মধ্যে আবার নতুন অস্ত্রও পেতে যাচ্ছে তারা।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত অনেকের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। জাতিসংঘ ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বলছে, গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহতার চরম পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। তাদের পক্ষ থেকে নিরীহ মানুষদের রক্ষায় এখনি যুদ্ধ বন্ধের দাবি করা হচ্ছে।


আরও খবর