আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নামের আগে-পরে ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোর বিশ্লেষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নামের আগে-পরে ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোর বিশ্লেষণশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পর লেখা হয়- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

ধর্মীয় নেতা কিংবা ব্যক্তিত্বের নামের আগে বা পরে নানা ধরনের উপাধি লেখা হয়।

ব্যবহৃত উপাধিসমূহের কিছু অর্থ বুঝা যায়, আর কিছু উপাধি বা নামের আগে পরে থাকা শব্দের অর্থ অনেকই বুঝেন না; জানেন না। ক্ষেত্রবিশেষ এসব আবার সংক্ষেপেও লেখা হয়।

না জানা থেকে এগুলো পড়তে অনেকের ভুল হয়। কেননা, লেখার সময় সংক্ষেপণ রীতিসিদ্ধ হলেও পড়ার সময় কিন্তু সংক্ষেপণ রীতি সিদ্ধ নয়। বরং পড়ার সময় সংক্ষিপ্ত শব্দের বিস্তারিত রূপ পাঠ করাই হলো- নিয়মের কথা। নামের আগে-পরে ব্যবহৃত ওইসব শব্দের মাঝে রয়েছে-

সা., স., দ.

এ শব্দগুলো সংক্ষেপের যে কোনো একটি লেখা হয় শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পর। সা., স. অথবা দ. যেটাই লেখা থাকুক; পড়তে হবে- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এর অর্থ, আল্লাহ তার (নবী মুহাম্মদ) ওপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুক।

পরিভাষায় এ বাক্যের নাম দরুদ। তাই সংক্ষেপ করতে যেয়ে অনেক সময় দ. লেখা হয়। আবার প্রথম বর্ণ  হওয়ায় শব্দ সংক্ষেপ করে সা., কিংবা স. লেখা হয়। তবে বেশ আগে দ. লেখার প্রচলন থাকলেও বর্তমানে তা নেই বললেই চলে। এখন সবাই সা., অথবা স. লেখে থাকেন। 

তবে অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলাররা এ বাক্যকে সংক্ষেপ করে লেখাকে পছন্দ করেন না। তারা সবসময় পূর্ণ বাক্য লেখার পক্ষপাতী।

আ.

এ শব্দসংক্ষেপ লেখা হয়ে থাকে শেষ নবী ব্যতীত অন্য সব নবীদের নামের পর। এর পূর্ণ রূপ হলো- আলাইহিস সালাম।  অর্থ, তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

রা., রাযি., রাজি. ও রাদি.

এ শব্দগুলোর যে কোনোটি লেখা হয়- সাহাবিদের নামের পরে। ইসলামের পরিভাষায় সাহাবি বলা হয়, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পর শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন এবং মুসলিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ শব্দ সংক্ষেপগুলোর পূর্ণরূপ একবচন পুরুষের ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহু আনহু, বহুবচন পুরুষের ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহু আনহুম, একবচন মহিলার ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহু আনহা, বহুবচন নারীর ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহু আনহুন্না এবং দ্বি-বচন পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহু আনহুমা।  পূর্ণ বাক্যের অর্থ হলো- আল্লাহ তার অথবা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। 

র., রহ.

র., রহ. শব্দ দুটো সংক্ষেপ লেখা হয় নবী ও সাহাবি ব্যতীত বিশিষ্ট নেককার, পরহেজগার, মুত্তাকি মুসলিমদের মধ্যে যারা মারা গেছেন- তাদের নামের পর। পূর্ণ রূপ হলো-রাহমতুল্লাহি আলাইহি।  বাক্যটির অর্থ- তার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।

দা. বা., মু. আ., হাফি.

এ শব্দসংক্ষেপগুলো লেখা হয়- বিশিষ্ট নেককার, পরহেজগার মুত্তাক মুসলিমদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন- তাদের নামের পর। দা. বা.-এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- দামাত বারাকাতুহুম।  অর্থ- তার কল্যাণসমূহ স্থায়ী হোক। 

মু. আ.-এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- মুদ্দাযিল্লুহুল আলি।  অর্থ- তার মহান ছায়া আমার ওপর দীর্ঘ হোক। হাফি.-এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- হাফিযাহুল্লাহ।  অর্থ- আল্লাহ তার হেফাজত করুক।

মাও.

শব্দটি সংক্ষেপ লেখা হয় কওমি মাদরাসা থেকে তাকমিল বা দাওরায়ে হাদিস উত্তীর্ণ হয়েছেন অথবা আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেছেন তাদের নামের পূর্বে। এর পূর্ণ উচ্চারণ হলো- মাওলানা।  অর্থ- আমাদের কল্যাণকামী বন্ধু।

এভাবে নামের আগে-পরে ছাড়াও মুসলিম সভ্যতায় ব্যবহারিক জীবনে বেশ কিছু আরবি বাক্য খুব গুরুত্ব ও যত্নের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। যেমন-

আলহামদুলিল্লাহ

কোনো শুভ সংবাদের আগে বা পরে এ বাক্যটি বলা হয়। যেমন, আলহামদুলিল্লাহ- আমি ভালো আছি। বাক্যটির অর্থ- সব প্রশংসা আল্লাহর।

ইন্নালিল্লাহ

ছোট-বড় যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির শিকার হলে এ বাক্যটি বলা হয়। কোনো কিছু হারিয়ে গেলে বলতে হয়- ইন্নালিল্লাহ। আবার অনেক সময়, বিশেষতঃ কারো মৃত্যুর সংবাদ দেওয়ার সময় আরেকটু বড় করে বলা হয়- ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। বাক্যটির অর্থ- আমরা সবাই আল্লাহর অধীন এবং আমরা সবাই তারই কাছে ফিরে যাব।

জাযাকাল্লাহ

ধন্যবাদ জানানোর জন্য এ বাক্যটি বলা হয়। এর অর্থ- আল্লাহ আপনাকে প্রতিদান দেবেন।

ইনশাআল্লাহ

ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছা ব্যক্ত করার আগে বা পরে এ বাক্যটি বলা হয়। যেমন- ইনশাআল্লাহ, আমি কাল আপনার সঙ্গে দেখা করব। অর্থ- যদি আল্লাহর ইচ্ছা হয়।

মাশাআল্লাহ

ভালো কোনো কিছু দেখলে এ বাক্য বলা হয়। যেমন- মাশাআল্লাহ, আপনার ছেলে খুব সুন্দর হয়েছে। মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ- আল্লাহ যেমন চেয়েছেন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ নান্দনিক উদ্যানে পরিণত হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাইয়ের আগে রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের এ মেয়র বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব স্থানে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভিতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।’

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর এই সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং সমরাস্ত্রগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে স্টল ও সমরাস্ত্রের পরিচিতি ব্রিফ করা হয়। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্মিত স্টল পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রধান এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ২৬ থেকে ৩০ মার্চ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে এ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪