পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে জাহিদ হোসেন (৩৫) নামে এক প্রতিবেশী যুবকের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ ও হাতুড়ির আঘাতে শিক্ষকসহ চারজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জগন্নাথকাঠি এলাকার মৌলভীবাড়িতে।
আহতদের মধ্যে সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম (৫০) এবং তাঁর স্ত্রী স্মৃতি বেগমের (৩৫) আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার হোতা যুবক জাহিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে।
নামাজ পড়ায় ভুল ধরায় শিক্ষক মনিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন জাহিদ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের প্রতিবেশী লিজা আক্তার ও সুরাইয়া বেগম বলেন, ফজরের সময় জাহিদ শিক্ষক মনিরের ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বঁটি ও হাতুড়ি দিয়ে শিক্ষক মনিরকে কোপাতে থাকেন। এ সময় মনিরকে বাঁচাতে তাঁর স্ত্রী স্মৃতি এগিয়ে এলে তাঁকেও কোপান জাহিদ। তাঁদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে তাঁদের রক্ষার্থে প্রতিবেশী ফুয়াদ ও ফুয়াদের ভাগ্নে তানজিল এগিয়ে গেলে জাহিদ তাঁদেরকেও কুপিয়ে আহত করেন। পরে এলাকার লোকজন বহু চেষ্টার পরে জাহিদকে ধরে ফেলে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে জাহিদও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
নেছারাবাদ থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, অপরাধী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।